ঢাকা     সোমবার   ১৪ জুলাই ২০২৫ ||  আষাঢ় ৩০ ১৪৩২

জোড়া সেঞ্চুরির ভেলায় উদ্ভাসিত বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৩, ১৭ জুন ২০২৫   আপডেট: ১৮:১১, ১৭ জুন ২০২৫
জোড়া সেঞ্চুরির ভেলায় উদ্ভাসিত বাংলাদেশ

স্কোর: বাংলাদেশ ২৯২/৩ (প্রথম দিন)

পরিস্থিতি অনুকূলে ছিল না। ৪৫ রানে ৩ ব্যাটসম্যান সাজঘরে। আগের ম্যাচগুলোতে ব্যাটসম্যানরা ছিলেন ফ্লপ। নেই দলীয় ভালো সুখস্মৃতি। আশার আলো ছিল না তেমন। তবুও হাল ধরলেন মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরু করলেন দলকে উদ্ধারের লড়াই। 

শ্রীলঙ্কা বরাবরই মুশফিকুরের প্রিয় প্রতিপক্ষ। শান্তর ক্যারিয়ারের টার্ণ হয়েছিল এই শ্রীলঙ্কাতেই। ছোট ছোট সেই সুখস্মৃতিগুলোই সাগর পাড়ের স্টেডিয়ামে বড় হয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ালো দুজনের। প্রথমে থিতু হলেন। পরে রান তুলেছেন অনায়েসে। টেস্ট ক্রিকেটের আদর্শ ব‌্যাটিংয়ে ছবি ফুটিয়ে তুললেন দুজনই।  

আরো পড়ুন:

তাতে জোড়া সেঞ্চুরি পেল বাংলাদেশ। প্রথমে শান্ত ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন। এরপর মুশফিক দ্বাদশ। দুজনের সেঞ্চুরির আলোতে উদ্ভাসিত বাংলাদেশ। 

গলে ৩ উইকেটে ২৯২ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ১০৫ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ১৩৬ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে এসেছে ২৪৭ রান। 

এক নজরে পুরো দিন

সেশন ১

২৮ ওভার ৯০ রান ৩ উইকেট (রান রেট ৩.২১)

সেশন ২

৩০ ওভার ৯২ রান ০ উইকেট (রান রেট ৩.০৭)

সেশন ৩

৩২ ওভার ১১০ রান ০ উইকেট (রান রেট ৩.৪৪)

 

সেঞ্চুরির ডানা মেলে উড়ছেন শান্ত-মুশফিকুর

১৩ ইনিংস পর ফিফটি পেয়েছিলেন মুশফিকুর। সেটাকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিলেন বাংলাদেশের মিস্টার ডিপেনডেবল।

২০২৪ সালে রাওয়ালপিণ্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯১ রানের পর রান খরায় ভুগছিলেন মুশফিকুর। দলে তার জায়গা নিয়েও উঠছিল প্রশ্ন। সব চাপ সামলে এবার তিন অঙ্কের ডানা মেলে উড়লেন মুশফিকুর। 

শান্তর পর মুশফিকুর গলে শেষ বিকেলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বাদশ সেঞ্চুরি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চতুর্থ এবং দেশের বাইরে ষষ্ঠ। মুমিনুল ১৩ সেঞ্চুরি নিয়ে রয়েছেন সবার উপরে। ১২ সেঞ্চুরিতে মুশফিক দুইয়ে। 

কোনো তাড়াহুড়ো নয়, কোনো ধৈর্যর বিচ্যুতি নয়। শান্ত থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছেন মুশফিকুর। ক্যারিয়ারে এর আগে চারবার নার্ভাস নাইন্টিজে গিয়ে আউট হয়েছেন। এবার কোনো ভুল নয়। ম্যাজিকাল ফিগারটা ছুঁয়েছেন ঝুঁকি নিয়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছেন। 

শান্ত ও মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ। ৩ উইকেটে বাংলাদেশের রান ২৮৪। চতুর্থ উইকেটে তাদের জুটির রান ২৩৯। শান্ত ১৩২ রানে ব্যাটিং করছেন। 

দুইশ রানের জুটি

দলীয় ৪৫ রানে মুমিনুল হক সাজঘরে ফেরার পর মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত চতুর্থ উইকেটে জুটি বাঁধেন। লম্বা সময় ক্রিজে কাটিয়ে, কঠিন পরীক্ষা দিয়ে, বোলারদের কড়া শাসনের পর তাদের জুটির রান পৌঁছে গেছে দুইশর ঘরে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ ডাবল সেঞ্চুরির জুটি। 

