ঢাকা     বুধবার   ১৪ মে ২০২৫ ||  চৈত্র ৩১ ১৪৩২

টেস্টে ম্যাচ প্রতি ৮ লাখ টাকা, তবুও শান্তদের ফর্মে খরা!

ক্রীড়া প্রতিবেদক, সিলেট থেকে || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১০, ২৩ এপ্রিল ২০২৫  
টেস্টে ম্যাচ প্রতি ৮ লাখ টাকা, তবুও শান্তদের ফর্মে খরা!

প্রশ্নটা শুনতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত প্রস্তুত ছিলেন না। কিছুক্ষণ আগেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট হেরেছেন। চোখে মুখে বিষন্নতা স্পষ্ট। সংবাদ সম্মেলনে এসেছে বিমর্ষ মুখ নিয়ে।

পারফরম‌্যান্সের আয়নায় নিজেদের খুঁজেও পাচ্ছেন না। একেবারেই অধারাবাহিক। অপেশাদারিত্ব মনোভাব। স্রেফ দায়সারা ও গা-বাঁচানো ক্রিকেট খেলছেন। তাইতো প্রশ্ন উঠছে, বিসিবি এতো সুযোগ-সুবিধা, বেতন বাড়ানো, ম‌্যাচ ফি’র উন্নতি, বোনাস ঘোষণা করেও কেন সুফল পাচ্ছে না? অধিনায়ক শান্তর কাছেই তাই জানতে চাওয়া, আর কী করলে পারফরম‌্যান্স পেতে পারে বাংলাদেশ।
অধিনায়ক প্রশ্নটা শুরুতে ভালোভাবে নেননি। তাইতো পাল্টা প্রশ্ন করেই বললেন, ‘‘বেতন বাড়ানোয় মনে হয় আপনারা খুশি না। বা ম‌্যাচ ফি।’’ তবে বিসিবিকে ধন‌্যবাদ জানাতে ভুল করেননি, ‘‘অনেক দিন পর আমাদের ম‌্যাচ ফি বেড়েছে সেটা অবশ্যই অ‌্যাপ্রিসিয়েট করার মতো বিষয়।’’

শান্ত, মিরাজ ও লিটন বিসিবির ‘এ’ ক‌্যাটাগরির ক্রিকেটার। তারা ৮ লাখ টাকা করে প্রতি মাসে বেতন পাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় চুক্তির সর্বনিম্ন গ্রেড ‘ডি’। সেখানে থাকা দুই ক্রিকেটার মাস প্রতি পাচ্ছেন ২ লাখ টাকা। ২০২০ সাল থেকে ক্রিকেটাররা ম‌্যাচ ফি প্রতি টেস্টে ৬ লাখ টাকা, প্রতি ওয়ানডেতে ৩ লাখ টাকা ও প্রতি টি-টোয়েন্টিতে ২ লাখ টাকা করে পেয়ে আসছিলেন।

আরো পড়ুন:

গত বছর ম্যাচ ফি বাড়িয়ে টেস্টে ৮ লাখ, ওয়ানডেতে ৬ লাখ ও টি-টোয়েন্টিতে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছিল তখনকার ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ। তবে বোর্ড সভায় অনুমোদন পায়নি সেটি। ফারুক আহমেদের বোর্ড গত মার্চে তা অনুমোদন দেয়। সাম্প্রতিক অতীতের পারফরম্যান্স খুব একটা আশা জাগানিয়া নয়—তবে বাড়ছে ক্রিকেটারদের পারফরম‌্যান্স বোনাসও।

সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে মাঠে নেমে একাদশে থাকা সব ক্রিকেটার ৮ লাখ টাকা করে পেয়েছেন। একাদশের বাইরে থাকা নাঈম হাসান ও জাকির হাসান ছিলেন দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ ক্রিকেটার। তারা পেয়েছেন ম‌্যাচ ফির ৫০ শতাংশ টাকা, অর্থ‌্যাৎ ৪ লাখ টাকা। আর চতুর্দশ ও পঞ্চদশ ক্রিকেটার ছিলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও তানজিম হাসান সাকিব। তারা পেয়েছেন ৩০ শতাংশ, ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এছাড়া প্রতি দিনের দৈনিক ভাতা তো আছেই।

সুযোগ-সুবিধা, অর্থ-বৈভব কোনো কিছুরই ঘাটতি নেই। তবুও পারফরম্যান্স মনোঃপুত নয়। শান্ত বললেন সামনে এগিয়ে যেতে ভালো ক্রিকেটের বিকল্প নেই, ‘‘আর কি হলে আসলে ভালো হবে….আমার কাছে মনে হয় ভালো ক্রিকেট খেলাটাই গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করা, দায়িত্ব নিয়ে খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যে ধরণের ক্রিকেট খেলছি আমাদেরকে অবশ‌্যই দায়িত্বটা নিতে হবে। ভালো করতে পারছি না। কিভাবে ভালো করতে পারি সেটা সবাই মিলে বসে আলোচনা করে নিতে হবে। এমন না যে আমরা কেউ কষ্ট করছি না বা অন‌্য কিছু। যেহেতু পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ঘাটতি আছে। বিশেষ করে যার যার যেই ভূমিকায় আছে সেটা ঠিক হয়েই দায়িত্ব পালন করতে হবে।’’

সিলেট/ইয়াসিন/আমিনুল


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়