রাফায় ধ্বংসযজ্ঞ তীব্র করেছে ইসরায়েল
গাজার দক্ষিণ রাফাহ গভর্নরেটে ধ্বংসযজ্ঞ তীব্র করেছে ইসরায়েল। আল জাজিরার সানাদ তদন্ত ইউনিট এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দক্ষিণ গাজার এই অঞ্চলের ছয় লাখ মানুষকে ‘কনসেনট্রেশন ক্যাম্প’-এ স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
জাতিসংঘের স্যাটেলাইট সেন্টার এর তথ্য অনুসারে, ৪ জুলাই পর্যন্ত সানাদের স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, রাফায় ভেঙে ফেলা ভবনের সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার ৬০০-এ পৌঁছেছে। এপ্রিলে এই সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৮০০। এর অর্থ হল, শুধুমাত্র এপ্রিলের শুরু থেকে জুলাইয়ের শুরুর মধ্যেই প্রায় ১২ হাজার ৮০০টি ভবন ধ্বংস করা হয়েছে। ২০২৫ সালের মার্চের শেষের দিকে রাফায় ইসরায়েলের নতুন অভিযানের সাথে সাথেই ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা বৃদ্ধির নজির এটি।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সোমবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির ৬০ দিনের মধ্যে উপকূলীয় আল-মাওয়াসি এলাকায় বসবাসকারী ছয়য় লাখ ফিলিস্তিনিকে রাফায় স্থানান্তর করা হবে। এটিকে তিনি ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি নতুন ‘মানবিক শহর’ বলে অভিহিত করেছেন।
কাটজের মতে, গাজার ২০ লাখেরও বেশি মানুষ এই দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরে স্থানান্তরিত হবে।
মার্কিন সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন এর নামে তৈরি করা একটি প্রস্তাবে ‘হিউম্যানিটেরিয়ান ট্রানজিট এরিয়া’-এর বিস্তারিত পরিকল্পনা রয়েছে। এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ওই মানবিক করিডোরে গাজার বাসিন্দারা ‘অস্থায়ীভাবে বসবাস করবে, উগ্রবাদমুক্ত হবে, পুনরায় সংহত হবে এবং যদি তারা তা করতে চায় তবে স্থানান্তরের জন্য প্রস্তুত থাকবে।’
ইসরায়েলি মন্ত্রী জানিয়েছেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের গাজা উপত্যকা থেকে ‘স্বেচ্ছায় অভিবাসনে’ উৎসাহিত করবে।
ঢাকা/শাহেদ