ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

নতুন বছরের শুরুতেই প্রাণের ক্যাম্পাসে ফিরবেন তারা

কাঞ্চন কুমার, কুষ্টিয়া  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৯, ৭ নভেম্বর ২০২১  
নতুন বছরের শুরুতেই প্রাণের ক্যাম্পাসে ফিরবেন তারা

নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে ২০১১ সালে অনুমোদন পায় কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ। শুরুতে নির্মাণ মেয়াদ ছিল তিনবছর। কিন্তু শেষ হয় ৯ বছরে। ২৭৫ কোটি টাকার প্রাক্কলন ব্যয় হওয়ার কথা থাকলেও খরচ হচ্ছে ৬৮২ কোটি টাকা। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী নতুন বছরের শুরুতে প্রাণের ক্যাম্পাসে ফিরবেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। 

ইতোমধ্যে একাডেমিক ভবন, ছাত্র ও ছাত্রী হোস্টেলের নির্মাণ কাজ শেষ করে ফিনিসিং চলছে। প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সরবরাহের কার্যাদেশ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান তাদের মালামাল সরবরাহের প্রস্তুতিও নিয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, অতীতে যা কিছু হোক, আমরা আর পেছন ফিরে তাকাতে চাই না। নতুন বছরের শুরুতে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের একাডেমিক কার্যক্রম মূল ক্যাম্পাসে শুরু করতে পারবেন, এটা হবে আমাদের জন্য অনেক বড় প্রারম্ভিক অর্জন।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবছর অক্টোবরের মাঝামাঝি ৬৮২ কোটি টাকা প্রকল্প ব্যয় ধরে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণ প্রকল্পের দ্বিতীয় উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি)র অনুমোদন লাভ করেছে। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত নির্মাণ মেয়াদের মধ্যে প্রকল্পের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে কঠোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পটির গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নযোগ্য কাজগুলো সম্পন্ন করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮৮ কোটি টাকা এবং বাকি ১৯৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে একাডেমিক কার্যক্রমসহ আনুষঙ্গিক চিকিৎসা খাতের যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি বাবদ।

কলেজের শিক্ষার্থী রিফাতুল্লাহ বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে ফিরে যাচ্ছি এই মহাবাণী অনেকবার শুনেছি। কিন্তু মাস ঘুরে বছর পেরিয়ে আমাদের সিনিয়ররা যেভাবে ক্যাম্পাসের স্বাদ বঞ্চিত হয়ে অপূর্ণতা নিয়ে চলে গেছেন, আমরাও পূর্বসূরীদের অনুসরণ করে প্রায় যাওয়ার পথে। তবুও যারা থাকবে, আগামী ১, ২, ৩, বা ৪ বছর পর্যন্ত এখানে থাকবে, তারা অন্তত অপূর্ণতা নিয়ে ফিরবেন না, এটাই বা কম কি!

ইন্টার্ন শিক্ষার্থী সায়মা যুথী বলেন, ‌‘শরীরের নাম মহাশয়, যাহা সহাবে তাহাই সয়’ এই অনুভূতিকে ধারণ করে শত কষ্ট নিয়ে প্রায় শেষ করে ফেললাম জীবনের প্রাণ চাঞ্চল্যের মেডিক্যাল শিক্ষাজীবন। প্রাণের ক্যাম্পাসের কোনো স্বাদ পাইনি। তবুও বলবো, আমাদের অনেক সৌভাগ্য। আগামী বছরের শুরুতে আমরা ক্যাম্পাস, হলজীবন, মুক্ত বাতাসে ঘোরাঘুরি উফ্ ভাবতেই খুব মজা পাচ্ছি।

কলেজের অধ্যক্ষ ডা. দেলদার হোসেন বলেন, আমার মন্তব্য জানতে চাইলে বলবো, ‘বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে’ প্রকৃত অর্থে যার যেখানে যে অবস্থায় থাকার কথা, সেখানে কোনো বিচ্যুতি ঘটলে যা হয়। কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসা, শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষেত্রেও তেমনটিই হয়েছে। তবে, আমরা মূল ক্যাম্পাসে, মনোরম পরিবেশে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করতে যাচ্ছি, এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। একইসঙ্গে জেলাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

/মাহি/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়