ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

যেখানে হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায় মেঘ

আদিত্য রায় রিপন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৭, ৫ অক্টোবর ২০২১   আপডেট: ১২:০৫, ৫ অক্টোবর ২০২১
যেখানে হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায় মেঘ

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল তথা সিলেট বিভাগ। সিলেটের রূপ-সৌন্দর্য সর্বজনবিদিত। পাহাড়-পর্বত, নদী-লেক, হাওর-বাওড়, শহর-গ্রাম সবমিলিয়ে বাংলার অপরূপ সৌন্দর্যের রাজধানী বলা হয়ে থাকে এই সিলেট অঞ্চলকে।

এ অঞ্চলের অন্যতম দর্শনীয় স্থান সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠাপানির হাওর এটি। এই হাওরের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। হাজারো পাখি, সারি সারি হিজল, করছসহ বিভিন্ন জাতের গাছপালা অর্ধ নিমজ্জিত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে হাওরের বুকে। পানির নিচে ডুবন্ত বিভিন্ন প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ, লতা, গুল্ম এবং মাছের তীব্রগতিতে চলা অনায়াসে দেখা যায় এই হাওরে। হিজল, করছ, বল্লা, ছালিয়া, নলখাগড়াসহ নানা প্রজাতির বনজ ও জলজ প্রাণি এ হাওরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। পাশেই দাঁড়িয়ে উঁকি দিচ্ছে ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়। পাহাড় তো নয় যেন ধ্যানমগ্ন ঋষি। সেই পাহাড় থেকে শুভ্র মেঘের সাথে পাখিদের ভেসে আসা হৃদয় কেড়ে নেয় পর্যটকদের।

প্রতিদিনই দেশ-বিদেশের ভ্রমণ পিপাসুরা পাড়ি জমান এই হাওরে। ভেসে বেড়ান হাওরের নীল জলরাশির বুকে। পাখির কলকাকলিতে মুগ্ধ হয়ে পর্যটকরা এক আত্মতৃপ্তি অনুভব করেন। দেশের এই প্রান্তিক জনপদে ভ্রমণপিপাসুরা অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আবহে হারিয়ে যান। তাই সৌন্দর্য পিপাসু পর্যটক ও দর্শনার্থীরা টাঙ্গুয়ার হাওরে এসে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে হারিয়ে অনাবিল আনন্দ উপভোগ করেন। টাঙ্গুয়ার হাওরের রূপের বিবরণ লিখে শেষ করার মতো নয়। বর্ষা ও শীত এই দুই মৌসুমে দুই রকমের সৌন্দর্যে অপরূপ হয়ে ওঠে এই হাওর। তবে এই হাওর তার আসল সৌন্দর্যে সাজে বর্ষাকালে।

আমার দীর্ঘ দিনের ইচ্ছা ছিল হাওর ভ্রমণের। তবে তা কোনোভাবেই হয়ে উঠছিল না। এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কল্যাণে তা পূরণ হয়ে গেলো। তবে এই ট্যুর ছিল রাবিসাসের দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষিত একটি ট্যুর। রাবিসাসে যেদিন প্রথম আসি সেদিন থেকেই শুনে আসছি রাবিসাস থেকে ট্যুরে যাওয়া হবে। বেশ কয়েকবার প্ল্যানও করা হয়েছিল কিন্তু সম্ভব হয়নি।

