প্রত্যাশার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন কাউন্সিলররা: মানিক
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ও কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক। কিন্তু নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে তার। ১৩৫ ভোটের মধ্যে মাত্র একটি ভোট পেয়েছেন তিনি। নির্বাচনের এ ফলাফল মোটেও প্রত্যাশিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন মানিক।
ফলাফল ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মানিক বলেন, ‘ফল প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। সবার কাছ থেকে যে আশ্বাস পেয়েছি, আশানুরূপ ফল হয়নি অবশ্যই। এই ফল প্রত্যাশিত না।’
পরাজয়ের কারণ জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘গতকাল রাতে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে। যেমন- বাদল রায়ের প্রত্যাবর্তন। বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করা হয়েছে কাউন্সিলরদেরকে। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু এই ভোটগুলো গেল কোথায়। তারা নিশ্চিত করেছিল আমাকে। কিন্তু আমি পয়সা দেইনি বলে হয়তো ভোট দেয়নি আমাকে।’
তার প্রতিপক্ষ ছিলেন তিনবারের সভাপতি প্রার্থী কাজী সালাহ্উদ্দীন। ৯৪ ভোট পেয়ে চতুর্থবার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। পুনরায় সালাহ্উদ্দিনকে সভাপতি নির্বাচিত করায় কাউন্সিলরদের সমালোচনাও করেন মাত্র এক ভোট পাওয়া মানিক, ‘সালাহ্উদ্দিন ভাইয়ের বিপক্ষে জনগণের রায়। তাই বলব, আশার বিপক্ষে একটি রায় হয়েছে। জনগণ চাচ্ছে পরিবর্তন, কিন্তু কাউন্সিলররা উপর থেকে বলেছে যে, তারা পরিবর্তনে বিশ্বাসী, কিন্তু অন্তর দিয়ে তারা যে পরিবর্তনে বিশ্বাসী নয়, তারই বহিঃপ্রকাশ এই ফল। ফুটবল উন্নয়নে কী কাজ করবে তা কাউন্সিলরদের দায়িত্ব। আগামী চার বছর ফুটবলের জন্য তাদের দায়বদ্ধতা সবচেয়ে বেশি থাকবে। ফেডারেশন থেকে কাউন্সিলরদের দায়বদ্ধতা বেশি।’
কাউন্সিলরদের ওপর নিজের রাগ ঝেরে মানিক বলেন, ‘এই ফল অনাকাঙ্ক্ষিত। সম্মানিত কাউন্সিলররা ভোটিংয়ের মাধ্যমে যে ফল দিয়েছেন, আমি মনে করি, তাদের দায়বদ্ধতা আগেও ছিল না। ফুটবলের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন কাউন্সিলররা।’
ফুটবলের মানুষ মানিক। নির্বাচনে হারলেও তিনি আবার ফিরবেন ফুটবলের রঙিন ভুবনে, ‘আমি ফুটবলের লোক। পরাজয় হলে, ফাইনালে হেরে গেলে পরের দিনই আমাকে খেলা নিয়ে ভাবতে হয়। পরের টুর্নামেন্ট নিয়ে ভাবি। এটাই আমাকে করতে হবে।’
ঢাকা/ইয়াসিন
আরো পড়ুন