ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

গাছের সঙ্গে বেঁধে রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ করা হয়

শাহেদ হোসেন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৭, ২৩ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গাছের সঙ্গে বেঁধে রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ করা হয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাছের সঙ্গে বেঁধে দিনের পর দিন রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ, পুরুষদের গণকবরের মধ্যে ঠেলে দিয়ে পুড়িয়ে হত্যাসহ নৃশংস নির্যাতনের বিবরণের নথি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) জমা দেওয়া হয়েছে।

এশিয়ান লিগ্যাল রির্সোসে সেন্টার (এএলআরসি) ও এর সহযোগী বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান অধিকার আইসিসিতে এই নথি জমা দিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এই নথির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।

মিয়ানমার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য নয়। এ কারণে সেখানে সংঘটিত অপরাধের বিচারের সরাসরি কোনো এখতিয়ার এই আদালতের নেই। চলতি সপ্তাহে আইসিসির বিচারকরা হেগে আলোচনা শুরুর জন্য ও নির্যাতনের বিবরণের নথিগুলো নিয়ে পর্যালোচনার জন্য রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। রোহিঙ্গা নির্যাতনে মিয়ানমারকে বিচারের মুখোমুখি করার এখতিয়ার আইসিসির আছে কিনা তা জানতে ওই আদালতের কৌঁসুলি ফাতোও বেনসুদা আবেদন করেছিলেন।

ফাতোও বেনসুদা তার আবেদনে বলেছেন, রোহিঙ্গা বিতাড়নের বিষয়টি যেহেতু আন্তঃসীমান্ত অপরাধের পর্যায়ে পড়ে সেহেতু আইসিসি বিষয়টি বিচারের এখতিয়ার রাখে। তবে বিচারিক এখতিয়ারের প্রশ্নে জবাব দেওয়ার জন্য আইসিসি মিয়ানমারকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এএলআরসি ও অধিকারের দেওয়া প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা নির্যাতনের বেশ কয়েকটি বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। এদের মধ্যে মারওয়া নামের ১০ বছরের এক কন্যা শিশুর পরিবারের সদস্যদের গুলি করে হত্যা করেছিল মিয়ানমারের সেনারা। মারওয়াসহ একদল কিশোরীকে গ্রামের একটি স্কুলে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং একাধিকার তাদের গণধর্ষণ করা হয়।

২০ বছরের খুরশিদা জানিয়েছে, কীভাবে তাকে ও বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নারীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল সেনারা। তাদেরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছিল এবং দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হয়েছিল। নির্যাতনের এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল খুরশিদা। তাকে মৃত ভেবে ক্যাম্পের বাইরে ফেলে রেখেছিল সেনারা।

২৫ বছরের শাকিলার পরিবারের সদস্যদের ঘরের ভেতরে আটকে রেখে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল সেনারা। ৩১ বছরের নুরজাহানকে নৃশংসভাবে তার সাত বছরের মেয়ের সামনে বারবার ধর্ষণ করেছিল সেনারা।

প্রসঙ্গত, গত বছরের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ ও নিধন অভিযানে নামে মিয়ানমারের সেনারা। আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো রোহিঙ্গাদের ওপর এই নির্যাতনকে ‘জাতিগত নিধন’ বললেও মিয়ানমার তা অস্বীকার করে আসছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ জুন ২০১৮/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়