হঠাৎ করেই গত ২৭ আগস্ট সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান ভাই গ্রুপে জানিয়ে দিলেন রাবিসাস মেম্বারদের জন্য সুখবর আসছে! তার একটু পরেই সভাপতি শাহীন আলম ভাই এক দীর্ঘ মেসেজের মাধ্যমে সবাইকে জানিয়ে দিলেন ক্যাম্পাস খোলার আগেই আমরা রাবিসাস থেকে ট্যুরে যাচ্ছি। সিদ্ধান্ত হলো আমরা ঘুরে আসব কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর, অষ্টগ্রাম ও মিঠাইন সড়ক। আর সম্ভাব্য তারিখ ফিক্সড করা হলো ১০ সেপ্টেম্বর। স্পটটা ব্যক্তিগতভাবে আমার পছন্দ হয়নি। কিন্তু কি আর করার, ট্যুরে যাওযার সব প্রস্তুতি সেড়ে ফেললাম। এমন সময় গত ৬ সেপ্টেম্বর শাহীন ভাই আবার ঘোষণা দিলেন আমাদের ট্যুরের স্পট পরিবর্তন করে টাঙ্গুয়ার হাওর করা হয়েছে। মেসেজটা দেখেই একটা আত্মতৃপ্তি অনুভব করলাম। টাঙ্গুয়ার হাওরের পাশাপাশি আমরা ঘুরে আসব যাদুকাটা নদী, নীলাদ্রি লেক আর বারিক্কা টিলা। স্পটের সাথে সম্ভাব্য তারিখও একদিন এগিয়ে ৯ সেপ্টেম্বর করা হলো।

৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে বাসে করে রওনা দিলাম আমরা। গন্তব্য নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলা। বাস ছুটে চলল গন্তব্যের দিকে। বাস ছুটছে আর রাত গভীর হচ্ছে। শহরের নিয়ন বাতির আলো দূরে ঠেলে বাস ঢুকে যাচ্ছে অন্ধকারে। এক শহর পেরিয়ে আরেক শহরে যায় বাস। এভাবেই আমরা ভোরের দিকে পৌঁছলাম নেত্রকোণায়। তখন সবাই ঘুমে বিভোর। এরপর শুরু হলো সেই মহাকাব্যিক রাস্তার গল্প। প্রায় ২০ কিলোমিটারের মতো আধাপাঁকা রাস্তা। রাস্তার মাঝে অসংখ্য খানা-খন্দ। বাস একবার বামে হেলে যাচ্ছে তো আরেকবার ডানে। বাসের এই ঝাঁকুনিতেই সবার ঘুম ভেঙে গেলো। সবাই বলতে লাগলেন আহা একি রাস্তা! এ যেন সড়ক পথে বিমানের ছোঁয়া!

অবশেষে সকাল ৮টার দিকে আমরা গিয়ে পৌঁছলাম কলমাকান্দায়। সেখানে একটি কলেজে সকালের নাস্তা করেই আমরা বেরিয়ে পড়লাম। কলমাকান্দা ট্রলার ঘাটে আগে থেকেই ট্রলার আমাদের অপেক্ষা করছিল। আমরা সবাই উঠে পরলাম। মাঝি ট্রলার ছেড়ে দিল। নির্মল বিস্তীর্ণ জলরাশির মধ্যে ট্রলার ছুটে চলেছে টাঙ্গুয়ার হাওরের দিকে।
 
মাথার উপরে উত্তপ্ত সূর্য, সাথে হাওরের সুবিমল বাতাস। এক অন্যরকম অনুভূতি। একদিকে ছুটছে ট্রলার, অন্যদিকে সবার ছবি তোলার হিড়িক। কমবেশি সবাই সংবাদমাধ্যমে কাজ করেন, তাই কমবেশি সবাই ভালো ছবি তুলতে পারেন। যদিও আমাদের কাছে কোন ডিএসএলআর ক্যামেরা ছিল না। এমন বিস্তীর্ণ জলাভূমি আর সুবিশাল আকাশ পেয়ে চলছিল ফটোগ্রাফি। আনুমানিক ঘণ্টা দুয়েক চলার পর দুপুরের দিকে পৌঁছলাম ওয়াচ টাওয়ারের কাছে। টাওয়ারের তিন দিকজুড়ে অসংখ্য হিজল আর করচ গাছ। যা পানিতে অর্ধডুবন্ত ছিল। হাওরের এ অংশের পানি সবসময় পরিষ্কার থাকে।

