যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন পুতিন
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছেন। ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অগ্রযাত্রার সাথে সাথে তার আঞ্চলিক দাবি আরো বিস্তৃত হতে পারে। মঙ্গলবার এক বিশেষ প্রতিবেদনে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
রাশিয়ার পূর্বে রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং ইউক্রেনীয় সেনাদের মধ্যে আট বছর ধরে লড়াইয়ের পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ান সেনা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন পুতিন। তিনি বিশ্বাস করেন যে রাশিয়ার অর্থনীতি এবং তার সামরিক বাহিনী পশ্চিমা যে কোনো পদক্ষেপ মোকাবেলা করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী।
ট্রাম্প সোমবার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পুতিনের অস্বীকৃতিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন। রশিয়াকে মোকাবিলায় তিনি ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাসহ অস্ত্র সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছেন। ৫০ দিনের মধ্যে শান্তি চুক্তি না হলে তিনি রাশিয়ার উপর আরো নিষেধাজ্ঞার হুমকিও দিয়েছেন।
তিনটি রুশ সূত্র জানিয়েছে, পশ্চিমাদের চাপের মুখে পুতিন যুদ্ধ বন্ধ করবেন না এবং তিনি রাশিয়ার তেল ক্রেতাদের লক্ষ্য করে মার্কিন শুল্কের হুমকিসহ আরো অর্থনৈতিক কষ্ট সহ্য করতে পারবে মস্কো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র বলেছে, “পুতিন মনে করেন ইউক্রেনের শান্তির বিশদ বিবরণ নিয়ে কেউই তার সাথে গুরুত্বের সাথে আলোচনা করেননি - আমেরিকানরাও। তাই তিনি যা চান তা না পাওয়া পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাবেন।”
সূত্রগুলো জানিয়েছে, শান্তির জন্য পুতিনের শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে-আইনত বাধ্যতামূলক অঙ্গীকার যে ন্যাটো পূর্ব দিকে সম্প্রসারণ করবে না, ইউক্রেনীয় নিরপেক্ষতা এবং তার সশস্ত্র বাহিনীর উপর বিধিনিষেধ, সেখানে বসবাসকারী রাশিয়ান ভাষাভাষীদের সুরক্ষা এবং রাশিয়ার আঞ্চলিক লাভের স্বীকৃতি।
ক্রেমলিনের চিন্তাভাবনার সাথে পরিচিত দ্বিতীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, পুতিন পশ্চিমা চাপের কারণে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতির চেয়ে মস্কোর লক্ষ্যগুলোকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন এবং রাশিয়ান তেল কেনার জন্য চীন ও ভারতের উপর শুল্ক আরোপের মার্কিন হুমকি নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন নন।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার প্রাধান্য রয়েছে এবং যুদ্ধের দিকে পরিচালিত তার অর্থনীতি, আর্টিলারি শেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধাস্ত্রে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের উৎপাদনকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
ঢাকা/শাহেদ