ঢাকা     রোববার   ১৬ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ২ ১৪৩১

তালগোল পাকানো পারফরম্যান্সে ‍যুক্তরাষ্ট্রকে সিরিজ উপহার বাংলাদেশের

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৪১, ২৩ মে ২০২৪   আপডেট: ০১:০৯, ২৪ মে ২০২৪
তালগোল পাকানো পারফরম্যান্সে ‍যুক্তরাষ্ট্রকে সিরিজ উপহার বাংলাদেশের

স্কোর: বাংলাদেশ ১৩৮/১০ (১৯.২ ওভার),  যুক্তরাষ্ট্র ১৪৪/৬ (২০ ওভার)

ফলাফল: যুক্তরাষ্ট্র ৬ রানে জয়ী

প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হারল বাংলাদেশ। এবারের পরাজয়টা আরো বিব্রতকর, আরো হতাশার। মাত্র ১৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রিশাদ হোসেন যখন আউট হলেন তখনও লক্ষ্যের থেকে ৬ রান দূরে বাংলাদেশ।

ঐতিহাসিক জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত করলো যুক্তরাষ্ট্র। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দলের বিপক্ষে তাদের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। সঙ্গে বাংলাদেশ পূর্ণ করলো টি-টোয়েন্টিতে প্রথম দল হিসেবে একশ ম্যাচ হারের মাইলফলক।  

যুক্তরাষ্ট্রকে ১৪৪ রানে থামিয়ে বাংলাদেশের বোলাররা লক্ষ্য নাগালে রেখেছিল। ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব ছিল কেবল ঠিকঠাক ব্যাটিংটা করা। অফফর্মে থেকে ফর্মে ফেরা। থিতু হলে ইনিংস বড় করা। কিন্তু শান্ত ও সাকিব বাদে কেউই পারলেন না বলার মতো কিছু করতে। উইকেট বিলিয়ে অসহায় আত্মসমর্পণে ব্যাটসম্যানরা ম্যাচ উপহার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে।  

১০ ওভারে ২ উইকেটে ৭৬ রান তুলে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে লড়াই করেছিল বেশ ভালোভাবেই। শেষ ১০ ওভারে ৬৯ রান দরকার ছিল। কিন্তু তালগোল পাকানো ব্যাটিংয়ে সব ওলটপালট। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ হেরে সিরিজ খোয়াল বাংলাদেশ। 

লো স্কোরিং ম্যাচে ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন আলী খান। 

যুক্তরাষ্ট্রের তোপে পুড়ছে বাংলাদেশ

জাকের আলী অফস্টাম্পের বাইরের বল স্লগ করতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন মিড উইকেটে। পরের ওভারের প্রথম বলে সাকিব পেসার আলী খানের বল উইকেটে টেনে আনলেন। দুই বল পর এই পেসারের ইয়র্কারে এলবিডব্লিউ তানজিম হাসান। পাঁচ বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে বাংলাদেশ। ১৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১২৫ রান তুলতেই ৮ ব্যাটসম্যান ড্রেসিংরুমে। ৫ বলে ৪ রানে থেমে যায় জাকের ইনিংস। আশা দেখানো সাকিব ২৩ বলে করেন ৩০ রান। তানজিম খুলতে পারেননি রানের খাতা। 

মাহমুদউল্লাহকে হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

আরেকটি উইকেট হারাল বাংলাদেশ। এবার ড্রেসিংরুমের পথ ধরলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শ্যাডলি ক্লদ ভ্যান শাল্কউইকের নিচু হওয়া বল মিস করে বোল্ড হলেন। ৪ বলে ৩ রানে থেমে যায় তার ইনিংস। শান্ত ও তাওহীদের পর দ্রুত আরেকটি উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান জাকের আলী। 

শান্তর পর ফিরে গেলেন তাওহীদও

শান্ত রান আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার এক ওভার পরই তার পথ অনুসরণ করলেন তাওহীদ। কোরি অ্যান্ডারসনের বলে বোল্ড হয়ে তাওহীদের ইনিংসটি শেষ হলো। জায়গায় দাঁড়িয়ে স্লগ খেলতে চেয়েছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ২১ বলে ২৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ খানিকটা চাপে। সাকিবের সঙ্গে উইকেটে যোগ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। 

