ইউরোপীয় নেতাদের ‘দুর্বল’ বলে সমালোচনা করলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের ‘দুর্বল’ বলে সমালোচনা করেছেন এবং ইঙ্গিত দিয়েছৈন যে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন কমাতে পারে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
সংবাদমাধ্যম পলিটিকোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘‘ক্ষয়িষ্ণু’ ইউরোপীয় দেশগুলো অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ করতে বা রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে “
তিনি ইউরোপের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই করতে দেওয়ার অভিযোগ করেন।
ইউরোপীয় নেতারা যুদ্ধ শেষ করার জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন প্রচেষ্টায় ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছেন। তাদের আশঙ্কা, তড়িঘড়ি করে ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব ইউরোপের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
ট্রাম্পের সমালোচনার জবাবে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার বলেন, তিনি ইউরোপে যা দেখেছেন তা হলো শক্তি, তিনি কিয়েভের জন্য প্রতিরক্ষা বিনিয়োগের পাশাপাশি তহবিলের কথাও উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, দুইজন প্রেসিডেন্ট শান্তির জন্য কাজ করছেন- ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিন্তু কেবল একজন প্রেসিডেন্ট (রাশিয়ার পুতিন)- বার বার ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে সংঘাত আরো বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন।
এদিকে, ট্রাম্প জেলেনস্কিকে শান্তি চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেই চলেছেন এবং মস্কোর কাছে অঞ্চল ছেড়ে দিয়ে বল নিজেদের কোর্টে রাখার জন্য তাকে আহ্বান জানিয়েছেন। রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করে।
তবে মঙ্গলবার রাতে, এক্স পোস্টে ভিন্ন কথা বলেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ইউক্রেন এবং ইউরোপ যুদ্ধের অবসানের সম্ভাব্য পদক্ষেপের সকল উপাদান নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে, পরিকল্পনার ইউক্রেনীয় এবং ইউরোপীয় উপাদানগুলো এখন আরো উন্নত।
এরপর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তার বিশ্বাস পরিকল্পনাগুলো বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জমা দেয়া হবে।
ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধে ইউরোপীয় নেতারা তাদের যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে আলোচনা করার জন্য লন্ডনে একত্রিত হওয়ার একদিন পর, ট্রাম্পের ইউরোপ নিয়ে সর্বশেষ প্রকাশ্য সমালোচনা করলেন।
ইউরোপ যুদ্ধ বন্ধে সাহায্য করতে পারে কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, “তারা কথা বলে কিন্তু কাজ করে না। ফলে যুদ্ধ কেবল চলতেই থাকে।”
ঢাকা/ফিরোজ