৫ উইকেটের জয়ে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ
:: সংক্ষিপ্ত স্কোর ::
বাংলাদেশ: ১৫১/৯ (২০ ওভারে),
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৫২/৫ (১৬.৫ ওভারে),
ফল: উইন্ডিজ ৫ উইকেটে জয়ী,
সিরিজ: উইন্ডিজ ৩-০ ব্যবধানে জয়ী।
তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর মধ্য দিয়ে সিরিজে হোয়াইটওয়াশও সম্পন্ন করল সফরকারীরা। শুক্রবার শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করতে নেমে তানজিদের ৮৯ ও সাইফের ২৩ রানে ভর করে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান করে। জবাবে রোস্টন চেস ও অগাস্তের ফিফটিতে ভর করে ১৬.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ক্যারিবিয়ানরা। বল হাতে বাংলাদেশের রিশাদ ৪ ওভারে ৪৩ রানে ৩টি উইকেট নেন।
হারের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ফিফটি করা দুই ব্যাটারকে ফেরালেন রিশাদ:
১৫ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৩ উইকেটে ১৪৩। জিততে প্রয়োজন ৩০ বলে মাত্র ৯ রান। এ সময় ১৬তম ওভারে বল হাতে এলেন রিশাদ। প্রথম বলে ২৯ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৫০ করা চেসকে ও তৃতীয় বলে ২৫ বলে ১টি চার ও ৫ ছক্কায় ৫০ রান অগাস্তেকে ফেরালেন রিশাদ। এর মধ্য দিয়ে ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিলেন তিনি।
চেস-অগাস্তের ব্যাটে শতরান পেরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
৫২ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন রোস্টন চেস ও আকিম অগাস্তে। তাদের দুজনের ব্যাটে ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইতোমধ্যে শতরান পেরিয়ে গেছে। ১৩ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১৪ রান। জিততে ৪২ বলে প্রয়োজন ৩৮ রান। অগাস্তে ৪২ ও চেস ২৯ রানে ব্যাট করছেন। চতুর্থ উইকেটে তারা দুজন ৩৩ বলে দলীয় সংগ্রহে ৬২ রান যোগ করেছেন।
রিশাদ ফেরালেন মারমুখী জাঙ্গুকে
বোলিং এসেই উইকেট নিলেন রিশাদ। তার ওভারের দ্বিতীয় বলেই ফেরালেন মারমুখী ব্যাটিং করা আমির জাঙ্গুকে। ২২ বল খেলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রান করে রিশাদের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি।
পাওয়ার প্লে’তে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৭ রান তুলল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ১৫২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে’তে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৭ রান তুলেছে ক্যারিবিয়ানরা। ৬ রানের মাথায় অ্যালিক অ্যাথানেজ মাহেদী হাসানের বলে ব্যক্তিগত ১ রানে আউট হন। এরপর ৩৭ রানের মাথায় নাসুম আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ব্রান্ডন কিং। আমির জঙ্গু ৩০ ও রোস্টন চেস ৮ রানে ব্যাট করছেন।
১৫১ রানে অলআউট বাংলাদেশ
তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২০ ওভারে ১৫১ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে ১৫২ রান। ব্যাট হাতে বাংলাদেশের তানজিদ হাসান তামিম ৮৯ ও সাইফ হাসান ২৩ রান করেন। বাকিদের কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোটা।
বল হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোমারিও শেফার্ড ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে হ্যাটট্রিক করেন। এছাড়া হোল্ডার ও পিয়েরে নেন ২টি করে উইকেট।
রোমারিও শেফার্ডের হ্যাটট্রিক, অলআউটের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
১৭তম ওভারের শেষ বলে রোমারিও শেফার্ড আউট করেছিলেন নুরুল হাসানকে। এরপর ২০তম ওভারে ফিরে প্রথম বলে তানজিদ ও দ্বিতীয় বলে শরীফুল ইসলামকে আউট করেন। তাতে পূর্ণ হয় তার হ্যাটট্রিক। আর বাংলাদেশ পৌঁছে যায় অলআউটের দ্বারপ্রান্তে।
১১ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেন তানজিদ
ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমে ২০তম ওভারের প্রথম বলে আউট হলেন তানজিদ। ৬২ বল খেলে ৯টি চার ও ৪ ছক্কায় ৮৯ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে যান তিনি। মাত্র ১১ রানের জন্য মিস করেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।
জাকের ফিরলেন ৫ রান করে
১৯তম ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৪২। এই ওভারের শেষ বলে হোল্ডারের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন জাকের। ৩ বল খেলে ১ চারে ৫ রান করেন তিনি।
নাসুমও ফিরলেন ১ রান করে
২ উইকেটে বাংলাদেশের রান ছিল ১০৭। সেখান থেকে ১৩৩ রানে যেতে বাংলাদেশ হারাল ৪টি উইকেট। সেই তালিকায় যুক্ত হলেন নাসুম। আকিল হোসেনের বলে পাওয়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন নাসুম। একপ্রান্ত আগলে লড়ছেন উদ্বোধনী ব্যাটার তানজিদ। ৫৮ বলে তিনি অপরাজিত আছেন ৮৫ রানে। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৫ রান দূরে। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন জাকের আলী।
১ রান করে ফিরলেন নুরুল