শান্ত রান আউট

জুটির পঞ্চাশ রান পূর্ণ হলো না শান্ত ও তাওহীদের। তৃতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে দলের হয়ে লড়াই করলেও ফিফটি ছোঁয়া হলো না তাদের জুটির রানের। ৩৭ বলে ৪৮ রানের জুটির ইনিংসটি কাটা পড়ে রান আউটে। কোরি অ্যান্ডারসনের বল ঠিকঠাক খেলতে পারেননি তাওহীদ। রান নিতে চেয়েছিলেন শান্ত। কিন্তু বল ছিল অ্যান্ডারসনের নাগালে। দৌড়ে বোলার যখন উইকেট ভাঙেন তখন শান্ত মাঝ ক্রিজে দাঁড়িয়ে। ৩৪ বলে ৩৬ রানে থেমে যায় শান্তর ইনিংস। ২টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকান বাংলাদেশের অধিনায়ক। উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান। 

শান্ত-তাওহীদের ব্যাটে বাংলাদেশের লড়াই

দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশকে টেনে তুলছেন শান্ত ও তাওহীদ। দুজনের জমাট ব্যাটিংয়ে লক্ষ্যের পথে ছুটছে বাংলাদেশ। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৭৬। থিতু হওয়ার পর দুজনই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছেন। তাতে চাপ কাটিয়ে বেশ স্বস্তিতে আছে অতিথি শিবির। জয়ের জন্য শেষ ১০ ওভারে ৬৯ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের। 

পাওয়ার প্লে’তে নড়বড়ে বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্র পাওয়ার প্লে’তে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪২ রান তুলেছিল। বাংলাদেশ ১ রান বেশি তুললেও উইকেট হারিয়েছে ২টি। ১৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসানের উইকেট হারিয়েছে অতিথিরা। উইকেটে এখন রয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়। ইনিংস মেরামতের দায়িত্বটা এখন তাদের কাঁধেই।  

বোল্ড হয়ে ফিরলেন তানজিদ

পেসার জেসি সিং বোলিংয়ে এসে দ্বিতীয় বলে পেলেন উইকেটের স্বাদ। তার শর্ট বল ক্রস ব্যাট চালাতে গিয়ে বোল্ড হন তানজিদ হাসান। লিটনের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পাওয়া এ ব্যাটসম্যান তেমন ভালো করতে পারেননি। ১৫ বলে ১৯ রান করেছেন ১টি করে চার ও ছক্কায়। বাংলাদেশ হারাল দ্বিতীয় উইকেট। নতুন ব্যাটসম্যান তাওহীদ হৃদয়।  

সৌম্য গোল্ডেন ডাক

১৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারেই উইকেট হারাল বাংলাদেশ। গোল্ডেন ডাকের তিক্ত স্বাদ পেয়েছেন সৌম্য সরকার। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি তার ১২তম ডাক। পেসার সৌরভ নেটরাভালকারের বল স্ট্রেইট ড্রাইভ খেলতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দেন সৌম্য। বল হাতে জমে যায় পেসারের। শুরুতে উইকেট হারিয়ে কিছুটা পিছিয়ে গেল বাংলাদেশ তা বলতে দ্বিধা নেই। 

বাংলাদেশের টার্গেট ১৪৫ রান

বাংলাদেশকে ১৪৫ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সিরিজ বাঁচাতে এই রান করতে হবে বাংলাদেশকে। নয়তো এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিতে নেবে যুক্তরাষ্ট্র।

টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে যুক্তরাষ্ট্র খুব একটা ভালো করেনি। ৬ উইকেটে তাদের রান ১৪৪। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রিত ছিল বাংলাদেশের বোলিং। আলগা বোলিং না করায় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যানরাও ঝড়ো ইনিংস খেলতে পারেননি। বোলাররা ভালো বোলিংয়ে লক্ষ্য নাগালে রেখেছেন। এবার ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব সামলানোর পালা।

বোলিংয়ে শরিফুল, মোস্তাফিজ ও রিশাদ ২টি করে উইকেট পেয়েছেন। একাদশে ফেরা তানজিম উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ২৩ রান। উইকেট পাননি সাকিবও। তবে রান দিয়েছেন ৩৫। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে অধিনায়ক মোনাক সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন। এছাড়া অ্যারন ৩৫ ও স্টিভেন ৩১ রান করেন। মাঝারিমানের স্কোর হলেও ঝড়ো ব্যাটিং করতে পারেননি কেউই। তাইতো স্কোরবোর্ডও হাসেনি।  

