ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

আমি দল বদল করার লোক না: ডিপজল

রাহাত সাইফুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০১, ২ জানুয়ারি ২০২২   আপডেট: ১৮:০৪, ৩ জানুয়ারি ২০২২

ঢাকাই চলচ্চিত্রের দাপুটে খল-অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। প্রযোজক হিসেবেও সমান সফল তিনি। গত বছরের শুরুতে এই অভিনেতা ১২ মাসে ১২টি সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দেন। কথা অনুযায়ী বেশ কয়েকটি সিনেমা নির্মাণও করেছেন।

নতুন বছরের প্রথম দিন নতুন বছরের প্রত্যাশা ও পরিকল্পনা নিয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেন ডিপজল। বছরের প্রথম দিনে একটি ওয়েব সিরিজের নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন তিনি। ‘জিম্মি’ শিরোনামের এই ওয়েব সিরিজের সেটে বসেই ওয়েব সিরিজ নির্মাণের পেছনের গল্প জনান ডিপজল।

এই অভিনেতা বলেন, ‘আমি চলচ্চিত্রের মানুষ। চলচ্চিত্রই আমার ধ্যানজ্ঞান। এর বাইরে অন্যকিছু ভাবি না। তবে প্রযুক্তিকেও অস্বীকার করা যায় না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নির্মাতারা ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি দিচ্ছেন। আমরাও পিছিয়ে থাকতে পারি না। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদেরও চলতে হবে। আমরাও যে বিশ্বমানের ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করতে পারি, তা দেখাতে চাই।’

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এরই মধ্যে বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। খুব শিগগিরই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনে নিজের প্রার্থী হওয়ার বিষয় তিনি বলেন, ‘আমার নির্বাচন করার ইচ্ছা নাই। তারপরও আমাকে ছাড়ছে না। হয়তো সহ-সভাপতি বা যেকোনো একটি পদে নির্বাচন করতে পারি।’

সভাপতি পদে কেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিপজল বলেন, ‘সভাপতি পদে নির্বাচন করার মতো সময় নাই; নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকি।’

আগামী নির্বাচনে প্যানেল বদলের কোনো সম্ভাবনা আছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি দল বদল করার লোক না। নির্বাচন করলে মিশা সওদাগর-জায়েদ খানের প্যানেল থেকেই করবো। কারণ তারা যেভাবে গরীবের পাশে থেকেছে, আমার মনে হয় শতভাগ করেছে।’

নতুন বছরের প্রত্যাশা জানিয়ে ডিপজল বলেন, ‘কোনো কিছু অগ্রিম বলা ঠিক না। কথা দিয়ে যদি কথা রাখতে না পারি তখন বিষয়টা ভালো দেখায় না। বছরের প্রথম দিন ওয়েব সিরিজ শুরু করলাম। ভালো কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে। বাকি সব আল্লাহর উপর।’

দর্শক প্রেক্ষাগৃহে ফেরাতে ভারতীয় সিনেমার বিপক্ষে মত দিয়েছেন ডিপজল। তিনি বলেন, ‘ভারতের সিনেমা দেশে আসার পর আমাদের বাংলা সিনেমায় সবচেয়ে বড় ধস নামে। ভারতীয় সংস্কৃতি ও বাংলাদেশি সংস্কৃতি আকাশ-পাতাল ব্যবধান। সিনেমার চিন্তা না, তারা দেশকে ধ্বংস করার চিন্তা করছেন। ভারতীয় সিনেমা বাংলাদেশের যেসব মানুষ বয়কট করছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। সবাই মিলে আবার চেষ্টা করলে আমাদের সিনেমা আগের জায়গায় আসবে, ইনশাআল্লাহ।’

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়