আগের পাঁচটি…

লিটন ও মুশফিক ২৭২
আশরাফুল ও মুশফিক ২৬৭
মুমিনুল ও শান্ত ২৪২
মুমিনুল  ও মুশফিক ২৩৬
ইমরুল ও শামসুর ২৩২

শান্তর সেঞ্চুরি, একই পথে হাঁটছেন মুশফিকুর

ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। দেশের বাইরে তৃতীয়।

২০২ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। নামের পাশে যুক্ত আছে ১১ চার ও ১ ছক্কা। 

২০ ইনিংস পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেন শান্ত। ২০২৩ সালে সিলেটে সবশেষ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। এই ম্যাচের আগে তার ওপেনিংয়ে নামা নিয়ে কথা হচ্ছিল। কিন্তু চারে আগের পাঁচ সেঞ্চুরি পাওয়া শান্ত আজও চারেই এসেছিলেন ব্যাটিংয়ে। 

শুরু থেকে দারুণ আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং করেছেন। ধ্রুপদী সব শটে প্রতিপক্ষকে নাড়িয়ে দিয়েছেন। বাউন্ডারির ফোয়ারা তো ছিলই সঙ্গে সিঙ্গেলস-ডাবলসে এগিয়ে নেন নিজের রান, দলের স্কোরবোর্ড। প্রথম সেশনের ধারাবাহিকতা ছিল দ্বিতীয় সেশনেও। শেষ সেশনে দ্বিতীয় ঘণ্টার শুরুতে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান পেয়ে যান ষষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরির স্বাদ। 

এদিকে মুশফিকুর রহিম সেই পথেই হাঁটছেন। ৮৬ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। 

দুজন চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১৯০ রানের জুটি গড়েছেন।

বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ২৩৪।  

দ্বিতীয় সেশনে ৩০ ওভারে বাংলাদেশের ৯২ রান

মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে গল টেস্টের দ্বিতীয় সেশন দারুণ কাটাল বাংলাদেশ।

এই সেশনে কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। ৩০ ওভারের খেলায় রান হয়েছে ৯২। রান রেট ৩.০৭। এর আগে প্রথম সেশনে বাংলাদেশ ২৮ ওভারে ৯০ রান তুলেছিল। হারিয়েছিল ৩ উইকেট।

মুশফিক ও শান্তর অবিচ্ছিন্ন ১৩৭ রানের জুটিতে বেশ ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ। ৩ উইকেটে ১৮২ রান নিয়ে চা-বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। মুশফিক ৬৬ ও শান্ত ৭০ রানে ব্যাটিং করছেন। 

শান্ত-মুশফিকের ফিফটি, জুটির শতরান পূর্ণ

প্রবথ জয়াসুরিয়ার বল আলতো টোকায় মিড উইকেটে পাঠিয়ে ১ রান পেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশের অধিনায়কের ফিফটি পূর্ণ। তাতে পূর্ণ হয় জুটির শতরানও। চতুর্থ উইকেটে মুশফিকুর রহিম ও শান্ত জুটি বেঁধেছিলেন। ওই ওভারেই বল পয়েন্টে পাঠিয়ে মুশফিকুর ১ রান পান। এবার মুশফিকের ফিফটি পূর্ণ। 

১৩ ইনিংস পর মুশফিকুর ফিফটির স্বাদ পেলেন। যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৮তম ফিফটি। শান্ত এক ইনিংস পরই পেলেন পঞ্চাশের স্বাদ। টেস্ট ক্রিকেটে এটি তার ষষ্ঠ ফিফটি। 

শান্ত-মুশফিকের নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিং

দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ঘণ্টায় দারুণ ব্যাটিং করেছেন মুশফিকুর ও শান্ত।

১৫ ওভার হয়েছে এই ঘণ্টায়। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৪ রান যোগ হয়েছে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে। ১৬১ বলে ৮৯ রানের জুটি গড়েছেন থিতু হওয়া দুই ব্যাটসম্যান। মুশফিকুর ৪৫ ও শান্ত ৪৩ রানে ব্যাটিং করছেন। 

