‘দাড়ি না বাড়িয়ে অন্যের কাজের সুযোগ বাড়ান’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দাড়ি কাটার খরচ হিসেবে ১০০ রুপি পাঠিয়েছেন এক চা বিক্রেতা। মোদি যাতে দাড়ি বাড়ানোর পরিবর্তে কর্মসংস্থান বাড়ান সেজন্যই এই অর্থ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের ওই চা বিক্রেতা।

স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘লকডাউনে প্রধানমন্ত্রী নিজের দাড়ি লম্বা করেছেন। কিন্তু দেশের এই পরিস্থিতিতে যদি কিছু বাড়ানোর প্রয়োজন থাকে, তবে সেটি হলো অন্যের কাজের সুযোগ। এর পাশাপাশি হাসপাতালের সংখ্যা এবং টিকাকরণের হারও বৃদ্ধি করা দরকার।’

মোদির উদ্দেশে মহারাষ্ট্রের বারামতির ওই চা বিক্রেতা বলেছেন, ‘যদি কিছু বাড়াতেই চান, তবে কাজের সুযোগ বৃদ্ধি করুন, দেশে টিকাকরণের হার এবং হাসপাতালের সংখ্যা বৃদ্ধি করুন।’ 

একটি চিঠি পাঠিয়ে মোদিকে ওই চা বিক্রেতা অনুরোধ করেছেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তাদের পরিবার পিছু ৫ লাখ রুপি করে সাহায্য করুক কেন্দ্র। লকডাউন বিধ্বস্ত পরিবারগুলিকে সাহায্য করুক ৩০ হাজার রুপি করে দিয়ে। লকডাউনে তার নিজের ব্যবসারও ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বারামতির ইন্দ্রপুর রোডে একটি হাসপাতালের উল্টোদিকের রাস্তায় চায়ের দোকান রয়েছে ওই চা বিক্রেতার। 

মোদিকে তিনি জানিয়েছেন, পরপর দু’টি লকডাউনে ভারতের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আপাতত দেশের মানুষের দুর্দশা ঘোচানোই প্রধানমন্ত্রীর প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত।

মোদিকে দাড়ি কামানোর টাকা পাঠানো প্রসঙ্গে ওই চা বিক্রেতা বলেন, ‘আমি নিজের জমানো অর্থ পাঠিয়েছি প্রধানমন্ত্রীকে, যাতে উনি নিজের দাড়ি কেটে ফেলেন। তাকে আঘাত করার কোনো উদ্দেশ্য আমার নেই। আমি জানি, উনি নেতা হিসেবে সম্মানীয়। কিন্তু যেভাবে দেশের গরীবদের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে, তাতে অন্য কোনোভাবে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা যেত না।’