ঢাকা     শনিবার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩১

প্রাকৃতিক বনায়নে আর সামাজিক বনায়ন নয়: রিজওয়ানা হাসান

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১২, ৬ নভেম্বর ২০২৪  
প্রাকৃতিক বনায়নে আর সামাজিক বনায়ন নয়: রিজওয়ানা হাসান

বক্তব্য রাখছেন বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

প্রাকৃতিক বনায়নে আর সামাজিক বনায়ন করা হবে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক বনে কিসের সামাজিক বনায়ন, প্রাকৃতিক বনে বন থাকবে। আপনি যদি সামাজিক বনায়ন করেন, তাহলে চুক্তি স্বাক্ষর করেন উপকারভোগীদের সঙ্গে। এরপর সামাজিক বনায়নের গাছগুলো কেটে উপকারভোগীদের মাঝে পয়সা বিতরণ করে দেন। বনবিভাগের প্রাথমিক দায়িত্ব পয়সা বিতরণ করা না, তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব প্রাকৃতিক বনকে রক্ষা করা। 

বুধবার (৬ নভেম্বর) টাঙ্গাইলে ব্যুরো বাংলাদেশ মিলনাতনে আয়োজিত আন্তর্জাতিক পরিবেশ সন্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন। 

বিদ্যুতের অপচয় রোধে সবাইকে আহ্বান জানিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, দিনের বেলায় সব লাইট বন্ধ করে দিয়েছি। এ বিদ্যুৎ কোথা থেকে উৎপাদন হয়, কীভাবে হয়, তা জানতে হবে। আমরা কেন দিনের বেলায় বিদ্যুৎ অপচয় করব। প্রাকৃতিক আলো থাকার পরও কেন দিনের বেলায় লাইট জ্বালিয়ে প্রোগ্রাম করব?’ 

আরো পড়ুন:

তিনি বলেন, ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী উদ্ধার করা যাচ্ছে না। নদীর নিচে তিন থেকে চার স্তরের পলিথিন পড়ে আছে। এ কারণে সেখানে ড্রেজিং করা সম্ভব না। তাই সকলের উচিৎ পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা।

রেজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সরকারের অর্থায়নে সৃষ্টি করা একটা তহবিল মানে হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের অর্থে সৃষ্টি করা তহবিল। এটা সম্পর্কে নয়-ছয়ের কথা শুনেছেন, এটা বহু আগের কথা। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে একটা পরিবর্তিত গাইডলাইনের অধীনে সাতটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সাতটাই সরকারি প্রকল্প এবং নয়-ছয়ের কথাটা আপনারা কখনো শুনবেন না। এ সাতটি সংস্থা আলাদাভাবে কাজ করবে। এখানে প্রচুর প্রকল্প এসেছিল নতুন গাইডলাইনের কারণে অনেকগুলোই বাদ হয়ে গেছে্।’  

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন ইটভাটা অনুমোদন দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। সরকারি পর্যায়ে সিদ্ধান্ত আছে যে ২০১৫ সালের পর সরকারি নির্মাণে আর কোনো পোড়ানো ইট ব্যবহার করা হবে না। সেই সিদ্ধান্তটা সকল মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি। মাটির উৎস ইটভাটা মালিকরা বলতে পারছে না। মাটির উৎস তাদের বলতে হবে।’ 

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শহীদুল হক, আসপাড়া পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক লায়ন এম এ রশীদ, রিভারাইন পিপলের মহাসচিব শেখ রোকন।

সভাপতিত্ব করেন ব্যুরো বাংলাদেশের এইচআরডি অ্যান্ড আইসিটি ডিরেক্টর ফারমিনা হোসেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সবুজ পৃথিবীর নির্বাহী পরিচালক শহিদ মাহমুদ।

কাওছার/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়