ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘ধন্যবাদ ব্রাজিল’, ৮০তম জন্মদিনে হাস্যোজ্জ্বল পেলে

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৫, ২৩ অক্টোবর ২০২০  
‘ধন্যবাদ ব্রাজিল’, ৮০তম জন্মদিনে হাস্যোজ্জ্বল পেলে

সর্বকালের সেরা ফুটবলার বলা হয় তাকে। আজ শুক্রবার তার ৮০তম জন্মদিন। সম্প্রতি নানা শারীরিক জটিলতার মুখোমুখি হলেও সবসময় হাসিখুশি থাকতে পছন্দ করেন। বলা হচ্ছে ফুটবল গ্রেট পেলের কথা। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ব্রাজিলে নিজ ঘরেই সময় কাটছে তার, জন্মদিনেও এর ব্যত্যয় হয়নি। কিন্তু আরেকটি মাইফলক ছোঁয়ার পর তা উদযাপন করেছেন অতিপরিচিত হাসিতে।

এই সপ্তাহে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের প্রধানের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মজা করে বলেছিলেন, ‘আমি ভালো আছি, কিন্তু আমি এই জন্মদিনে খেলতে পারবো না।’ ফুটবল ইতিহাসের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ (১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০) জিতেছেন পেলে। তবে জন্মদিন নিয়ে তেমন মাথা ঘামান না ফুটবল সম্রাট, প্রত্যেক বছর তা পালন করেন নীরবে। এবারও তেমন।

তবে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভোলে না দেশবাসী। এবার তার সম্মানে সান্তোস শহরের সাও পাউলো ফুটবল জাদুঘরে প্রদর্শন করা হচ্ছে প্রখ্যাত স্ট্রিট আর্টিস্ট কোবরার নকশা করা একটি দেয়াল চিত্র। ১৯৫৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে এই শহরে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয় পেলের।

কদিন আগে গ্র্যামি জয়ী মেক্সিকান গায়ক রোদ্রিগো ও গাব্রিয়েলার সঙ্গে একটি গান রেকর্ড করেছেন পেলে, যাকে ‘তার ভক্ত ও নিজের জন্য জন্মদিনের উপহার’ উল্লেখ করেছেন। নিজের একটি গোল উদযাপনের ছবি দিয়ে বুধবার ইনস্টাগ্রামে তার পোস্ট ছিল এমন, ‘ব্রাজিল তোমাকে ধন্যবাদ এবং সব ব্রাজিলিয়ানদেরও। এই জার্সি পরে আমি সবসময় খুব সুখী ছিলাম। আমার জন্মদিনে উষ্ণ শুভ কামনার জন্য ধন্যবাদ।’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৩৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করে বিশ্ব ফুটবল সংস্থা ফিফা। সেখানে বর্তমান ও সাবেক খেলোয়াড় এবং কোচরা পেলেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর ব্রাজিলের দক্ষিণের শহর ত্রেস কোরাকোয়েসে জন্মগ্রহণ করেন পেলে, যার আসল নাম- এদসন আরান্তেস দু নাসসিমেন্তো। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ফুটবল প্রতিভা বিকশিত হতে থাকে।

সম্প্রতি নানা শারীরিক জটিলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে ফুটবল লিজেন্ডকে। করোনায় গৃহবন্দি হওয়ার আগেই হাসপাতালে যাওয়া-আসার মধ্যে ছিলেন। গত বছর ফরাসি তারকা কাইলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে একটি প্রচারণামূলক ইভেন্টে যোগ দিয়ে প্যারিসে গিয়েছিলেন। কিন্তু কিডনির সমস্যায় দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়।

২০১৪ সালে মূত্রনালীর গুরুতর সংক্রমণের কারণে ডায়ালাইসিস করাতে ইনটেনসিভ কেয়ারেও ছিলেন তিনি। ১৯৭৭ সাল থেকে একটি কিডনি নিয়ে বেঁচে আছেন পেলে। একটি ম্যাচে পাঁজরের হাড় ভেঙে গেলে অস্ত্রোপচারের সময় তার ডান কিডনি অপসারণে বাধ্য হন চিকিৎসকরা। বেশ কয়েকবার নিতম্বের সমস্যার কারণে হুইলচেয়ার ব্যবহার করতে হয়েছে তাকে। এ বছরের শুরুতে পেলের ছেলে এদিনসন জানান, তার বাবা কোনও কিছুর সাহায্য ছাড়া হাঁটতে পারছেন না এবং বিষণ্নতায় ভুগছেন। 

তবে কদিনের মধ্যেই পেলে তার ভক্তদের আশ্বস্ত করেন, তিনি ভালো আছেন। এই বয়সে এসে মাঝেমধ্যে অসুস্থ হওয়া স্বাভাবিক। গত মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে একটি ভিডিও পাঠান, জানান মানসিকভাবে সুস্থ আছেন তিনি। রসিকতাও করতে ছাড়েননি, ‘আশা করি আমি যেদিন মারা যাবো, ঈশ্বর আমাকে একইভাবে স্বাগত জানাবেন, যেভাবে আমাদের ভালোবাসার ফুটবলের জন্য আমাকে সারা বিশ্ব অভ্যর্থনা জানিয়েছিল।’ পেলেকে এভাবেই হাস্যোজ্জ্বল দেখে যেতে চান গোটা বিশ্ব। 

ঢাকা/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়