চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের হাতে আরও দুই পুরস্কার
![চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের হাতে আরও দুই পুরস্কার চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের হাতে আরও দুই পুরস্কার](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2024February/Tamim-Iqbal-2403011746.jpg)
রান সংখ্যায় পিঠাপিঠি ছিল তাদের অবস্থান। তামিম ইকবালের রান ৪৫৩। তাওহীদ হৃদয়ের ৪৪৭। বিপিএল ফাইনালের আগে এই দুজনকে নিয়েই আলোচনা হচ্ছিল সর্বত্র। ফাইনালে যার পারফরম্যান্স এগিয়ে থাকবে, শিরোপা জেতাতে ভূমিকা রাখবে তার হাতেই উঠবে বিপিএলের টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার।
শুধু তাই নয় রান সংখ্যায় কে এগিয়ে থাকবে তা নিয়েও চলছিল চাপা প্রতিযোগিতা। শুক্রবার দশম আসরের বিপিএলের ফাইনালের রাতে তামিম ইকবালের মুখেই ফুটলো শেষ হাসি। ৪৯২ রান নিয়ে তামিম টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় এবং সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের পুরস্কার জিতেছেন। তাওহীদ রান করেছেন ৪৬২।
ফাইনালে দুজনের পারফরম্যান্স গড়ে দিয়েছে ব্যবধান। তাওহীদ মাঠে নেমে শুরুতে ২ চার মেরে ভালো শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাকে থেমে যেতে হয় ১৫ রানে। লক্ষ্য তাড়ায় তামিম ছিলেন ভারমুক্ত। তবে তার আগ্রাসী ব্যাটিং ফরচুন বরিশালকে শিরোপা জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছে। ১৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তামিম ২৬ বলে ৩৯ রান করেন ৩টি করে চার ও ছক্কায়। দলকে শিরোপা জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে না পারলেও তার পারফরম্যান্স শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রভাব রেখেছে।
তাওহীদ হৃদয় এবারের বিপিএলে প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতাও ছিল। ছিল ম্যাচ উইনিং পারফরম্যান্সও। কিন্তু বড় মঞ্চে শেষ হাসিটা হাসতে পারেননি। তাতে শিরোপা হারানোর সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত পুরস্কারও হারিয়েছেন তাওহীদ।
ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়ে তামিম পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা। আর সর্বোচ্চ রান করে পেয়েছেন আরও ৫ লাখ। তামিম প্রথমবারের মতো বিপিএলের সেরার খেতাব জিতেছেন। সঙ্গে অধিনায়ক হিসেবে এবারই প্রথম পেলেন বিপিএল শিরোপা। এর আগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে শিরোপা জিতেছিলেন একবার।
বিপিএল সর্বোচ্চ চারবার টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। প্রথম দুই আসরের পর ২০১৭ সালে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান বাঁহাতি অলরাউন্ডার। সেবার অর্থ পুরস্কারের সঙ্গে একটি মোটরবাইকও পেয়েছিলেন। সাকিবের শোকেসে বিপিএল সেরার পুরস্কার গেছে ২০২২ সালেও।
বিপিএলে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্স:
খেলোয়াড় | দল | পারফরম্যান্স |
সাকিব আল হাসান | খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলস | ২৮০ রান ও ১৫ উইকেট |
সাকিব আল হাসান | ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স | ৩২৯ রান ও ১৫ উইকেট |
আসগর জাইদি | কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স | ২১৫ রান ও ১৭ উইকেট |
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ | খুলনা টাইটান্স | ৩৯৬ রান ও ১০ উইকেট |
ক্রিস গেইল | রংপুর রাইডার্স | ৪৮৫ রান |
সাকিব আল হাসান | ঢাকা ডায়নামাইটস | ৩০১ রান ও ২৩ উইকেট |
আন্দ্রে রাসেল | রাজশাহী রয়্যালস | ২২৫ রান ও ১৪ উইকেট |
সাকিব আল হাসান | ফরচুন বরিশাল | ২৮৪ রান ও ১৬ উইকেট |
নাজমুল হোসেন শান্ত | সিলেট স্ট্রাইকার্স | ৫১৬ রান |
ইয়াসিন/আমিনুল
আরো পড়ুন