ঢাকা     বুধবার   ০৮ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

ম্যানসিটিতে নাম লেখানো হালান্ডের জানা-অজানা

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৫, ১১ মে ২০২২  
ম্যানসিটিতে নাম লেখানো হালান্ডের জানা-অজানা

বেশ কয়েকটি ক্লাবের আকাঙ্ক্ষিত ফরোয়ার্ড আর্লিং হালান্ডকে পেলো ম্যানচেস্টার সিটি। বরুশিয়া ডর্টমুন্ড তারকা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবটির সঙ্গে পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি করতে রাজি। ৫ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড ট্রান্সফার ফিতে আগামী জুলাইয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সিটিজেনদের হবেন নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড।

ইংল্যান্ডে নতুন যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছেন হালান্ড। নিঃসন্দেহে পেপ গার্দিওলার দলে বাড়তি শক্তি যোগ করবেন তিনি। নতুন ক্লাবের জার্সি পরার আগে তার সম্পর্কে কিছু অজানা ও আকর্ষণীয় তথ্য জেনে নেওয়া যাক-

বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ

প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিয়ে হালান্ড তার বাবা আলফি হালান্ডের পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন। আলফি কিংবা আল-ইগনে হালান্ড বেশ কয়েক বছর ধরে ইংল্যান্ডে খেলেছেন, ম্যানসিটি ছাড়াও নটিংহ্যাম ফরেস্ট ও লিডস ইউনাইটেডে খেলেছিলেন।

এসেছেন ক্রীড়া পরিবার থেকে

খেলাধুলা মিশে ছিল হালান্ডের রক্তে। কারণ তার বাবা আলফি ছিলেন ফুটবলার এবং মা গ্রাই মারিটা ব্রাউট একজন জাতীয় হেপ্টাথলন চ্যাম্পিয়ন।

হালান্ডের খালাতো ভাইবোনও খেলোয়াড়। আলবার্ট জালান্ড ও জোনাতান ব্রাউট ব্রুনেস খেলেন নরওয়েজিয়ান ক্লাব ব্রাইন ও আইকে স্টার্টে। জোনাতানের বোন এমা ব্রাউট ব্রুনেস নরওয়েজিয়ান দল ক্লেপের নারী দলের একজন ডিফেন্ডার।

ইংল্যান্ড জাতীয় দলে খেলার যোগ্য ছিলেন

২০০১ সালের ২১ জুলাই হালান্ড জন্মগ্রহণ করেন লিডসে, যখন তার বাবা আলফি খেলছিলেন লিডস ইউনাইটেডের হয়ে।

ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়ায় তিনি ইংলিশ জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্য ছিলেন। কিন্তু তিনি বেছে নেন তার মাতৃভূমিকে।

হালান্ড ‘দ্য ম্যান-চাইল্ড’

হালান্ড আগে থেকেই শারীরিক গড়নে একটু বাড়ন্ত ছিলেন। তাই তার ডাকনাম ছিল ‘দ্য ম্যান-চাইল্ড’। শৈশবে শারীরিক গড়নের কারণে সতীর্থরা ডাকত এই নামে। তার বর্তমান উচ্চতা ১৯৪ মিটার, মানে ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি।

পাঁচ বছর বয়সেই বিশ্ব রেকর্ড

এই ফুটবলার স্ট্যান্ডিং লং জাম্পে ১.৬৩ মিটার অতিক্রম করেছিলেন, তখন তার বয়স মাত্র ৫ বছর। ইন্টারন্যাশনাল এইজ রেকর্ড অনুযায়ী, পাঁচ বছর বয়সে সেটি ছিল বিশ্ব রেকর্ড, যা এখনও অটুট।

চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম পাঁচ ম্যাচে গোল করা একমাত্র টিনএজার

এখন পর্যন্ত মাত্র তিনজন খেলোয়াড় চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচের প্রত্যেকটিতে গোল করেছেন। আলেসান্দ্রো ডেল পিয়েরো, ডিয়েগো কস্তা ও হালান্ড। এদের মধ্যে নরওয়েজিয়ান সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে এই কীর্তি গড়েছেন। ২০১৯-২০ মৌসুমে প্রথম পাঁচটি গ্রুপ ম্যাচে রেড সলজবুর্গের হয়ে ৮ গোল করেন হালান্ড।

আদর্শ জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ

ফুটবলের সঙ্গে যখন পরিচয়, তখন থেকে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচকে আদর্শ মেনেছেন। সলজবুর্গে থাকার সময় সুইডিশ স্ট্রাইকারের কথা উল্লেখ করে এক সাক্ষাৎকারে হালান্ড বলেন, ‘আমার অনেক রোল মডেল এবং আমি অনেক ভালো খেলোয়াড় দেখেছি, কিন্তু জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের মতো বড় মাপের কেউ নয় আমার কাছে। তিনি কীভাবে এত ভালো, কোন (পথ) বেছে নিয়েছেন, কেমন করে তিনি এমন খেলেন। তিনিও স্ক্যান্ডিনাভিয়ান, তাই তার কাছ থেকে কারও দায়িত্ব বুঝে নিতে হবে।’

আরেকটি ব্যাপার হলো, হালান্ডের আর ইব্রার ফুটবল এজেন্ট ছিলেন একই জন- সদ্য প্রয়াত মিনো রায়োলা।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ডায়েট মেনে চলেন

ইব্রাহিমোভিচকে আদর্শ মানলেও মাঠের শৃঙ্খলা ও ডায়েটের বিষয়টি এলে হালান্ড অনুসরণ করেন রোনালদোর পথচলাকে।

২০১৯ সালে এক সাক্ষাৎকারে হালান্ডের বাবা এই কথা জানান, ‘একবার রোনালদোর সঙ্গে লাঞ্চ করার ঘটনার কথা প্যাট্রিক এভ্রা তাকে বলেছিল এবং বলেছিল যে রোনালদোর প্লেটে কেবল মাছ ছিল, আর কিছু নয়। আর্লিংও একই একই ব্যাপারগুলো করার চেষ্টা করে কারণ রোনালদোর বয়স ৩৪ এবং এখনও সে শীর্ষ পর্যায়ে খেলে, কারণ এটা সঠিক কর্মের মূল্য প্রমাণ করে।’

অ্যালার্ম হলো চ্যাম্পিয়নস লিগের থিম সং

ইউরোপিয়ান ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং একদিন এটা জেতার স্বপ্ন দেখেন হালান্ড। এমনকি তিনি এতটাই বুঁদ হয়ে থাকেন যে, টুর্নামেন্টের অফিসিয়াল থিম সং তার অ্যালার্ম টোন।

এক সাক্ষাৎকারে হালান্ড বলেছিলেন, ‘এটা (থিম সং) আমার অ্যালার্ম টোন। প্রতিদিন আমি এটা শুনে জাগি। আমি দিনের শুরুটা নিখুঁতভাবে করতে চাই।’

এক ম্যাচে ৯ গোল!

২০১৯ সালের অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে হন্ডুরাসের বিপক্ষে গ্রুপ ম্যাচ। হালান্ড করলেন ৯ গোল, নরওয়ে ম্যাচটি জিতেছিল ১২-০ গোলে। তার দল গ্রুপ পর্ব পেরোতে ব্যর্থ হলেও টুর্নামেন্টের শীর্ষ গোলদাতা ছিলৈন হালান্ড।

ঢাকা/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়