দুই ব্যাটসম্যান, বোলারদের কোনো সুযোগই দিচ্ছেন না। শুরুতে অফস্পিন বোলিং করা থারিন্দু এখন বাঁহাতে হাত ঘুরাচ্ছেন। উইকেটে খোঁজে রয়েছে লঙ্কানরা। এই সেশনের পরের ঘণ্টার পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করবে অনেক কিছু।

এনামুলের ডাক, দুই বলে দুই উইকেটের পর শান্ত-মুশফিকের লড়াই

গল টেস্টের প্রথম সেশনের লড়াই হলো সমানে সমান। শুরুর ঘণ্টায় বাংলাদেশ চাপে ছিল। পরের দশ মিনিটে আরো বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ ৫০ মিনিটের লড়াইয়ে বাংলাদেশ দারুণভাবে ফিরে এসেছে। 

শুরুতে এনামুল হক বিজয় শূন্য রানে ফিরে যান। সেখান থেকে মুমিনুল ও সাদমান হাল ধরেন। কিন্তু অভিষিক্ত অফস্পিনার থিতু হওয়া দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরালে আবার চাপে পড়ে অতিথিরা। সেখান থেকে পাল্টা আক্রমণ করে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন মুশফিকুর রহিম ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। 

২৮ ওভারের প্রথম সেশনে ৩ উইকেটে বাংলাদেশের রান ৯০। মুশফিকুর ২০ ও শান্ত ২৫ রানে ব্যাটিং করছেন। 

আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে নিজের স্কোরিং শট বাড়াচ্ছিলেন মুমিনুল। কিন্তু বাড়তি ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটিং করে নিজের উইকেট বিলিয়ে আসেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান (২৯) । ২১ রানে থারিন্দুর বলে স্লিপে ধনাঞ্জয়ার হাতে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান মুমিনুল। কিন্তু দ্বিতীয় জীবন কাজে লাগাতে পারেননি। ওই একই বোলারকে একই শটে স্লিপে ক্যাচ দেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। 

এবার ধনাঞ্জয়া আগের থেকে প্রস্তুত ছিলেন। মুমিনুলের কাট শটে বল চলে যায় তার বুক বরাবর। রিফ্লেক্সে দারুণ ক্যাচ নেন এই ফিল্ডার। এই ক্যাচের আগে সাদমানের ক্যাচও নেন তিনি। অফস্পিনারকে ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে গিয়ে ধনাঞ্জয়ার হাতে ধরা পড়েন সাদমান (১৪)। মুমিনুল ও সাদমান পৃথক ওভারের শেষ ও শুরুর বলে আউট হন। তাতে হ্যাটট্রিকের সম্ভবনা তৈরি হয় অভিষিক্ত থারিন্দুর। কিন্তু মুশফিক হ্যাটট্রিক বলটি দেখেশুনে খেলে পরিস্থিতি সামলে নেন।

ক্রিজে এসে শান্ত আত্মবিশ্বাসী শুরু করেছেন। ডাউন দ্য উইকেটে এসে নজরকাড়া শট খেলেছেন। দুই উইকেট নেওয়া থারিন্দুর বলে ইনসাইড আউট শটে মাথার ওপর দিয়ে একমাত্র ছক্কাটি মেরেছেন। একই বোলারকে ব্যাকফুট পাঞ্চে চার মেরেছেন যা ছিল দিনের সেরা শট। মুশফিকুর রহিমও আশা দেখাচ্ছেন বড় কিছুর। সুইপ, কাট খেলেছেন আত্মবিশ্বাস নিয়ে। চতুর্থ উইকেটে তাদের জুটি ৪৫ রানের। দ্বিতীয় সেশনে তা কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার। 

শুরুর ঘণ্টায় চাপে বাংলাদেশ

ইনিংসের তৃতীয় বলে দারুণ এক চার সাদমান ইসলামের ব্যাটে। পেসার আসিথা ফার্নান্দোর পায়ের ওপরের বল নিজের জোনে পেয়ে সাদমান বাউন্ডারিতে পাঠান চোখের পলকে। এরপর রানের চাকা যেন থমকে গেল। পরের চার বাংলাদেশ পেল নবম ওভারে। ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে হারানোর পর মুমিনুল ক্রিজে আসলেন। প্রতি আক্রমণে গিয়ে রান তুলে  রান তুললেন অনায়েসে। 

গল টেস্টের শুরুর ঘণ্টায় শ্রীলঙ্কা চাপে রেখেছে বাংলাদেশকে। ১ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩২। সাদমান ৯ ও মুমিনুল ২২ রানে ব্যাটিং করছেন।  