এবার শরিফুলের জোড়া আঘাত

নিজের শেষ ওভার করতে এসে শরিফুল পেলেন উইকেটের স্বাদ। বাঁহাতি পেসার ফিরিয়েছেন আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান কোরি অ্যান্ডারসনকে। তার ইয়র্কারের কোনো উত্তর জানা ছিল না অ্যান্ডারসনের। ১০ বলে ১১ রান করে ফেরেন অ্যান্ডারসন। ওই ওভারে আরো একটি উইকেট পেয়েছেন শরিফুল। যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক মোনাককে বোল্ড করেন। উইকেট থেকে সরে স্কুপ করতে গিয়ে বল মিস করে বোল্ড হন মোনাক। ডানহাতি ওপেনার ৩৮ বলে ৪২ রান করেন ৪ চার ও ১ ছক্কায়। 

মোস্তাফিজের প্রথম উইকেট

১৭তম ওভারে বোলিংয়ে এসে মোনাক ও অ্যারনের জুটি ভাঙলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার লেন্থ বল উড়াতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন অ্যারন। অনেকটা গ্রাউন্ড দৌড়ে দৃষ্টিনন্দন ক্যাচ নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩৪ বলে ৩৫ রান করেন অ্যারন। যেখানে ছিল ৩ চার ও ১ ছক্কার মার। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক মোনাককে নিয়ে ৫৬ বলে ৬০ রানের জুটি গড়েন অ্যারন। নতুন ব্যাটসম্যান কোরি অ্যান্ডারসন।    

সাকিব ৪-০-৩৫-০

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৬ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ ওভার হাত ঘুরালেও সাকিবের পকেটে নেই কোনো সাফল্য। ৩৫ রান দিয়ে বাঁহাতি স্পিনার ছিলেন উইকেটশূন্য। শেষ ওভারে একটি উইকেট পেয়েও যেতে পারতেন। উইকেট রক্ষক জাকের স্টাম্পিংয়ের সুযোগ হাতছাড়া করায় সাকিব পাননি উইকেটের স্বাদ। 

ঘুরে দাঁড়িয়ে বড় সংগ্রহের চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের

৪৪ রানে জোড়া উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে লড়াই করছে যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক মোনাক ও অ্যারন। এরই মধ্যে জুটির পঞ্চাশ রান পূর্ণ করেছেন তারা। ধাক্কা সামলে নেওয়ার পর এখন বড় সংগ্রহে চোখ তাদের। তবে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রত্যাশামাফিক ঝড় তুলতে পারছেন না ব্যাটসম্যানরা। উইকেট ধীর গতির হওয়ায় নির্দিষ্ট পরিকল্পনায় ব্যাটিং করা যাচ্ছে না। 

১০ ওভারে যুক্তরাষ্ট্র ২ উইকেটে ৬৮

ইনিংসের অর্ধেকতম ওভার শেষে যুক্তরাষ্ট্রের রান ২ উইকেটে ৬৮। সপ্তম ওভারে জোড়া উইকেট হারানোর পর ইনিংস মেরামতের কাজ করছেন মোনাক পাটেল ও অ্যারন জোন্স। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে উড়তে দিচ্ছে না বাংলাদেশও। সেজন্য ব্যাট-বলের লড়াই জমেও উঠেছে। 

রিশাদের জোড়া আঘাতে ব্যাকফুটে যুক্তরাষ্ট্র

নিজের প্রথম ওভারে উইকেটের স্বাদ পেলেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তরুণ স্পিনার ভাঙলেন উদ্বোধনী জুটি। পাওয়ার প্লে’তে যুক্তরাষ্ট্র কোনো উইকেট হারায়নি। উইকেট জমিয়ে পরে আক্রমণের পরিকল্পনা করছে তা বোঝাই যাচ্ছিল। বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল উইকেটের। রিশাদ দলের হয়ে সেই কাজটাই করেন সপ্তম ওভারে।

তার বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন স্টিভেন টেইলর। বাঁহাতি ওপেনার ২৮ বলে ৩১ রান করেন ৩ চার ও ২ ছক্কায়। উইকেটে আসা নতুন ব্যাটসম্যান অ্যান্ড্রিস গিউসকে রিশাদ টিকতে দেননি। তার ঘূর্ণিতে প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন অ্যান্ড্রিস। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করলেও তার ওভারের শেষ বলে বিপদ ডেকে আনেননি অ্যারন জোন্স।

