ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ঈদে যা করবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৩, ৩০ এপ্রিল ২০২২   আপডেট: ১২:১৭, ৩০ এপ্রিল ২০২২
ঈদে যা করবেন

একমাস সিয়াম সাধনার পর আসে খুশির ঈদ। শেষ রোজার পর সন্ধ্যায় আকাশে ঈদের চাঁদ দেখা দিলে সকলের মনে আনন্দের আমেজ সৃষ্টি হয়। ঈদ মানে খুশি এবং সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা খুশির মাত্রাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। আপনার ঈদকে সুন্দর করে তুলতে ১০ পরামর্শ দেওয়া হলো।

* তাকবির পড়ুন: রমজানের শেষদিনের মাগরিব থেকে ঈদের নামাজ পর্যন্ত যত বেশি সম্ভব তাকবির (আল্লাহু আকবর) পড়ুন। গাড়িতে-শপিং মলে-বাড়িতে সবখানে তাকবির পড়ুন।

* ঈদের পোশাক রেডি রাখুন: আপনি হয়তো ইতোমধ্যে ঈদের পোশাক-পরিচ্ছদ বা সাজসজ্জা কিনে ফেলেছেন। না কিনলেও মন খারাপ করবেন না, কারণ ঈদের জন্য নতুন সাজসজ্জা কেনা ফরজ নয়- এক্ষেত্রে আপনার ওয়ারড্রোব থেকে সবচেয়ে ভালো সাজসজ্জা বেছে নিন এবং ঈদের পূর্বরাতে নতুন সাজসজ্জা কিনতে নিজেকে চাপের মধ্যে রাখার প্রয়োজন নেই। ঈদের পূর্বরাতে প্রয়োজনীয় সকল সাজসজ্জা একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন।

* ঈদের নামাজের পূর্বে সুন্নাহ মেনে চলুন: ঈদের দিনের শুরুতে ঈদের নামাজের আগে যে কাজগুলো করা সুন্নাহ- গোসল করা, যথাসাধ্য ভালো পোশাক পরা, সুগন্ধি ব্যবহার করা (পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য), ঈদের নামাজের পূর্বে মিষ্টি খাবার খাওয়া (বিশেষ করে খেজুর), ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় ঈদ তাকবির পড়া।

* দোয়া করুন: ঈদের দিনে দোয়া করুন যেন আল্লাহ আপনার সকল ভালো কাজ কবুল করেন এবং আপনাকে আরো একটি রমজান দেখার সুযোগ দেন। খাবার, পোশাক, পরিবার/বন্ধুবান্ধব ও নিরাপত্তার জন্য শুকরিয়া আদায় করুন। নির্যাতিত মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য দোয়া করতেও ভুলবেন না, উদাহরণস্বরূপ- ফিলিস্তিনের অধিবাসী ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা দুর্ভোগে ভোগা মুসলিম উম্মাহ।

* ভিন্নপথে মসজিদ থেকে ফিরুন: একটি হাদিস থেকে জানা যায় যে, নবী (সা) ঈদের নামাজ পড়ে ভিন্ন পথে ঘরে ফিরতেন। যে পথে ঈদগাহে যেতেন সে পথে ফিরে না এসে অন্য পথে বাড়ি ফিরে আসতেন। এটার হিকমত হচ্ছে- যাতে উভয় পথের লোকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা যায়। 

* কাজকে ছুটি দিন: কিছু লোক সবসময় কাজে মগ্ন থাকতে চান, তাদের ধারণা যেন এমন- একটা দিন কাজ না করলে আমার ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়বে। আসলে ব্যাপারটা এমন নয়, বরং ঈদ উদযাপনে মনের মধ্যে প্রশান্তির ধারা বইতে শুরু করে, যা ক্যারিয়ারকে আরো উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। ঈদ মানে খুশি এবং এটি হলো আল্লাহর নেয়ামত, তাই সমস্ত মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হয়ে একে উদযাপন করা উচিত।

* প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবকে দেখতে যান: এটি হলো ঈদের একটি চমৎকার অংশ। দেখা করতে যাওয়ার আগে ফোন করুন, কারণ যার কাছে যাবেন তিনি ঘরে নাও থাকতে পারেন। উপহার নিয়ে যান (ছোট হলেও সমস্যা নেই), বিশেষ করে শিশুদের জন্য। তাদেরকেও আপনার বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান। সম্প্রতি যেসব ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লেগেছে তা আরো মজবুত করার একটি চমৎকার সুযোগ হলো ঈদ। দূরের বা প্রবাসী আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবকে ভিডিও অ্যাপসের মাধ্যমে ঈদ মোবারক জানাতে পারেন।

* পরিমিত পরিমাণে খান: ঈদের দিন এ বিষয়টিকে অবহেলা করা উচিত নয়। অনেকে বেশি খাবার খেয়ে পেটের সমস্যায় ভুগে থাকেন, যার ফলে তাদের ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে যায়।

* ভালো কাজ করুন: ঈদের দিন থেকেই ভালো কাজ করা অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি নিশ্চিত করে যে আপনি রমজানের পরও ভালো কাজ করছেন, যেমন- ঠিক সময়ে নামাজ পড়া, কিছু পৃষ্ঠা কোরআন তেলাওয়াত করা। এ কাজগুলোকে প্রতিদিনকার অভ্যাসে পরিণত করতে ঈদের দিন থেকেই এসবে সম্পৃক্ত হওয়া উচিত। ঈদের প্রথমদিন থেকেই এসব কাজ না করলে ঈদের দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিন থেকে এগুলো করা কঠিন হয়ে পড়ে।

* উপহার দিন: পরিবার ও বন্ধুবান্ধবকে উপহার দিন। এটি হতে পারে ছোট পারফিউম থেকে প্রয়োজনীয় গৃহস্থালী আইটেম। পরিবার বা বন্ধুবান্ধবের কাছে বিরক্তিকর ই-কার্ডের পরিবর্তে হাতে লিখা ঈদ কার্ড পাঠান।

তথ্যসূত্র : প্রোডাক্টিভ মুসলিম ডটকম

ফিরোজ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়