ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

নতুন বছরে রূপচর্চায় প্রাধান্য পাবে ‘অ্যান্টি এজিং ক্রিম’

লাইফস্টাইল ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৩, ১ জানুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১৪:৪০, ১ জানুয়ারি ২০২৫
নতুন বছরে রূপচর্চায় প্রাধান্য পাবে ‘অ্যান্টি এজিং ক্রিম’

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ জুড়ে ত্বকের যত্নে বিশ্বব্যাপী অ্যান্টি এজিং ক্রিমের চাহিদা অনেক বেশি ছিলো। নতুন বছরেও এই পণ্যটি রূপচর্চায় গুরুত্ব পাবে বলে মনে করছেন রূপ বিশেষজ্ঞরা। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের ত্বকে অনেক পরিবর্তন আসে। এই পরিবর্তনগুলি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকে বার্ধক্যের লক্ষণ দেখা দিলে অ্যান্টি এজিং ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের বার্ধক্যের লক্ষণগুলি হচ্ছে—

বলিরেখা,  সূক্ষ্ম রেখা, দৃঢ়তা হারানো, ত্বকে দাগ, বিবর্ণতা এবং উজ্জ্বলতার অভাব।

আরো পড়ুন:

            অ্যান্টি এজিং ক্রিম ব্যবহারের আগে মুখে সিরাম লাগাতে হবে। ছবি: সংগৃহীত

এই লক্ষণগুলি মুখের বিভিন্ন অংশে স্পষ্ট হতে শুরু করে। তবে এগুলি চোখের চারপাশে, কপালে এবং মুখের কনট্যুরের চারপাশে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। সূক্ষ্ম রেখা এবং বলিরেখা হলো ত্বকের বার্ধক্যের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। এগুলি কোলাজেন এবং ইলাস্টিনের হ্রাসের কারণে হয়ে থাকে। ত্বক নানা কারণে বুড়িয়ে যেতে পারে। এগুলোর মধ্যে মূলত কোলাজেন উৎপাদন কমে যাওয়া এবং ফাইব্রোব্লাস্টের কার্যকলাপ কমে যাওয়া অন্যতম কারণ। এ ছাড়াও, বাহ্যিক কারণ যেমন মানসিক চাপ, সূর্যের এক্সপোজার, দূষণ এবং ধূমপান করার ফলে ত্বক দ্রুত বুড়িয়ে যেতে পারে। ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে ব্যবহার করতে পারেন অ্যান্টি এজিং ক্রিম।

অ্যান্টি এজিং ক্রিমে কী আছে? অ্যান্টি-এজিং ক্রিমে এমন কিছু উপাদান থাকে যা ত্বকের বার্ধক্য কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে এবং চেহারা উন্নত করতে পারে। এই ক্রিমে থাকে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, যা ত্বককে ময়শ্চারাইজিং করে এবং প্লাম্পিং করতে সহায়তা দেয়। এই ক্রিম কোলাজেন উত্পাদন বাড়াতে পারে। 

কেন এবং কখন অ্যান্টি-এজিং ক্রিম ব্যবহার করা শুরু করবেন: অ্যান্টি-এজিং ক্রিম ব্যবহার শুরু করার জন্য আদর্শ বয়স নির্দিষ্ট নয় বরং এটি অনেক কারণের উপর নির্ভর করে। যাইহোক, সাধারণত ত্রিশ বছর বয়সের পরে আপনার রূপরুটিনে একটি অ্যান্টি-এজিং ক্রিম অন্তর্ভুক্ত করা শুরু করতে পারেন। কারণ এই বয়সের পর থেকে কোলাজেন উত্পাদন ধীর হতে শুরু করে। তবে ত্বকে যদি বয়সের ছাপ না পড়ে তাহলে অ্যান্টি এজিং ক্রিম ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন নেই।

অ্যান্টি-এজিং ক্রিম বেছে নেওয়ার প্রথম ধাপ হল আপনার ত্বকের ধরন নির্ধারণ করা। ত্বক শুষ্ক, তৈলাক্ত, সংমিশ্রণ বা সংবেদনশীল যাইহোক না কেন, আপনার জন্য উপযুক্ত একটি অ্যান্টি-এজিং ক্রিম রয়েছে। শুষ্ক ত্বকের জন্য, একটি সমৃদ্ধ, পুষ্টিকর ক্রিম বেছে নিন। যদি তৈলাক্ত ত্বক হয় তাহলে হালকা, নন-কমেডোজেনিক ফর্মুলা বেছে নিন। সংবেদনশীল ত্বকের জন্য সুগন্ধমুক্ত, হাইপোঅ্যালার্জেনিক ক্রিম বেছে নেওয়া উচিত। 

কীভাবে ব্যবহার করবেন: অ্যান্টি-এজিং ক্রিম ব্যবহার করার আগে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। এরপর ত্বকের পিএইচ ভারাসম্য ঠিক রাখার জন্য  টোনিং লোশন লাগান। রূপচর্চাবিদের পরামর্শ, ত্বকে ক্রিম ব্যবহারের আগে সিরাম ব্যবহার করুন। 

অ্যান্টি-এজিং ক্রিম প্রয়োগের কৌশল: ক্রিমটি ত্বকে টান না দিয়ে আলতোভাবে লাগাতে হবে। আঙুলে ক্রিম নিয়ে আরেক আঙুল দিয়ে ঘষে গরম করে মুখে আলতো ভাবে লাগাতে শুরু করুন। মুখ এবং ঘাড়ে ঊর্ধ্বমুখী স্ট্রোকে মেখে নিন। চোখের চারপাশে আলতো করে ক্রিম ঘষে নিন। সকালে এবং সন্ধ্যায় অ্যান্টি এজিং ক্রিম ব্যবহার করুন।

অ্যান্টি-এজিং ক্রিম ব্যবহারের সময় যে ভুলগুলি এড়াতে হবে: অপরিষ্কার ত্বকে ক্রিম লাগাবেন না। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্রিম ব্যবহার করবেন না। অবশ্যই ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ক্রিম বেছে নিতে হবে, এর ব্যতিক্রম হলে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সূত্র: প্রেস স্কিন কেয়ার ডটকম

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়