২ রানে ২ উইকেট নিয়ে রিশাদ ব্যাকফুটে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে। 

পাওয়ার প্লে’তে সমানে সমান বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র

বৃত্তের সুবিধা কাজে লাগিয়ে পাওয়ার প্লে’র শেষ দুই ওভারে লড়াই করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে প্রথম চার ওভারে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে স্বাগতিকদের উড়তে দেয়নি বাংলাদেশ। প্রথম ৬ ওভার শেষে দুই দলের অবস্থান সমানে সমান। যুক্তরাষ্ট্র কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪২ রান জমা করেছে। এ সময়ে তারা খুব বেশি শট খেলতে পারেননি। তবে নিয়মিত বিরতিতে বাউন্ডারি আদায় করে লড়াই করেছে। 

বোলিংয়ে ভালো শুরু বাংলাদেশের

শুরুর দুই ওভারে নতুন বলে কোনো আলগা বোলিং করেননি দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। রান নিতে ব্যাটসম্যানদের কোনো সুযোগই দেননি তারা। প্রথম ওভার প্রায় মেডেন হয়ে যাচ্ছিল। প্রথম পাঁচ বলে কোনো রান নিতে পারেননি স্টিভেন টেইলর। ষষ্ঠ বলে ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলে বাউন্ডারি পান। পরের ওভারে তানজিম হাসান দেন কেবল ২ রান। তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে ফিরে শরিফুল খরচ করেন ৬ রান। চতুর্থ ওভারে তানজিম দুই বাউন্ডারি হজম করেন। দুই ওপেনার স্টিভেন ও মোনাক একটি করে চার হাঁকান। তবুও ওভারে ৯ রানের বেশি আসেনি। 

টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ, লিটনের জায়গায় তানজিদ

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বাজেভাবে হারের পর বাংলাদেশের আজকের লড়াইটা সিরিজ বাঁচানোর। টেক্সাসের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে। টস জিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ম্যাচে দুটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। চরম ব্যর্থ হয়েও বারবার সুযোগ পাওয়া লিটন দাশকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয়েছে তানজিদ হাসান তামিমকে। এছাড়া স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মাহেদীর জায়গায় পেসার তানজিম হাসান সাকিবকে নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের জন্য আজকের লড়াইটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে। আজ হারলেই সিরিজ হাতছাড়া। তাহলে আইসিসির সহযোগী দেশের বিপক্ষে এবারই প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র অন্যরকম এক রোমাঞ্চে ডুবে আছে। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর বিপক্ষে কখনো তারা টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেনি। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ সাফল্যের খোঁজে থাকা যুক্তরাষ্ট্র আজ জিতলেই ইতিহাসের অক্ষয় কালিতে নিজেদের নাম তুলে নেবে।

কাজটা মোটেও কঠিন নয়। প্রথম ম্যাচে তারা যে পেশাদারিত্ব দেখিয়েছে, দুর্দান্ত পারফর্ম করে চমকে দিয়েছে বাংলাদেশকে সেই একই ছন্দ, ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে এই ম্যাচও না জেতার কারণ নেই।

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান-বোলাররা রয়েছে অফফর্মে। যুক্তরাষ্ট্র এই সুযোগটি নিতে পারলে ম্যাচের ফল তাদের পক্ষেই যাবে।

দ্বিতীয় ম্যাচে প্রায় একই রকম উইকেট থাকবে। কন্ডিশনও পাল্টানোর মতো নয়। এই ম্যাচে কি বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? নাকি তৃতীয় ম্যাচের আগেই সিরিজ হারাবে?

বাংলাদেশ একাদশ:
নাজুমল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব।

যুক্তরাষ্ট্র একাদশ:
মোনাক পাটেল, অ্যারন জোন্স, অ্যান্ড্রিস গিউস, কোরি অ্যান্ডারসন, মোহাম্মদ আলী খান, হারমীত সিং, জাসদ্বীপ সিং, নিতিশ কুমার, নসতুশ কেনজিগে, সৌরভ নেটরাভালকার ও স্টিভেন টেইলর।

ইয়াসিন/আমিনুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়