রাজশাহীতে শহরে ভোটারদের আগ্রহ কম, গ্রামে বেশি
রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
রাজশাহীর তিন এলাকায় জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে শহরের চেয়ে গ্রামে ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮.৩০ মিনিট থেকে বিকাল ৪.৩০ মিনিট পর্যন্ত রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত নারী আসন ৯, জেলার বাঘা পৌরসভা এবং পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছি ও শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য তিনটি ওয়ার্ডের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটারের উপস্থিতি খুব কম লক্ষ্য করা গেছে। উল্টো চিত্র দেখা গেছে বাঘা পৌরসভা ও পুঠিয়ার দুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। ভোট কেন্দ্রে সকালে ভোটারের উপস্থিতি একটু কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উল্লেখিত এলাকার ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। যদিও প্রথমবার ইভিএম-এ ভোট দেওয়ার কারণে সময় একটু বেশি লেগেছে। এ সময় ফিঙ্গার প্রিন্ট মেলাতেও অনেক ভোটার বিড়ম্বনায় পড়েছেন। তবে কোথাও বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
পুঠিয়ার তেলিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে সাধারণ ভোটারদের ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাজশাহী জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সিটি করপোরেশনের সাধারণ ২৫, ২৮ ও ২৯ নাম্বার ওয়ার্ডে শূন্য পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ১৩টি ভোটকেন্দ্রের ১১১টি বুথে ইভিএম মেশিনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে ভোটার রয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার।
এ দিকে, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সদর পৌরসভা নির্বাচনে ৫ জন মেয়র, ৯টি ওয়ার্ডে ৩৬ জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নির্বাচনে ইভিএম মেশিনে ভোট গ্রহণের জন্য ১১ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৯০ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, ১৮০ জন পোলিং অফিসার কাজ করেছেন। কেন্দ্রে শান্তি রক্ষায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে ইভিএম মেশিনে ফিঙ্গার প্রিন্ট না মেলায় অনেক ভোটার বিড়ম্বনায় পড়েছেন। বাঘার গাওপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে ভোট দিতে না পেরে ঘুরে গেছেন দক্ষিণমিলিক বাঘা মহল্লার মো. জহির। তিনি বলেন, ‘কঠিন ভিড় ঠেলি ভিতরে ঢুকনু। ৩০ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে ঢুকনু ঘরের ভিতরে। কিন্তু আঙ্গুলের ছাপ আর মিলে না। বুলল, সাবান দিয়া হাত ধুইয়া আসেন। সাবান দিনু হাতে, তাও মিলল না।’
যাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলছে না তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে রাজশাহীর জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, একবার, দুবার, পাঁচবার, চেষ্টা করতে থাকলে ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলবেই। না মেলার কোনো কারণ নেই। অনেকে হয়তো ধৈর্য হারিয়ে চলে গেছেন। কিন্তু যারা থেকেছেন শেষ পর্যন্ত তাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলেছে এবং ভোট নেওয়া হয়েছে।
কেয়া/তারা