ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বাল্টিকে মস্কোর যুদ্ধ জাহাজ, রুশ সীমান্তে ন্যাটো বাহিনী

তৈয়বুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৭, ২৮ অক্টোবর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাল্টিকে মস্কোর যুদ্ধ জাহাজ, রুশ সীমান্তে ন্যাটো বাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ বেশ আগে থেকেই। দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে রাশিয়ার কয়েকটি যুদ্ধ জাহাজ বাল্টিক সাগরে অবস্থান নিয়েছে।

 

আর ন্যাটো সদস্য দেশগুলো রুশ সীমান্তে সেনা সমাবেশ করছে। দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার নেওয়ার পেক্ষাপটে যুদ্ধের এই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয় বলে রয়টার্স বুধবার জানায়।

 

রুশ যুদ্ধ জাহাজগুলো এরইমধ্যে বাল্টিক ফ্লিটের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। সেগুলোর সঙ্গে যে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে সেগুলো পাল্লা ৯৩০ মাইল।

 

ধারণা করা হচ্ছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পারমাণবিক ওয়্যারহেড বহনে সক্ষম নয়।

 

ন্যাটোতে সাধারণত সবচেয়ে বেশি অবদান রেখে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপীয় দেশগুলোকে ওয়াশিংটন চাপ দিচ্ছে যুদ্ধ করার মতো চারটি গ্রুপ গঠনের। এই চারটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিবে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি যুক্তরাজ্য ও কানাডা। এই গ্রুপ চারটিকে পাঠানো হবে পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, এস্টোনিয়া, লাটভিয়ায়। প্রতিটি গ্রুপে ইতালি, ফ্রান্স ও ডেনমার্কের মতো দেশগুলো থাকবে। এ ছাড়া প্রতিটি গ্রুপে থাকবে প্রায় ৪ হাজার সৈন্য, তাদের সাহায্য করবে পদাতিক বাহিনী ও ড্রোন ইউনিট। এ ছাড়া ৪০ হাজার সৈন্যকে প্রস্তুত রাখা হবে, যাতে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারে।

 

এমন একটি সময় সমরাস্ত্রের এই সম্প্রসারণ করা হলো যখন আর্কটিকে সামরিক মহড়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ৩০০ মেরিন সৈন্য নরওয়ে পঠিয়েছে। এর প্রেক্ষাপটে প্রতিবেশি দেশ ফিনল্যান্ড আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, রাশিয়াও এই অঞ্চলে সৈন্য পাঠাতে পারে। দেশটি এরইমধ্যে বাল্টিক ফ্লিটের শক্তি বৃদ্ধি করেছে। তুরস্ক ও ভারতের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক জোরদার করে তুলেতে চাইছে মস্কো। এর কারণ হিসেবে প্রেসিডেন্ট পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি স্থগিত করার কথা উল্লেখ করেন। এ মাসের তিন তারিখে এই চুক্তি স্থগিত করা হয়।

 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ে পরস্পরবিরোধী অবস্থান নেয় ওয়াশিংটন ও মস্কো। ২০১৪ সালে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ক্রিমিয়াকে একীভূত করে নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার তীব্র সমালোচনা করেছে। এ ছাড়া ইউক্রোনীয় সংকট ঘনীভূত হওয়ায় এই দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো তিক্ত হয়ে ওঠে। সিরিয়া গৃহযুদ্ধ নিয়েও দেশ দুটি দুই মেরুতে অবস্থান নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করছে বিদ্রোহীদের আর রাশিয়া সমর্থন করছে সিরিয়া সরকারকে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ অক্টোবর ২০১৬/তৈয়বুর রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়