সর্বসম্মতিক্রমে বিসিবি সভাপতি আমিনুল
ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচনে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। পুনরায় সভাপতি পদে বসতে পরিচালনা পর্ষদের বাকিদের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু তার বিপক্ষে আর কোন প্রার্থী সভাপতি পদে লড়াই করতে চাননি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবির সভাপতি হলেন আমিনুল।
প্রধান নির্বাচন কমিশন মো. হোসেইন বলেছেন, ‘‘আপনারা এরই মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচিত ২৫ জন পরিচালকের নাম জেনেছেন। তার মধ্যে ২৩ জন নির্বাচিত, ২ জন মনোনীত। এখন আমরা নির্বাচিত সভাপতি ও দুইজন সিনিয়র সহ-সভাপতির নাম ঘোষণা করব।’’
‘‘দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচনে একজন মনোনয়ন সাবমিট করছিলেন। এজন্য কোন ফাইল করতে হয়নি। ভোটিং করতে হয়নি। সেই নির্বাচনে আমিনুল ইসলাম সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে। ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের দুই জন প্রার্থী ছিলেন। সেই পদেও কোন নির্বাচন হয়নি। দুইজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। একজন শাখাওয়াত হোসেন, আরেকজন ফারুক আহমেদ। এটা নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল।’’ - যোগ করেন তিনি।
আমিনুলের সভাপতি হওয়ার আভাস কয়েকদিন ধরেই পাওয়া যাচ্ছিল। তামিম ইকবাল সভাপতি পদে লড়তে চেয়েছিলেন। তামিম সরে যাওয়ার পর আমিনুলের পথে আর কোন বাধা ছিল না। নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্যে আমিনুলের একক প্রভাব থাকায় তার সভাপতি হওয়া ছিল স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
গত ৩০ মে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে পরিচালক হওয়ার পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হয়েছিলেন আমিনুল। এবার এলেন নির্বাচন করে। ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থার ২০তম প্রধান তিনি।
এবার পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াতেই ক্রীড়া উপদেষ্টা প্রবল প্রভাব বিস্তার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে বারবার। ‘নির্বাচন ফিক্সিংয়ের’ অভিযোগে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন তামিম ইকবাল। নির্বাচনে সরকারে নগ্ন হস্তক্ষেপ, নানারকম অনিয়ম ও স্বেচ্ছারিতার অভিযোগে সরে দাঁড়ান মোট ২১ প্রার্থী।
তবে নির্বাচন কমিশনের দাবি, ‘‘আমরা প্রথম থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন করার চেষ্টা করছি এবং শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন করেছি। সমস্ত নির্বাচনে কিছু কিছু অভিযোগ থাকে। আর সব খেলাতেই, আমরা গ্রাম থেকে দেখে এসেছি, যাদের হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক সময়, অনেক কিছু নিয়ে বিতর্কিত কথা বলে। আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল