ঢাকা     মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ১৮ ১৪৩১

পুটিয়ার কৃষ্ণপুরে চলছে কাত্যায়নী পূজা

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২২, ৯ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৬:২৩, ৯ নভেম্বর ২০২৪
পুটিয়ার কৃষ্ণপুরে চলছে কাত্যায়নী পূজা

কাত্যায়নী পূজা উপলক্ষে আজ সকালে আয়োজন করা হয় কুমারী পূজার

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে চলছে কাত্যায়নী পূজা। শারদীয় দুর্গোৎসবের মতোই সব আনুষ্ঠানিকতা থাকে এ উৎসবে। ছয় বছর ধরে কৃষ্ণপুরে কাত্যায়নী পূজার আয়োজন করছে উলুধ্বনি সংঘ।

আয়োজকদের দাবি, রাজশাহী বিভাগের আর কোথাও এ পূজার আয়োজন করা হয় না। এই পূজা করলে মনের ইচ্ছা পূরণ হয়। তাই ভক্তদের আগ্রহ রয়েছে।

ধর্মীয় শাস্ত্র মতে, কাত্যায়নী হচ্ছে দেবী দুর্গার আরেক নাম। দাপর যুগে যমুনা নদীর তীরে দেবী দুর্গার মাধ্যমে কৃষ্ণ আরাধনা করা হতো। সেই ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান অনুসরণ করে কাত্যায়নী দেবীর প্রতিমা স্থাপন করে প্রতিবছর পাঁচদিন ধরে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এ পূজা উদযাপন করে থাকেন। 

আরো পড়ুন:

আয়োজকরা জানান, মাগুরায় উৎসবটি বেশ জমকালো আয়োজনের মধ্যেই হয়। তবে, রাজশাহীর শুধু কৃষ্ণপুর গ্রামের এই মণ্ডপেই পূজার আয়োজন করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার কৃষ্ণপুর দুর্গা-কালী ও কাত্যায়নী মন্দিরে মহাষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শুক্রবার সপ্তমীর আনুষ্ঠানিকতার পর শনিবার (৯ নভেম্বর) অষ্টমীর সকালে আয়োজন করা হয় কুমারী পূজার। এবার ১০ বছর বয়সী পাপড়ি হালদারকে অপরাজিতার রূপে আসনে বসিয়ে পূজা করা হয়। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে সন্ধীপূজা। সোমবার দশমীতে হবে প্রতিমা বিসর্জন।

মণ্ডপে আসা সঞ্চিতা রানী সরকার বলেন, ‘আমাদের এখানে ছয় বছর ধরে কাত্যায়নী পূজা শুরু হয়েছে। আমরা এলাকার পুরুষদের বলেছি, প্রতিবছরই যেন এই পূজার আয়োজন করা হয়। আমরা আমাদের জায়গা থেকে তাদের সহযোগিতা করছি। মা কাত্যায়নী প্রতিবছরই এখানে আসবেন।’

পুরোহিত তন্ময় দেবনাথ বলেন, ‘দুর্গা পূজার একমাস পর সনাতন রীতি অনুযায়ী কাত্যায়নী পূজার আয়োজন করা হয়। এই পূজাটি আসলে দুর্গা পূজারই আরেকটি রূপ। আমি দেখেছি, রাজশাহী বিভাগের আর কোথাও এই পূজার আয়োজন করা হয় না। শুধু এখানেই হয়।’

উলুধ্বনি সংঘের সাধারণ সম্পাদক সুশিল কুমার সরকার বলেন, ‘আমরা ২০১৯ সালে প্রথম এই পূজার আয়োজন করি। হিন্দু ধর্মীয় মতে, কাত্যায়নী পূজার মাধ্যমে মানত ফলিত হয়। তাই এখানে প্রতিবছরই বিপুল সংখ্যক ভক্ত এবং দর্শনার্থী আসেন। আমরা এই পূজার আয়োজন চালিয়ে যাব।’

কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়