ওপেনারকে এনামুলকে চাপে রেখে সাফল্য পেয়েছেন আসিথা ফার্নান্দো। ডানহাতি পেসার শুরু থেকে লেন্থ বোলিং করছিলেন। চতুর্থ ও পঞ্চম স্টাম্প বরাবর বল করে এনামুলকে পরীক্ষা নিচ্ছিলেন। ওই ফাঁদেই পড়েন ডানহাতি ওপেনার। আউটসুইং হওয়া ডেলিভারীতে আলগা শটে উইকেটের পেছনে তালুবন্দি হন। শূন্য রানে ফেরেন এনামুল। যা তার ১২তম টেস্ট ইনিংসের দ্বিতীয় ডাক।

মুমিনুল ক্রিজে এসে সুইপ করে পেয়েছেন বাউন্ডারি। আসিথাকেই আপারকাটে পয়েন্টের ওপর দিয়ে মেরেছেন চার। আরেক পেসার মিলনের বলে ফরোয়ার্ড ড্রাইভ করেছেন দারুণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে। সাদমান তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন ধীর স্থির মনোভাবে।

মিরাজ নেই, টস জিতে ব‌্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত টস জিতেছেন। তিনি ব‌্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জ্বরের কারণে এই ম‌্যাচে খেলতে পারছেন না স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।

শ্রীলঙ্কা একাদশ:

পাথুম নিসাঙ্কা, লাহিরু উদারা, দিনেশ চান্দিমাল, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (অধিনায়ক), কুসল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, প্রবথ জয়সুরিয়া, থারিন্দু রথনায়েক, মিলন রথনায়েক ও অসিথা ফার্নান্দো। 

বাংলাদেশ একাদশ:

সাদমান ইসলাম, এনামুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, জাকের আলী, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ। 

৮ বছর পর গলে বাংলাদেশ

সাগর পাড়ের স্টেডিয়াম গল। পৃথিবীর অন‌্যতম নয়নাভিরাম স্টেডিয়াম। ১৯৯৮ সালে এর যাত্রা শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কেবল দুটি ম‌্যাচ খেলেছে এই মাঠে। ২০১৩ এবং ২০১৭ সালে। ৮ বছর পর বাংলাদেশ এই মাঠে খেলতে যাচ্ছে। ২০১৩ সালে মুশফিকুর রহিম এই মাঠে প্রথম বাংলাদেশি ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। ম‌্যাচটি ড্র করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ২০১৭ সালে বাংলাদেশ পারেনি ম‌্যাচ বাঁচাতে। লম্বা সময় পর গলে ফিরে বাংলাদেশ কেমন করে সেটা দেখার।

পিঠাপিঠি অবস্থানে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা

সবশেষ টেস্ট চ‌্যাম্পিয়নশিপে পিঠাপিঠি অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা ১৩ ম‌্যাচে মাত্র ৫টিতে জিতেছিল। পয়েন্ট তালিকায় ছিল ছয় নম্বরে। বাংলাদেশ ১২ ম‌্যাচে মাত্র ৪টিতে জিতেছিল। পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান ছিল সাতে। এবার দুই দল নিজেদেরকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে সেটাই দেখার। 

টেস্ট চ‌্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র শুরু

আইসিসি টেস্ট চ‌্যাম্পিয়নশিপ বা টেস্ট বিশ্বকাপের চতুর্থ চক্রের খেলা শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার এই টেস্ট সিরিজ দিয়ে। ২০২৫ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত নয়টি দেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। প্রতিটি দল দুই বছরের মধ্যে ছয়টি সিরিজ খেলবে। যার তিনটি দেশের মাটিতে, তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে। প্রতিটি সিরিজ হবে কমপক্ষে দুই টেস্টের। সর্বোচ্চ পাঁচটি টেস্ট থাকতে পারবে এক সিরিজে। এই সময়ে সিরিজ হবে মোট ২৭টি, যেখানে টেস্টের সংখ্যা ৭১টি। ২০২৭ সালের জুনে লিগ টেবিলের শীর্ষ দুই দলকে নিয়ে হবে ফাইনাল। শেষ তিন আসরের মতো ইংল্যান্ডেই বসবে সাতাশের ফাইনাল। সম্ভাব্য ভেন্যু লর্ডস।

  

ঢাকা/ইয়াসিন


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়