ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

প্রমাণ করার কিছু ছিল না, বিশ্বাস ছিল রান করবো: শান্ত

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ২১ এপ্রিল ২০২১  
প্রমাণ করার কিছু ছিল না, বিশ্বাস ছিল রান করবো: শান্ত

টানা ব্যর্থতায় নাজমুল হোসেন শান্ত ছিলেন প্রবল চাপে। সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন না উঠলেও বড় মঞ্চের জন্য তিনি আদর্শ কি না তা নিয়ে ছিল আলোচনা। ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের ফোয়ারা অথচ আন্তর্জাতিক মঞ্চে একেবারেই হতশ্রী পারফরম্যান্স।

শেষমেশ ব্যর্থতার শেকল ভেঙে শান্ত ফিরলেন রানে। এবার শুধু রানই করলেন না, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন। বুধবার পাল্লেকেলেতে শান্তর ব্যাট থেকে আসে ১২৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস। তাতে রীতিমতো উড়ছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তবে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য বা কাউকে জবাব দেওয়ার জন্য তিনি খেলেননি। তার বিশ্বাস ছিল বড় রান আসবে, সেই দিনটি আজ আসে দ্বীপরাষ্ট্রের ক্যান্ডিতে। 

আগের ৬ টেস্টের ১১ ইনিংসে শান্তর ফিফটি ছিল মাত্র ১টি। গত বছর ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭১ রান করেন। ওই ইনিংস ছাড়া বলার মতো কোনও পারফরম্যান্স নেই। টিম ম্যানেজমেন্ট ধারাবাহিক সুযোগ দিয়ে আসছিল। আস্থা ছিল তার ওপর। সেই আস্থার প্রতিদান আজ দিয়েছেন শান্ত।

দিন শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে গণমাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় যে, নিজেকে প্রমাণ করার কিছু নেই। আমার বিশ্বাস ছিল, আমি রান করতে পারবো। কারণ শেষ পাঁচ-ছয় মাস অনেক পরিশ্রম করেছি। ফল আসেনি। কিন্তু ওই বিশ্বাসটা ছিল যে বড় রান করতে পারবো।’

সবশেষ ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে উভয় টেস্টে ব্যর্থ হন শান্ত। ফলে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হতে হয় তাকে। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান জানালেন, মানসিকভাবে নিজেকে পরিণত করে আজ ব্যাটিংয়ে সাফল্য পেয়েছেন, ‘আমার কাছে মনে হয় মানসিকভাবে অনেক শান্ত ছিলাম। খুব বেশি চিন্তা করিনি রান করবো বা রান করতে চাই। ব্যাটিংটা উপভোগ করছি। যখনই ব্যাট করছি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বল দেখছি আর ব্যাট করছি। কত বল খেললাম বা রান করছি, এটা নিয়ে চিন্তা করিনি।’

ব্যাটিংয়ে শুরুর দিকে ভুগছিলেন শান্ত। টাইমিং মেলাতে পারেননি। আরেকপ্রান্তে তামিমের ব্যাট ছুটছিল বিরতিহীন। তামিমের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ড সচল থাকায় শান্ত স্বস্তিতে খেলতে পেরেছেন। ১২০ বলে পেয়েছিলেন ফিফটি। সেঞ্চুরি ছুঁতে খেলেছেন আরও ১১৫ বল। তামিম যেখানে নার্ভাস নাইন্টিজে আউট হন (৯০ রান)। সেখানে শান্ত একই স্থানে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্থির। ৯০ থেকে ১০০ রানে যেতে খেলেছেন ৩৮ বল। বাউন্ডারি মেরেছেন মাত্র একটি।

নিজের সেঞ্চুরির জন্য সতীর্থ তামিমকেও কৃতিত্ব দিলেন এ ব্যাটসম্যান, ‘‘তামিম ভাই খুব ভালো ব্যাট করছিলেন। তা আমাকে সাহায্য করেছিল। উনি দ্রুত রান করছিলেন। তাই আমি সময় নিতে পেরেছি। উইকেটে যাওয়ার পরই বলেছিলেন, ‘উইকেট ভালো, তুমি সেভাবে ব্যাট করো।’ ওইটাই মাথায় ছিল। আমি বল দেখেছি, খেলেছি। উইকেট নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করিনি।”

ঢাকা/ইয়াসিন/ফাহিম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়