ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বিশ্বজুড়ে এখন বিক্ষোভের সময়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৫, ২৩ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিশ্বজুড়ে এখন বিক্ষোভের সময়

বলিভিয়াতে নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালস জালিয়াতি করে জয় পেয়েছেন বলে বিরোধী দল অভিযোগের পর গত সোমবার জনগণের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।

গত সপ্তাহে চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোর সড়কগুলো ছিলো বিক্ষোভে উত্তাল। বাসের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ, বাসে অগ্নিসংযোগ, দোকান লুটপাটের মতো ঘটনা ঘটেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন দেশটিতে।

চলতি মাসের প্রথম দিকে জ্বালানি তেলের ওপর ভর্তুকি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর ইকুয়েডরেও একই পরিস্থিতি হয়েছিল। এই দেশটিতেও শেষ পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি করতে হয়েছে প্রেসিডেন্টকে।

হংকংয়ে অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি চলে আসছে গত কয়েক মাস ধরে। লেবাননের রাজধানী বৈরুতেও চলছে বিক্ষোভ। স্পেনের বার্সেলোনায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘাতে গত সপ্তাহে রীতিমতো রণক্ষেত্র হয়ে গিয়েছিল সড়কগুলো এবং গত মাসে ব্রেক্সিট ইস্যুতে লাখ লাখ ব্রিটিশ লন্ডনে বিক্ষোভ করেছে।

গত কয়েক মাস ধরে বিশ্বজুড়ে একের পর এক বিক্ষোভ চলছে। প্রত্যেকটিরই ইস্যু ভিন্ন। তবে এর অনেকগুলোই যে হতাশাজনক পরিস্থিতি থেকে উদ্ভূত তা স্পষ্ট।

ইউরোপিয়ান ব্যাংক ফর রিকনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের প্রাক্তন প্রধান অর্থনীতিবিদ সের্গেই জিউরিভ জানান, সাধারণত বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তির উন্নয়ন দেশগুলোর মধ্যে অসমতা সৃষ্টি করেছে। অবশ্য চলমান বিক্ষোভগুলোর সবকটির পেছনেই কিন্তু অর্থনৈতিক ইস্যু নেই।

যুক্তরাজ্যের প্যানমিউর গর্ডন ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ সিমন ফ্রেঞ্চের মতে, ডিজিটাল গণমাধ্যমও জনগণকে বৈশ্বিক অসমতা সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন করছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, সুখী অর্থনীতি বহুলাংশে আপনার অবস্থান ও মানদণ্ডের তুলনামুলক মূল্যায়ণের ওপর নির্ভর করে।’

অনেক ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে ব্যক্তির উত্থানও বিক্ষোভে বড় ভূমিকা রেখেছে। গত মাসে মিশরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ছোটমাত্রায় বিক্ষোভ হলেও এর গুরুত্ব ছিল অনেক বেশি।  স্পেন থেকে এক মিশরীয়র পোস্ট করা ভিডিওগুলো কয়েক হাজার মানুষকে রাজপথে নামিয়ে আনতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছিল।

একইভাবে জলবায়ু আন্দোলনকর্মী সুইডিশ কিশোরী গ্রেটা থানবার্গের  টুইটারে দেওয়া বার্তায় সাড়া দিয়ে নিউ ইয়র্কসহ বিশ্বের শতাধিক দেশে র‌্যালি করেছে হাজার স্কুল শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক।

নিউ ইয়র্কে সমাবেশে দেওয়া ভাষণে থানবার্গ বলেছিলেন, ‘আপনি যদি সেই ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর অর্ন্তভূক্ত হন, যারা আমাদেরকে হুমকি বলে মনে করে, তাহলে আপনার জন্য কিছু দুঃসংবাদ রয়েছে। কারণ এটা কেবল শুরু। আপনি পছন্দ করেন বা নাই করেন, পরিবর্তন আসছে।’


ঢাকা/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়