ঢাকা     বুধবার   ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ২ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

যুব শক্তির কমিটি ঘোষণার ২৫ মিনিটের মধ্যেই চারজনের পদত্যাগ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০২, ৯ নভেম্বর ২০২৫  
যুব শক্তির কমিটি ঘোষণার ২৫ মিনিটের মধ্যেই চারজনের পদত্যাগ

শরীয়তপুরে জাতীয় যুব শক্তির কমিটি ঘোষণার ২৫ মিনিটের মধ্যেই পদত্যাগ করেছেন সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য সচিব আমিন মোহাম্মদ জিতুসহ চারজন।

বাকি তিনজন হলেন, কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. কামাল হোসেন সরল, যুগ্ম-সদস্য সচিব সাবরিন ইসলাম ও সংগঠক রবিউল হাসান। 

আরো পড়ুন:

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে থেকে তারা দফায় দফায় ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগ করেন।

জানা যায়, শনিবার রাতে জাতীয় যুব শক্তি শরীয়তপুর জেলা শাখায় ১ বছরের জন্য ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি অনুমোদন করেছেন, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. তারিকুল ইসলাম ও সদস্য সচিব ডা. জাহেদুল ইসলাম। কমিটিতে কাওসার মৃধাকে আহ্বায়ক ও আমিন মোহাম্মদ জিতুকে সদস্য সচিব করা হয়। 

কমিটি ঘোষণার পরই ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে পদত্যাগের স্ট্যাটাস দেন সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য সচিব আমিন মোহাম্মদ জিতু।

তিনি ওই স্ট্যাটাসে লেখেন, “আমি, আমিন মোহাম্মদ জিতু, জাতীয় যুব শক্তি এনসিপির সদ্য ঘোষিত জেলা কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছি। তবে ব্যক্তিগত কিছু বিশেষ কারণে বর্তমানে আমি এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে অসমর্থ। সংগঠনের কার্যক্রমে যাতে বিঘ্ন সৃষ্টি না হয় এবং দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন অব্যাহত রাখতে পারে এমন কাউকে সুযোগ দেওয়ার স্বার্থে আমি সদস্য সচিব পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

শেষে তিনি লেখেন, “আমি সংগঠনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবো এবং ভবিষ্যতেও সংগঠনের অগ্রযাত্রায় পাশে থাকার চেষ্টা করবো।”

একইভাবে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বাকি তিনজন ফেসবুকে পদত্যাগের স্ট্যাটাস দেন।

এ বিষয়ে আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, “আমি পূর্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে ছিলাম। গতকাল (শনিবার) জাতীয় যুব শক্তি জেলা কমিটিতে আমাকে সদস্য সচিব হিসেবে রাখা হয়েছে বলে কমিটি ঘোষণার পর জানতে পেরেছি। তবে আমার ব্যক্তিগত কারণে কমিটির পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। লিখিত পদত্যাগপত্র যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।”

যুগ্ম-আহ্বায়ক পদ পাওয়া মো. কামাল হোসেন সরল বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন জেলা কমিটিতে একজন আহত যোদ্ধা হিসেবে মূল্যায়ন না করে ৪১ নাম্বারে রাখা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে নড়িয়ার উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখবে বলে কথা দিয়েছিল। কিন্তু তা করা হয়নি। এছাড়া আমি আমার ব্যক্তিগত কারণে এ পথ থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।”

বিষয়টি জানতে সদ্য ঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক কাওসার মৃধা বলেন, “যারা পদত্যাগ করেছে ফেসবুকে তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। অফিসিয়ালি কোনো পদত্যাগপত্র এখন পর্যন্ত জমা দেয়নি তারা। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাব। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।”

ঢাকা/আকাশ/মেহেদী

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়