ট্রলার থামামাত্রই কয়েকটি ছোট ছোট নৌকা ছুটে এলো। তাদের চালকও সবাই ছোট ছোট। তারা কেউবা চা-বিস্কুট বিক্রি করে আবার কেউবা ভাড়া দেয় লাইফ জ্যাকেট। আমরাও কয়েকটি লাইফ জ্যাকেট ভাড়া নিয়ে সবাই নেমে পড়লাম হাওরের পানিত। সে কি উচ্ছ্বাস! সে কি আনন্দ! বিশেষ করে যে কয়েকজন সাঁতার জানে না। তারাও সেদিন লাইফ জ্যাকেট পরে নেমেছিল হাওরের স্বচ্ছ পানিতে। এদিকে ট্রলারের উপরেই চলছে দুপুরের খাবার রান্নার কাজ। সবাই মিলে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ঝাঁপাঝাঁপি আর সাঁতার কাটার পর সেখানেই দুপুরে খেয়ে নিলাম। সেখান থেকে ছুটলাম টেকেরঘাটের দিকে। সেখানে মূলত পরিত্যক্ত কয়লার খনি, তার পাশেই শহীদ সিরাজ লেক বা নীলাদ্রি লেক। আর লেকের গা ঘেষে দাঁড়িয়ে আছে মেঘালয়ের সুদীর্ঘ পাহাড়। টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণের সুবিধা হচ্ছে, চাইলে একসাথে নীলাদ্রি লেক, শিমুল বাগান, বারিক্কা টিলা এবং যাদুকাটা নদী ঘুরে আসা যায়।

টেকেরঘাটের দিকে ছুটছে ট্রলার। চোখের সামনে বিস্তীর্ণ হাওর। একদম শেষপ্রান্তে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বিশাল পাহাড়। দেখে মাঝেমাঝে আফসোস হচ্ছিল, ইশ! যদি এগুলো বাংলাদেশ সীমান্তে হতো।

হাওরের পানি ছিল একদম স্বচ্ছ। তাই আকাশের সাথে তাল মিলিয়ে হয়ে উঠেছিল একদম নীল। হাওরের মাঝখানে দ্বীপের মতো ছোট ছোট বাড়ি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। স্বচ্ছ পানির সাথে ট্রলার দোল খেতে খেতে পৌঁছে গেলাম টেকেরঘাটে। একটু সামনেই মেঘালয়ের উঁচু উঁচু পাহাড়-মেঘ, মনে হয় যেন হাত বাড়ালেই ধরা যাবে। কিন্তু ওগুলোতে যাওয়া যাবে না। কারণ সীমান্তের কাঁটাতার বিভক্ত করে দিয়েছে দুই দেশের মানুষের প্রবেশাধিকার।

টেকেরঘাটে ট্রলার থেকে নামতেই কি এক বিপদ! তৃতীয় লিঙ্গের কয়েকজন এসে বলতে লাগল টাকা ছাড়া নামতে দেবে না। তখন আমরা সবাই শাহীন ভাইকে আমাদের সর্দার পরিচয় দিয়ে নেমে পড়লাম। বাকিটা ইতিহাস! টেকেরঘাটে যখন নামলাম ততক্ষণে বিকাল হয়ে গেছে। শাহীন ভাই নীলাদ্রি লেক ঘুরে আসার সময় বেধে দিল মাত্র আধাঘণ্টা। এত সুন্দর একটা লেক আর পাশেই বিস্তীর্ণ পাহাড় কি আর এত অল্প সময়ের মধ্যে ঘুরে দেখা যায়? আবার ছবি তোলার তো একটা ব্যাপার আছেই। তবুও কিছুক্ষণ যখন ট্রলারের কাছে এসে শুনি আজ আর কোথাও যাওয়া হচ্ছে না। এখানেই আমাদের রাত কাটাতে হবে। খবরটা শুনে কি যে আনন্দ পেলাম তা আর বলে বোঝানো যাবে না। কারণ আমার মন মেঘালয়ের সেই পাহাড়ের প্রেমে পড়ে গেছে।

