ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ফ্র্যাঞ্চাইজিদের হাতেই বিপিএলের উন্নতি!

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫০, ২০ জানুয়ারি ২০২২  
ফ্র্যাঞ্চাইজিদের হাতেই বিপিএলের উন্নতি!

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে মাঝের দুই মৌসুমে বিপিএল হয়নি। এ টুর্নামেন্টের সর্বশেষ আসর হয়েছিল ২০১৯–২০ মৌসুমে। বরাবরের মতো এবারো তাই বিপিএল মাঠে গড়াচ্ছে জোড়াতালি দিয়ে, দায়সারা আয়োজনে।

এ বছর বিপিএল আয়োজনের পরই আবার দীর্ঘ মেয়াদের জন্য দল খুঁজবে বিসিবি। বোর্ডের পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিকের বিশ্বাস, পরের আসর থেকে বিপিএল হবে গোছানো, পরিপাটি। তবে সেই গোছানো আয়োজন কি আন্তর্জাতিক মানের হবে?

বিপিএলের পরে শুরু করা অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগও এখন বিপিএলের চেয়ে সবদিক দিয়ে সুগঠিত। পিএসএল, সিপিএল, বিবিএল আয়োজন করা হলে খবর হয়ে যায় গোটা বিশ্বে। বিপিএল প্রথম দশ বছরের সার্কেলে পুরোপুরি ব্যর্থ। আয়োজন ঠিক থাকেনি, ফ্র্যাঞ্চাইজি ঠিক থাকেনি, নিয়মকানুনের পরিবর্তন হয়েছে হর-হামেশাই।

আয়োজকদের ঘাটতি নাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সদিচ্ছার অভাব? আয়োজকদের প্রধান ইসমাইল হায়দার দোষ চাপালেন ফ্র্যাঞ্চাইজিদের দিকেই, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজির সম্পৃক্ততা কম। ফ্র্যাঞ্চাইজিকেই তার বিজনেস মডেল দাঁড় করাতে হবে।’ তার বার্তা অবশ্য পরিষ্কার, ‘ক্রিকেটের প্রতি যাদের আগ্রহ বেশি, যারা ক্রিকেটকে ভালোবাসবে তাদের বিপিএলে আসতে হবে। এখানে কোনো ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি নেই। ক্রিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এবং ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করতে যারা ইচ্ছুক তাদের বেছে নেওয়া হবে।’

তবে সব আয়োজনের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ওপর দায় চাপিয়ে দেওয়া কতটা যৌক্তিক? আইপিএল, পিএসএলে রেভিনিউ শেয়ার করা হয়। বিপিএল থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা কিছুই পান না। বিপিএলের আয়োজকরা অবশ্য সেসব চিন্তা করছেন না। তাদের ভাবনা, ‘আমরা এখন দুটি কাজ করছি। প্রথমত হচ্ছে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে কি না, আর ভিউয়ারশিপ যেন ঠিক থাকে। আর্থিক বিষয়টি আমরা গত তিন-চার বছর ধরে খুব একটা ভাবছি না। রেভিনিউ জেনারেশন আমাদের মূল লক্ষ্য না। সেটা হলে আমরা এই সময় বিপিএল আয়োজন করতাম না। এই দায়িত্বও ফ্র্যাঞ্চাইজির নিতে হবে। তাদের আগ্রহ থাকতে হবে। আমরা লং টার্মে গেলে ভ্যালুও বাড়বে। তখন তারা প্ল্যান করে এগোতে পারবে। বোর্ডের সিদ্ধান্ত রেভিনিউ শেয়ারিংয়ে যাবে না। ফ্র্যাঞ্চাইজিকেই তার বিজনেস মডেল দাঁড় করাতে হবে।’

বিপিএলে ঘনঘন নিয়ম বদলায়। টাইম স্লট ঠিক থাকে না। বিসিবির প্রধান নির্বাহী টাইম স্লটের জন্য জাতীয় দলের এফটিপিকে (ফিউচার ট্যু প্ল্যান) ‘অজুহাত’ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। তার কথা, জাতীয় দলের এফটিপি চূড়ান্ত হলে ভবিষ্যতে বিপিএলের স্লট ঠিক করা হবে। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের ভবিষ্যতের পরিকল্পনা হচ্ছে টাইম স্লট ঠিক করা। আমাদের ক্যালেন্ডার ঠিক করবে পরবর্তী এফটিপি। আগামী দুই চক্রের এফটিপিতে আমরা নির্দিষ্ট সময় রাখব। তখন বিপিএল আয়োজনের চেষ্টা করব। এখন তো সেই সুযোগটি নেই।’

কেন নেই? কারণও ব্যাখ্যা করলেন তিনি, ‘আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেটার ছাড়া বিপিএল হবে না। আমরা তো ইংল্যান্ড না বা অস্ট্রেলিয়া না যে জাতীয় দলের ক্রিকেটার ছাড়া বিপিএল খেলব। কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি সাকিবকে ছাড়া খেলতে রাজি হবে? আমরা ভারতও না যে চাইলেই যে কোনো সিরিজ বাদ দেব। ভারত যদি সামনের ফেব্রুয়ারিতে আমাদের সঙ্গে খেলতে চায় তাহলে কোনোভাবেই ওই সময়ে বিপিএল আয়োজন করতে পারবে না। ওই সিরিজ আমাদের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমাদের সিরিজ যখন তখন হচ্ছে। এফটিপি চূড়ান্ত হলে সেই বিষয়গুলো খেয়াল রেখেই করা হবে।’

ঢাকা/ইয়াসিন/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়