ঢাকা     সোমবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বরিশালের ৩ জেলার সভাপতি-সম্পাদক নৌকার প্রার্থী

বরিশাল সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২৩, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩  
বরিশালের ৩ জেলার সভাপতি-সম্পাদক নৌকার প্রার্থী

বরিশাল বিভাগের তিন জেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নৌকার প্রার্থী হয়েছেন। তবে এ চিত্র নেই ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলায়। প্রতিটি জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করলেও সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পান না। আবার অনেকে চানও না। বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলার তিনটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দলের প্রার্থী হননি। 

দলের মনোনয়ন পেয়েছেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি শুধু বরিশাল জেলার সভাপতি নন, তাকে বলা হয় দক্ষিণ বাংলার আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অভিভাবক। আওয়ামী লীগের এই নেতা হলেন আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। তিনি দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার ফুফাত ভাই। তিনি একাধিকবার যেমন আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ সদস্য হয়েছেন, তেমনি হয়েছেন জাতীয় সংসদের চিপ হুইপ ও মন্ত্রী। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও নৌকার টিকিট পেয়েছেন বর্তমান এই সংসদ সদস্য। বরিশাল-১ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তিনি।

বরিশাল জেলায় শুধু তিনি নন, তারই অনুসারী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুসও এবার নৌকার টিকিট পেয়েছেন। অবশ্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর কল্যাণে তিনি এর আগেও দুই বার নৌকার টিকিটে সংসদ সদস্য হয়েছেন। তিনি এবার বরিশাল-২ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হয়ে অংশ নিচ্ছেন।

তবে পাশের জেলা ঝালকাঠিতে এরকম চিত্র নেই। সেখানকার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক কেউই প্রার্থী নন। এমনকি তারা কখনও প্রার্থীও হননি। পাশের জেলা পটুয়াখালীরও একই অবস্থা। পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর কিংবা সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নান কখনই আওয়ামী লীগের প্রার্থী হননি। 

দুরবর্তী দ্বীপ জেলা ভোলাতেও একই অবস্থা। সেখানকার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলু কাদের মজনু মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন বিপ্লব কখনই নৌকার প্রার্থী হননি। স্থানীয় রাজনীতিবিদরা জানিয়েছেন, এখানকার রাজনীতি পরিচালনা করেন জাতীয় নেতা তোফায়েল আহমেদ। আর জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনই তার অনুসারী। যেহেতু তোফায়েল আহমেদ এ আসন থেকে নির্বাচন করেন, তাই আর কেউ প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন না। 

তবে এর উল্টো চিত্র বরগুনা ও পিরোজপুরে। বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু গত ৫ বারের এমপি। এবারও তিনিই নৌকার টিকিট পেয়েছেন। তবে সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির কখনও নৌকার প্রার্থী হননি।

পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য একেএমএ আউয়াল এবার আর নৌকার মনোনয়ন পাননি। কিন্তু নৌকার বিদ্রোহী হিসেবে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দুদকের সাতটি মামলা ছাড়াও তিনি বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন। তবুও দমেননি তিনি। পিরোজপুর-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তিনি। 

তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কানাই লাল বিশ্বাস এবার নৌকার টিকিট পেয়েছেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পিরোজপুর-২ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
 

আরিফুর/বকুল 

ঘটনাপ্রবাহ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়