ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ভোজনরসিকদের জন্য তৈরি হচ্ছে ভাসমান রেস্টুরেন্ট

অমরেশ দত্ত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৮, ২৫ জুন ২০২৫   আপডেট: ১৫:৪৯, ৪ জুলাই ২০২৫
ভোজনরসিকদের জন্য তৈরি হচ্ছে ভাসমান রেস্টুরেন্ট

ভাসমান রেস্টুরেন্ট। ছবি: লেখক

শহর থেকে দূরে নদীতে ভাসমান একটি রেস্টুরেন্টে সময় উদযাপনের সুযোগ তৈরি হচ্ছে দেশেই। সৌন্দর্যপ্রেমী আর ভোজনরসিকরা জেনে আনন্দিত হবেন, চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ফরাজিকান্দিতে প্রায় দুইশো ড্রামের ওপর ধনাগোদা নদীতে ভাসমান রেস্টুরেন্ট প্রতিষ্ঠা করেছেন ৪ উদ্যোক্তা। ড্রামগুলো লোহার রিংয়ের সাথে মজবুতভাবে যুক্ত করে এর ওপর মুলি বাঁশ ও কাঠের তৈরি রেস্টুরেন্টটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

১২নং ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চরমাছুয়া গ্রামে গিয়ে প্রায় ১০ শতাংশ জায়গা নিয়ে ভাসমান স্টুরেন্টটির  কার্যক্রম দেখা যায়। ছোট ছোট খুপরি ঘর, নানা রংয়ের বাতির আলোয় আলোকিত করা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

ভাসমান রেস্টুুরেন্টের লাভ কর্নার

রেস্টুরেন্টটির পরিচালক অভি মাহমুদ সবুজ বলেন, ‘‘আমি ঢাকাতে ইলেকট্রিক ব্যবসায় নিয়োজিত থাকাকালীন দেশের নানা প্রান্তে যেতে হয়েছে। সেখানে নদীর ওপর ভাসমান রেস্টুরেন্টগুলো দেখে নিজেও একই রকম কিছু করার  স্বপ্ন দেখছিলাম। এরপর এলাকার আরও কয়েকজনসহ পরিকল্পনা করে ধনাগোদা নদীর ওপর এই ভাসমান রেষ্টুরেন্টটি প্রতিষ্ঠা করেছি।’’

তিনি আরও জানান, প্রতিদিন সকাল ১০টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত এই রেস্টুরেন্টটি চালু থাকবে। এখানে একসাথে একশো ২০ জন মানুষ একত্রে বসে নাস্তা করতে পারবে। জন্মদিনসহ ছোটখাটো মিটিং এখানে করার ব্যবস্থা রয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন ৩জন, সব মিলিয়ে ১০/১২ জনের এখানে কর্মসংস্থান হয়েছে। রেস্টুরেন্টটি নদীর বেড়িবাঁধ হতে অন্তত ২০ ফিট দুরুত্বে বেঁধে রেখে ভাসমান রাখা হয়েছে। যাতে পুরো নদীর ভিউ সহজে দেখা যায়।

রেস্টুরেন্টে যা যা থাকবে: চটপটি, ফুচকা, জুস, কফি, চিকেন ফ্রাই, স্যুপ এবং ফাস্টফুড আইটেম। এখানে থাকবে বারকিউ জোন, সেল্ফি জোন, ফিস লেক, বাটার ফ্লাই দোলনা, লাভার্স পয়েন্টসহ নানা আয়োজন। বেড়িবাঁধ ঘেঁষেও ভোজন রসিকদের পাশাপাশি বসে খাবার খাওয়ার আলাদা টং ঘর থাকছে। 

সবুজ ছাড়াও রেস্টুরেন্টটির  অন্যান্য শেয়ারহোল্ডাররা হচ্ছেন সিদ্দিকুর রহমান,ওবায়দুল্লা বিন খায়ের এবং শফিকুল ইসলাম।

রেস্টুরেন্টটির  পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘‘মানুষ যাতে এই ভাসমান রেস্টুরেন্টে একটু ফ্রেশ মুডে বসে সময় কাটানোর পাশাপাশি খাবার খেতে পারে সেজন্যই এটি করা। এখানে আড্ডার পাশাপাশি গান শুনারও ব্যবস্থা রয়েছে। আশাকরি দিনের আলোর পাশাপাশি রাতের বেলাতেও রেস্টুরেন্টটির  আলোকস্বজ্জা ভোজন রসিকদের নজর কাড়বে।’’

ঢাকা/ অমরেশ/লিপি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়