ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

মুসলিম নারীদের গর্ভপাতে বাধ্য করতো চীনা কর্তৃপক্ষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৬, ৩ জুন ২০২১  
মুসলিম নারীদের গর্ভপাতে বাধ্য করতো চীনা কর্তৃপক্ষ

শিনজিয়াংয়ের উইঘুর মুসলিম নারীদের গর্ভপাতে বাধ্য করতো চীনা কর্তৃপক্ষ।  এছাড়া নানা ছুতায় আটক পুরুষদের ‘দিন-রাত নির্যাতন’ করা হতো। তুরস্কে পালিয়ে যাওয়া তিন উইঘুর মুসলিম বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তারা এসব অভিযোগ করেছেন।

পালিয়ে আসা তিন জনের মধ্যে এক জন নারী। তার গর্ভস্থ সন্তানের বয়স যখন সাড়ে ছয় মাস তখন জোর করে তার গর্ভপাত ঘটানো হয়। 

চার সন্তানের জননী বুমিরিয়েম রোজি জানান, গর্ভে থাকা পঞ্চমবারের মতো গর্ভধারণ করায় ২০০৭ সালে তাকে অন্যান্য নারীদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি বলেন, ‘আমি সাড়ে ছয় মাসের গর্ভবতী ছিলাম...পুলিশ আসলো, এক জন উইঘুর ও দুজন চীনা ছিল। তারা আমাকে ও আট গর্ভবতী নারীকে একটি গাড়িতে ওঠায় এবং হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারা প্রথমে আমাকে  একটি পিল দিয়ে এটি খেয়ে ফেলতে  বলে। আমি এটা করলাম। আমি জানতাম না ওটা কিসের ওষুধ ছিল। আধাঘণ্টা পর তারা আমার পেটে সুই দিয়ে খোঁচা দেয়। এর কিছুক্ষণ পর আমি আমার সন্তানকে হারালাম।’

সেমসিনুর নামে এক গাইনি বিশেষজ্ঞ জানান, তিনি ১৯৯০ সালের দিকে গ্রামের সরকারি হাসপাতালে চাকরি করতেন।  তিনি ও ক্লিনিকের অন্যান্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মোবাইল আল্ট্রাসাউন্ড মেশিন দিয়ে পরীক্ষা করতেন যে কোনো সন্তানসম্ভবা আছে কিনা। কোনো বাড়িতে সরকারের অনুমোদিত সংখ্যার বাইরে সন্তান জন্ম দিলে সেই বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হতো।

মাহমুত তিভিক্কুল নামে আরেক জন জানান, তার ভাই আরবিতে একটি ধর্মীয় বই প্রকাশ করেছিল। এর জন্য তারা ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। ২০১০ সালে ভাইয়ের সেই কাজের জন্য তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাকে গ্যাস পাইপ দেয় পেটানো হতো এবং চেহারায় ঘুষি মারা হতো।

ঢাকা/শাহেদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়