ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

তুরস্ক-সিরিয়ায় শুধুই হাহাকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৬, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  
তুরস্ক-সিরিয়ায় শুধুই হাহাকার

একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। ছবি: রয়টার্স

ভোরে সবাই যখন গভীর ঘুমে তখন শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়াসহ আশপাশের দেশগুলো। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।

পড়ুন: তুরস্ক-সিরিয়াতে মৃত্যু বেড়ে ৪৩০০

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ বলছে, সে দেশে কমপক্ষে ৫৬০৬টি বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে এখনও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও দুই দেশের প্রশাসনের আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ওই দুই দেশকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করার পর একজন পুলিশ কর্মকর্তা তার মেয়েকে জড়িয়ে ধরেছেন। ছবি: বিবিসি

মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়া দুই দেশে ভূমিকম্পের পর থেকেই শুরু হয়েছে হাহাকার। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে এবং প্রিয়জনদের খোঁজার তাগিদে আর্তি চোখে পড়ছে। কিছু কিছু পরিবারে শোকপালন করার মতো সদস্যও বেঁচে নেই। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দুই দেশের হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে মৃতদেহ। চারিদিকে শুধু কান্নার রব। একদিন আগেও যেগুলো বহুতল ছিলো, সোমবারের (৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) ভূমিকম্পের পর তা কংক্রিট এবং স্টিলের রডের ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘আমি ৪০ বছরের জীবনে এরকম ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখিনি’

আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, তুরস্কে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হলো কাহরামানমারাস, গাজিয়ানতেপ, সানলিউরফা, দিয়ারবাকির, আদানা, আদিয়ামান, মালত্য, ওসমানিয়ে, হাতায় ও  কিলিস। আর সিরিয়ার আলেপ্পো, ইদলিব, হামা ও লাতাকিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সোমবার স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোরে কেঁপে ওঠে তুরস্ক এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিলো ৭.৮। কম্পনের উৎসস্থল ছিলো দক্ষিণ তুরস্কে। গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্বদিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ১৮ কিলোমিটার গভীরে। প্রথম কম্পনের ১১ থেকে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় বার কেঁপে ওঠে লেবানন, সিরিয়া এবং সাইপ্রাসের বিভিন্ন অংশ। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)-র মতে, এই কম্পনের তীব্রতা ছিলো ৬.৭। প্রায় দেড় মিনিট পর্যন্ত তার কম্পন অনুভূত হয়। কম্পনের জেরে হুড়মুড়িয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে থাকে একের পর এক বহুতল এবং বাড়ি। সেই ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই আরও দুবার কেঁপে ওঠে সিরিয়া এবং তুরস্কের বিস্তীর্ণ এলাকা। ফলে আরও বেড়ে যায় বিপদ।

স্বজনহারাদের বিলাপে ভারী হয়ে উঠেছে আকাশ-বাতাস। ছবি: বিবিসি

১৯৩৯ সালের পর তুরস্কে এই প্রথম এত শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হলো। ইউএসজিএস জানিয়েছে, সে বছরও তুরস্কে কম্পনের তীব্রতা ছিলো ৭.৮। এরজিনকান প্রদেশে ভূমিকম্পে সে বার ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিলো। ৭ কম্পাঙ্কের ভূকম্প গত ২৫ বছরে ৭ বার অনুভূত হয়েছে তুরস্কে।

পড়ুন: ভূমিকম্পের সময় স্থানীয়রা ঘুমিয়ে ছিলেন

/সাইফ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়