১২৬ রানের মাথায় আরও একটি উইকেট হারাল বাংলাদেশ। এবার রোমারিও শেফার্ডের বলে হোল্ডারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন নুরুল হাসান। ৩ বল খেলে মাত্র ১ রান করতে পেরেছেন তিনি। একপ্রান্ত আগলে লড়াই করা উদ্বোধনী ব্যাটার তানজিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নাসুম আহমেদ। তানজিদ ৫৬ বলে ৮৩ রানে ব্যাট করছেন।
ফিরলেন রিশাদও
১১৮ রানের মাথায় আরও একটি উইকেট হারাল বাংলাদেশ। এবার রিশাদ হোসেন ফিরলেন খারি পিয়েরের দ্বিতীয় শিকার হয়ে। ১৬তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লিউ হওয়া রিশাদ ৩ বলে ৩ রানের বেশি করতে পারেননি। ৭৩ রানে অপরাজিত থাকা তানজিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান।
শতরান পেরুতেই ফিরলেন সাইফ
তানজিদের সঙ্গে ৪২ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহকে শতরান পার করেছিলেন। তবে এরপর আর টিকতে পারেননি সাইফ। দলীয় ১০৭ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৩ রানে জ্যাসন হোল্ডারের বলে অগাস্তের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। তানজিদের সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছেন রিশাদ হোসেন। ১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ১০৯, ৩ উইকেটে।
তানজিদ-সাইফের ব্যাটে ১৪.২ ওভারেই শতরান পেরুল বাংলাদেশ
৪৪ রানের মাথায় লিটন দাস আউট হওয়ার পর জুটি বাঁধেন তানজিদ ও সাইফ। তাদের জুটিতে ৪১ বলে ৫৬ রান উঠেছে। তাতে ১৪.২ ওভারেই বাংলাদেশ পেরিয়েছে ১০০ রানের কোটা। তানজিদ ৬৫ ও সাইফ ১৭ রানে ব্যাট করছেন। বাংলাদেশ প্রথম ফিফটি পেয়েছিল ৫৩ বলে। দ্বিতীয় ফিফটি পেল ৩৩ বলে। এতেই বোঝা যায় কতোটা মারমুখী ব্যাটিং করছেন সাইফ ও তানজিদ।
৩৬ বলে তানজিদের দশম ফিফটি
তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে রিভিউ নিয়ে জীবন পেয়ে মারমুখী ব্যাটিং করছেন তানজিদ হাসান তামিম। একাদশ ওভারে রোমারিও শেফার্ডকে পর পর দুটি চারের পর একটি সিঙ্গেল নিয়ে ৩৬ বলে পৌঁছান ৫০ রানে। যা তার ৪২ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দশম ফিফটি। ৭টি চার ও ২টি ছক্কার মার আছে তার ইনিংসে। তানজিদের ৫১ ও সাইফের ১১ রানে ভর করে ১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৭৯।
৬ রান করেই ফিরলেন লিটন
আজও হাসল না অধিনায়ক লিটনের ব্যাট। আউট হলেন ৯ বলে ১ চারে ৬ রান করে। খারি পিয়েরের করা অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলে ডিপ মিড উইকেটে মোতির হাতে ক্যাচ দেন দলীয় ৪৫ রানের মাথায়। তানজিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাইফ হাসান।
পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৪০ রান তুললো বাংলাদেশ
পাওয়ার প্লে’তে ১ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান তুলেছে বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান ২৬ ও লিটন দাস ৫ রানে ব্যাট করছেন। ইমন ৯ করে করে চেসের বলে আউট হয়ে ফিরে গেছেন।
৯ রান করেই ফিরলেন ইমন
শেষ ম্যাচে সুযোগ পাওয়া পারভেজ হোসেন ইমন সুবিধা করতে পারলেন না। রোস্টন চেসের করা চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে দলীয় ২২ রানের মাথায় আউট হন তিনি। তার ব্যাট ছুঁয়ে বল যায় শর্ট থার্ড ম্যানে। সেখানে অনায়াসে বল তালুবন্দি করেন মোতি। ১০ বল খেলে ১ ছক্কায় ৯ করে ফিরেন ইমন। তানজিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন অধিনায়ক লিটন।
শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে চার পরিবর্তন
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ আগেই হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের। দুটি ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ টস জিতে আগে ব্যাটিং করেছিল। আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে টস জিতেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস। তিনি অবশ্য ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে চারটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগের ম্যাচে খেলা তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমান বাদ পড়েছেন। একাদশে এসেছেন শরীফুল ইসলাম, মাহেদী হাসান, পারভেজ হোসেন ইমন ও নুরুল হাসান সোহান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজও তাদের একাদশে তিনটি পরিবর্তন এনেছে। আজ তারা বিশ্রাম দিয়েছে শেই হোপ, শেরফানে রাদারফোর্ড ও জেডেন সিলসকে। তাদের পরিবর্তে একাদশে এসেছেন আমির জঙ্গু, গুদাকেশ মোতি ও আকিম অগাস্তে।
বাংলাদেশের একাদশ:
১. তানজিদ হাসান তামিম,
২. সাইফ হাসান,
৩. লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক, উইকেটকিপার),
৪. পারভেজ হোসেন ইমন,
৫. জাকের আলি,
৬. নুরুল হাসান সোহান,
৭. শেখ মাহেদি হাসান,
৮. রিশাদ হোসেন,
৯. নাসুম আহমেদ,
১০. তাসকিন আহমেদ,
১১. শরিফুল ইসলাম।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের একাদশ:
১. ব্র্যান্ডন কিং,
২. অ্যালিক অ্যাথানাজে,
৩. আকিম অগাস্ট,
৪. রোস্টন চেস (অধিনায়ক),
৫. আমির জংগু (উইকেটকিপার),
৬. রোভম্যান পাওয়েল,
৭. জেসন হোল্ডার,
৮. গুদাকেশ মোটি,
৯. রোমারিও শেফার্ড,
১০. আকিল হোসেইন,
১১. খারি পিয়েরে।
ঢাকা/আমিনুল