ঢাকা     বুধবার   ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ২ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকায় সমাবেশ ২৪ অক্টোবর 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৫, ২২ অক্টোবর ২০২৫  
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকায় সমাবেশ ২৪ অক্টোবর 

সরকার এখনও নিরপেক্ষতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”

মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক ‘গণঅভ্যুত্থানের গণআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন’ ও ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন’সহ আট দফা দাবিতে আগামী ২৪ অক্টোবর ঢাকা সমাবেশ ও গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিকেল আড়াইটা থেকে সমাবেশ শুরু হবে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে পুনর্গঠন, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে পদক্ষেপ, সন্ত্রাস–চাঁদাবাজি–দখলবাজি রোধ এবং দেশের বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার তৎপরতা বন্ধের দাবিতেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।”

সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর কারও কারও উগ্র ও প্রতিহিংসাপরায়ণ বক্তব্য, সরকারের অকার্যকারিতা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব পালনে দুর্বলতার কারণে এখনও ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে সংশয় ও সন্দেহ বিদ্যমান।”

তিনি সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডগুলোর প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “মিরপুরের কেমিকেল গুদাম, চট্টগ্রামের ইপিজেড এবং শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো গুদামে যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, তা নিছক দুর্ঘটনা নাও হতে পারে। এসব ঘটনায় পরিকল্পিত নাশকতার ইঙ্গিত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা জরুরি।”

তিনি এসব ঘটনার নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত, দায়ীদের শাস্তি, নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, আহতদের সুচিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান।

সাইফুল হক বলেন, “নিরপেক্ষতার পরীক্ষায় সরকার এখনও পাস করতে পারেনি। এবার ফেল করার সুযোগ নেই। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারের দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছাই মূল শর্ত।”

সাইফুল হক বলেন, “অঢেল অর্থব্যয়, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ, ধর্মীয় অনুভূতির অপব্যবহার রোধ করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত না হলে নির্বাচন অর্থহীন হয়ে পড়বে।”

তিনি নির্বাচনকালীন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ারও দাবি জানান।

সেগুনবাগিচার সংহতি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সিকদার হারুন মাহমুদ, কেন্দ্রীয় সংগঠক বাবর চৌধুরী ও যুবরান আলী জুয়েল প্রমুখ।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়