ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

প্রথমবার ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিতলেন এমবাপ্পে

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৯, ২৬ মে ২০২৫   আপডেট: ১৮:২২, ২৬ মে ২০২৫
প্রথমবার ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিতলেন এমবাপ্পে

গোলসংখ্যায় পিছিয়ে থাকলেও, কিলিয়ান এমবাপ্পে জানেন কোথায় দাঁড়িয়ে মারতে হয়! ইউরোপের সব প্রতিভা আর পরিশ্রমী গোলদাতাদের পেছনে ফেলে কৌশলী ক্যালকুলেশনের খেলা জিতে তিনি হাতে তুলে নিলেন মর্যাদাপূর্ণ ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু’র ট্রফি। যেটা ইউরোপের সেরা লিগে সবচেয়ে কার্যকর ফরোয়ার্ডদের জন্য বরাদ্দ থাকে।

রিয়াল মাদ্রিদে এটি ছিল তার প্রথম মৌসুম। নতুন দেশের মাটিতে মানিয়ে নিতে অনেকেই সময় নেন, কিন্তু এমবাপ্পে যেন রিয়ালের জার্সিতেই নতুন করে জন্ম নিয়েছেন। লা লিগার শেষ ম্যাচে রিয়াল সোসিয়েদাদের জালে জোড়া গোল করে মৌসুমের গোলসংখ্যা ৩১-এ নিয়ে যান।

আরো পড়ুন:

তবে কাহিনির মোড় ঘোরে এখান থেকেই। স্পোর্তিং সিপির সুইডিশ স্ট্রাইকার ভিক্টর গিয়াকোরেস গোল করেছিলেন ৩৯টি। অথচ তিনি দ্বিতীয়! এমবাপ্পের চেয়ে ৮টি গোল বেশি, তবুও শীর্ষে ফরাসি তারকা। এর রহস্য লুকিয়ে ইউরোপের গোল্ডেন শু পয়েন্টিং সিস্টেমে।

এটি শুধু গোলের সংখ্যা দেখেই বিজয়ী নির্বাচন করে না, লিগের মান অনুযায়ী প্রতি গোলের জন্য পয়েন্ট বরাদ্দ করা হয়। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে (যেমন লা লিগা, প্রিমিয়ার লিগ) প্রতি গোলের পেছনে ২ পয়েন্ট। আর তুলনামূলক দুর্বল লিগে (যেমন পর্তুগাল, বেলজিয়াম) প্রতি গোলের পেছনে ১.৫ পয়েন্ট। তাই গিয়াকোরেসের ৩৯ গোল থেকেও এমবাপ্পের ৩১ গোল বেশি মূল্যবান!

তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিলেন লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ। ২৯ গোল করা এই মিসরীয় তারকা শেষ ম্যাচে হ্যাটট্রিক করতে পারলেই এমবাপ্পের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে পারতেন এই গৌরব। কিন্তু ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে গোল পান মাত্র একটিই।

এমবাপ্পে এর মধ্য দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জেতার কীর্তি গড়লেন। এর আগে এই গৌরব অর্জন করেছিলেন কিংবদন্তি হুগো সানচেজ (১৯৮৯-৯০) ও গোল-মেশিন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ২০১০-১১, ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ মৌসুমে।

একজনের গোল, আরেকজনের বুদ্ধি; গোল্ডেন শু যেন এবার হেরে গেল সংখ্যার কাছে, জিতে গেল কৌশল আর লিগের শক্তির অদৃশ্য সমীকরণ!

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়