স্কুল ছুটির আগেই জীবন থেকে ছুটি পেয়ে গেলো সায়ান
সাতসতেরো ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
নিহত শিক্ষার্থী সায়ানের বাবা ইউসুফ, জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট
সোমবার সকালে যেসব বাবা-মা তাদের সন্তানদের হাত ধরে মাইলস্টোন স্কুলে পৌঁছে দিয়ে এসেছিলেন, আজ সে সব বাবা মায়েদের অনেকে সন্তানের মরদেহ সনাক্ত করতে ছুটে গেছে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের মর্গে। অনেক বাবা মা জানতেই পারেননি কীভাবে, কখন তার প্রিয় সন্তানকে দগ্ধ অবস্থায় কারা বার্ন ইউনিটে পৌঁছে দিয়েছে। যেসব শিক্ষার্থী বেঁচে আছে, তাদের বাবা মায়েরা আশায় বুক বেঁধেছেন। স্রষ্টার কাছে হাত তুলে প্রার্থনা করছেন। কোনো কোনো শিক্ষার্থী স্কুল থেকে ছুটি পাওয়ার আগেই জীবন থেকে ছুটি পেয়ে গেছে। তাদের বাবা মায়েরা শোকে পাথর প্রায়!
মর্গে লাশ বাড়ছে, মর্গের সামনে লাশ বুঝে নেওয়ার জন্য স্বজনরা দাঁড়িয়ে আছেন।মাইলস্টোন ট্রাজেডিতে প্রাণ হারিয়েছেন ওই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সায়ান ইউসুফ। সায়ানের বাবা-মা দুইজনই শিক্ষক। সন্তানকে হারিয়ে পাগলপ্রায় অবস্থা তাদের। এই ঘটনায় দেশ, দেশের রাজনীতির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই সন্তান হারানো বাবা।
ক্লাস সেভেনে পড়ুয়া ১৪ বছর বয়সী সন্তানকে হারিয়ে ইউসুফ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমি আর এ দেশে থাকবো না। এদেশের পলিটিশিয়ানরা এদেশটাকে পলিউট করে ফেলছে। আমরা এ দেশে আর থাকবো না। আমি একজন প্রফেসর, আমার ওয়াইফ কেমিস্ট্রির লেকচারার। আমরা থাকবো না এদেশে। ’’
সায়ানের পরিবারের সদস্যরা মর্গের সামনে অপেক্ষা করছেন। তাদের অভিযোগ, ‘‘ওসির আসার কথা। কিন্তু রাত তিনটা থেকে এখানে কোনো পুলিশ নেই। পাঁচটা লাশ অররেডি মর্গে আছে। ’’
উল্লেখ্য, সায়ান ইউসুফ রাত ৩টা ৫০ মিনিটে মারা গেছে। শরীরের পঁচানব্বই শতাংশই আগুনে পুড়ে গিয়েছিলো সায়ানের।
ঢাকা/লিপি