ঢাকা     শনিবার   ১৮ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

ম্যারাডোনার মৃত্যুর নতুন কারণ, মেয়ের ক্ষোভ

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৪, ৪ মে ২০২৪  
ম্যারাডোনার মৃত্যুর নতুন কারণ, মেয়ের ক্ষোভ

আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা মারা গেছেন চার বছরেরও বেশি সময় হবে। এতোদিন পর এসেও থেমে নেই জনপ্রিয় এই ফুটবল তারকার মৃত্যু রহস্য উদ্‌ঘাটনের কাজ। এবার জানা গেল ম্যারাডোনার মৃত্যুর নতুন কারণ। সম্প্রতি এক মেডিকেল রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, তার মুত্যৃর অন্যতম কারণ হতে পারে কোকেইন।

২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে হৃদযন্ত্রের ক্রীড়া বন্ধ হয়ে মারা যান ম্যারাডোনা। তখন ধারণা করা হয়েছিল হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন ম্যারাডোনা। তবে এরপর ম্যারাডোনার মৃত্যুর সময় দায়িত্ব পালন করা আট ডাক্তার ও নার্সের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার কারণে রোগীর মুত্যু হয়েছে কি না-সে বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়।

আর এতেই দেখা দেয় বিপত্তি। যেই আটজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়, তাদের দুজন ছিলেন ম্যারাডোনার মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অগাস্তিনা কোসাশভ ও ডক্টর লিওপোল্দো লুক। তাদের আইনজীবীদের অনুরোধের ভিত্তিতে ম্যারাডোনার হার্ট অ্যাটাকের কারণ অনুসন্ধানে গবেষণা করা হয়। এতেই পাওয়া যায় ভিন্ন রিপোর্ট।

পরীক্ষক পাবলো ফেরারির ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারাডোনার ওই সময়ের দ্রুত ও অনিশ্চিত হৃদক্রিয়ার পেছনে বাহ্যিক (এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর) কোনো বস্তুর প্রভাব থাকতে পারে। সেটা হতে পারে কোকেইনের মতো নেশাজাতীয় দ্রব্য।’

এ তথ্য সামনে আসার পর চটেছেন ম্যারোডোনার মেয়ে জিয়ান্নিনা ম্যারাডোনা। নতুন এই রিপোর্টের প্রতিবাদে জিয়ান্নিনা অটোপসি রিপোর্টের ফল সামনে এনে দেখিয়েছেন- ম্যারাডোনার মৃত্যুর কারণ ছিল পালমোনারি এডেমা। জিয়ান্নিনা বলেন, ‘২০০৪ সালের ৯ মে থেকে আমার বাবা কোকেইন নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। অটোপসি রিপোর্টেও প্রমাণ হয় যেদিন বাবা স্বর্গে গেলেন ওইদিন তার হার্ট কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। 

’ওইদিন তার কণ্ঠ রোবটের মতো শোনাচ্ছিল কারণ তার ফুসফুসে কিছু একটা হচ্ছিল। পৃথিবীর সবাই জানে তিনি হার্টের রোগী। তারপরও হার্টের রোগের জন্য কোনো মেডিকেশন দেওয়া হয়নি। এবং কেউ তার ফুসফুসের দিকেও নজর দেয়নি। সবাই ব্যস্ত ছিল রুম পরিস্কার, অ্যাকাউন্ট খালি করার মতো কাজের দিকে।’-যোগ করেন ম্যারাডোনা।

জিয়ান্নিনা মনে করেন দায়িত্বে অবহেলার কারণে যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে তারা আসলেই দোষী, ‘নিজেদের কাজ ঠিকমতো না করার কারণেই আজ তারা এখানে। এখন তারা নিজেদের জেলে যাওয়া থেকে বাঁচাতে এইসব করছে। আমি কিছুতেই ভয় পাই না। প্রয়োজনে আমাকে ওদের মেরে ফেলতে হবে। তার আগে আমাকে চুপ করানো যাবে না।’

ঢাকা/বিজয়

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়