ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

প্রবাসী হত্যার বিচার দাবিতে মালয়েশিয়ায় মানববন্ধন

ইমরান মোস্তফা, মালয়েশিয়া || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:১০, ২৬ এপ্রিল ২০২১  
প্রবাসী হত্যার বিচার দাবিতে মালয়েশিয়ায় মানববন্ধন

এক বুক স্বপ্ন নিয়ে মালয়েশিয়ায় আসা দাদন খলিফা প্রায় ছয় বছর পর থেকে দেশে যান জীবনসঙ্গী খুঁজতে। সঙ্গী খুঁজে পেলেও সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারাতে হয়েছে তাকে। শরিয়তপুরের পালং থানার গয়ঘর গ্রামের বাসিন্দা দাদন খালিফার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে মানববন্ধন শেষে হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে হাইকমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়। হাইকমিশনের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান রুহুল আমিন স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে দাদন খালিফার বড় ভাই মালয়েশিয়া প্রবাসী সালাম খলিফা বলেন, ‘আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এখন এ হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিয়ে আমরা শঙ্কিত। আসামিরা প্রভাব খাটিয়ে মূল ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।’

দাদনকে হত্যার নির্দেশদাতা ইস্কান্দার সরদার ও তার সহযোগীদের শাস্তির দাবি জানান সালাম খলিফা। ন্যায়বিচারের জন‌্য হাইকমিশনের মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

কমিউনিটি নেতা ও মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অহিদুর রহমান অহিদ বলেন, ‘একজন রেমিট‌্যান্স যোদ্ধার এ পরিণতি খুবই কষ্টদায়ক। যারাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।’  

কোতারায়া বিজনেস কমিউনিটির সভাপতি ও কমিউনিটি নেতা রাশেদ বাদল বলেন, ‘দাদন খলিফাকে যারা হত্যা করেছে, তারা সমাজের যত প্রভাবশালীই হোক না কেন, তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তা না হলে এ ধরনের অপরাধ বেড়ে যাবে।’ 

উল্লেখ্য, মালয়েশিয়া প্রবাসী দাদন খলিফা এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ের উদ্দেশ্যে শরীয়তপুরের পালং থানার গয়ঘর গ্রামে নিজ বাড়িতে যান। বিয়ের পর এক সপ্তাহ না পেরোতে ১৫ এপ্রিল রাতে হত্যার শিকার হন তিনি। রাতে বাড়ি ফেরার পথে প্রথমে কোপানো হয় এবং পরে গুলি করা হয় তাকে। ওই রাতে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার। মারা যাওয়ার আগে পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের বিবরণ ও হামলায় অংশ নেওয়া সবার নাম বলে গেছেন দাদন খলিফা।

এদিকে, দাদন হত্যাকাণ্ডের পর মামলা হলেও আসামিদের আটকে স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ এনেছে নিহতের পরিবার। অভিযোগ আছে, নানাভাবে ভায়-ভীতি দেখিয়ে মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে আসামিরা। দাদন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় জনগণ। 

মালয়েশিয়া/ইমরান/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়