ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বান্দরবানে টানা বর্ষণে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল, পানিবন্দি শতাধিক দোকান-ঘরবাড়ি

বান্দরবান প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৯, ১ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ১৪:২০, ১ আগস্ট ২০২৪
বান্দরবানে টানা বর্ষণে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল, পানিবন্দি শতাধিক দোকান-ঘরবাড়ি

বান্দরবানের বন্যা পরিস্থিতি।

বান্দরবানে টানা ৪ দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম এলাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হ‌য়ে‌ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতাধিক দোকান ও ঘরবাড়ি। এছাড়াও আলীকদম উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। স্থানভেদে দেখা দি‌য়ে‌ছে পাহাড়ধসের সম্ভাবনাও।

গত (২৮-৩১ জুলাই) থে‌কে অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ঘুমধুম ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হওয়া পরিবারগুলোর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম এলাকার বাসিন্দা মো. নরুল আবছার জানান, গত চার-পাঁচ দিন টানা ভারী বর্ষণে তংব্রু খালের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে শতাধিক দোকান ও ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। তবে আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) পানি কিছুটা নেমেছে। তবুও ২০-৩০ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। 

ঘুমধুম ইউপির সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, টানা বৃষ্টিতে ইউনিয়নের শতাধিক দোকান ও ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। গতকাল রাতেও বুক সমান পানি ছিলো। তবে সকালে কিছুটা পানি কমেছে। এখন কোথাও হাঁটু সমান আবার কোথাও কোমর সমান পানি রয়েছে। 

এদিকে আলীকদম উপজেলার বাসিন্দা সুশান্ত তংচংগ্যা জানান, টানা ভারী বর্ষণে মাতামুহুরি নদীর পানি বিপদ সীমার ওপরে উঠে গেছে। ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চৈক্ষ্যং স্কুল এলাকা, রেফার পাড়ার কাঁকড়া ঝিরি, ছাবের মিয়া পাড়া ও শিবাতলী তালগাছ এলাকায় প্লাবিত হয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। 

বান্দরবান আবহাওয়া অধিদপ্তরের অফিসার ইনচার্জ সনাতন কুমার মন্ডল জানান, বান্দরবানে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৃষ্টি আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকতে পারে। এখানে ভারী বর্ষণে পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কাও রয়েছে। 

নাইক্ষ্যংছড়ি নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, ঘুমধুম এলাকায় শতাধিক দোকান ও ঘরবাড়ি বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। তাদেরকে ত্রাণ দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়েছি। 

তিনি আরও জানান, আজ সকাল থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। তবুও একটি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। 

আলীকদম নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রুবায়ন দেব জানান, চৈক্ষ্যং স্কুলের সামনে হাঁটু সমান পানি হয়েছে। নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ১০-১৫ ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি কমলে পানি নেমে যাবে। আর যদি না কমে তাহলে আরও বাড়তে পারে। এ জন্য ৬টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর নেই। তবে যেসব রাস্তায় পানি উঠেছে সেখানে নৌকায় করে মানুষ পারাপার হচ্ছে। 

চাইমং/ইমন

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়