কে এই রুহি আখতার
সাতসতেরো ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
রুহি লরেন আখতার
রুহি আখতার একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশি মানবাধিকার কর্মী। তার পুরো নাম রুহি লরেন আখতার। রুহি আখতারের বাবা বিলাত প্রবাসী কাপ্তান মিয়া বাংলাদেশি অভিবাসী। রুহির পুরো নাম রুহি লরেন আখতার। তার জন্ম যুক্তরাজ্যের নর্থাম্বারল্যান্ডের মোরপেথে। রুহি বসবাস করেন যুক্তরাজ্যের এলসউইক ওয়ার্ডে। তিনি যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে পডিয়াট্রিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন।
রুহি লরেন আখতার ২০১৫ সালে তিন বছর বয়সী সিরীয় শরণার্থী শিশুর নিথর দেহের ছবি দেখে স্বেচ্ছাসেবী হতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এবং মানবাধিকার নিয়ে কাজ শুরু করেন। তিনি ডানকার্কের শরণার্থী শিবিরে সহায়তা দিতে শুরু করেন।
ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি গড়ে তোলেন ‘রিফিউজি বিরিয়ানি অ্যান্ড বানানাস’—যা এখনো যুদ্ধবিধ্বস্ত ও বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে খাদ্য, চিকিৎসা ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে।
রুহি আখতার চলতি বছরের মার্চে কায়রো থেকে রাফাহ সীমান্ত পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পদযাত্রার আয়োজনেও তিনি সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। রুহির নিজ হাতে গড়া সংগঠন আরবিবি গাজায় ত্রাণ বিতরণে মাঠপর্যায়ে কাজ করছে। কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ২০২৪ সালে নর্থ ইস্ট বাংলাদেশি অ্যাওয়ার্ডের ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পান।
ব্রিটিশ বাংলাদেশি রুহি গাজায় জরুরি সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার এবং চলমান অবরোধের প্রতিবাদ জানানোর উদ্যোগ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় যোগ দিয়েছেন।
রুহি তার ইন্সটাগ্রামে লিখেছেন, ‘‘আমি গাজার উদ্দেশ্যে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় যোগ দিয়েছি, কারণ অন্যায়ের মুখে নীরব থাকা কোনো সমাধান হতে পারে না। অনেক দিন ধরে ফিলিস্তিনিদের খাদ্য, পানি, জমি, মৌলিক নিরাপত্তা এবং চলাচলের স্বাধীনতার মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমি দেখেছি এক টুকরো রুটি বা সামান্য বিশুদ্ধ পানি কীভাবে সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে আশা ফিরিয়ে আনতে পারে। এবারের এই নৌবহর হলো সংহতির প্রতীক, যা মনে করিয়ে দেয় যে বিশ্ব তাকিয়ে আছে, এবং আমরা গাজার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকব যতদিন না তারা মুক্ত হয়। কারণ আমাদের কেউই মুক্ত নই, যতদিন না ফিলিস্তিন মুক্ত।”
রুহি আখতার মানবতার বার্তা নিয়ে গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে বদ্ধপরিকর।
উল্লেখ্য— এর আগে রুহির ‘বিরিয়ানি অ্যান্ড ব্যানানাস’-এর মাধ্যমে গ্রীস, গাজা এবং অন্যান্য এলাকায় বাস্তুচ্যুত ও যুদ্ধপীড়িত মানুষের জন্য জরুরি খাদ্য ও সহায়তা বিতরণ পরিচালনা করেছেন। সংস্থাটির অনেক সদস্য নিজেরাই বাস্তুচ্যুত বা সংঘাতপীড়িত এলাকার মানুষ অর্থাৎ শরণার্থী।
ঢাকা/লিপি