আমরা ফের ছুটে চললাম ছোট ছোট টিলার উপরে। আমাদের অনেকেই আবার পাহাড়েও উঠল। কিন্তু পাহাড়ে উঠতে আমার বড্ড ভয় করে তাই আমরা বেশ কয়েকজন টিলার উপর বসে থেকেই পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলাম। আস্তে আস্তে সূর্য পশ্চিম দিগন্তে রক্তিম হয়ে উঠল। আর সেই সাথে জ্বলে উঠল ভারতীয় সীমান্তের লাল লাইটগুলো। সময় বাড়ার সাথে সাথে লাইটগুলোর আলো আরও বাড়তে লাগল। নীলাদ্রি লেকের পানিতে পাহাড়ের উপরের সেই লাইটগুলো প্রতিচ্ছবি হৃদয়কে বিমোহিত করল। অনেক্ষণ ধরে দেখলাম লেকের পানিতে আলোর খেলা। চিন্তা করলাম আজ রাতটা টিলার ওপরই কাটাব। ঠিক এমন সময় দুজন আনসার সদস্য এসে বলল, ‘ভাই এখন আপনারা ট্রলারে ফিরে যান। সন্ধ্যার পর এখানে অবস্থান করা নিষেধ।’ কি আর করার, ফিরে এলাম ট্রলারে।

যখন পুরোপুরি রাত হয়ে গেলো; তখন আমরা চলে গেলাম পাশের একটা ছোট্ট বাজারে। উদ্দেশ্য মোবাইলে চার্জ করা। ততক্ষণে সবারই ফোনে চার্জ শূন্য হয়ে গেছে। মোবাইল চার্জে দিয়ে রাস্তার ধারে বসে বিজয় ভাই, রনি ভাই, রাজ দাসহ বেশ কয়েকজন মিলে গান গেয়ে একটা সুন্দর সময় পার করলাম। মোবাইল চার্জ করে রাতের খাওয়া করে সবাই দ্রুত যে যার মতো শুয়ে পড়লাম ট্রলারের ওপর। যদিও সাইফুর, লোটাস, আকাশ, নিলয়সহ বেশ কয়েজনের জায়গা হচ্ছিল না। তবুও কষ্ট করে সবাই ঘুমিয়ে পড়লাম। ততক্ষণে মাঝি ঘাট থেকে কিছুটা দূরে ট্রলারের নোঙর করেছে।

সবাই তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। হঠাৎ প্রচণ্ড বাতাস উঠেছে। মনে হচ্ছিল ঝড় উঠবে। মাঝি খুব দ্রুত ট্রলার ঘাটে ফেরানো চেষ্টা করছেন কিন্তু বাতাসের বেগ বেশি থাকায় মাঝিকেও বেশ বেগ পেতে হয়। বাতাস একটু কমলে ফের সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন সেই কাকডাকা ভোরে মাঝি ট্রলার ছেড়ে দিলেন বারিক্কা টিলার উদ্দেশ্যে। পূব আকাশে তখন ছোট ছোট মেঘের ছড়া। আমিও সেই মেঘের দিকে তাকিয়ে আছি সূর্যোদয় দেখবো বলে।

পূর্ব দিগন্তের অবাক সূর্যোদয় দেখতে দেখতে ট্রলার চলছে যাদুকাটা নদী দিয়ে বারিক্কা টিলার দিকে। নদীতে বড় বড় ট্রলার, ছোট ছোট অসংখ্য নৌকা দেখে মনে হচ্ছিল কোনো নৌ বন্দরে আছি। ট্রলার এগিয়ে চলেছে। আবার মেঘালয়ের সেই উঁচু উঁচু পাহাড়গুলো যেন হাতে মুঠোয় চলে এলো। আমাদের ট্রলার যখন বারিক্কা টিলার ঘাটের দিকে যাচ্ছিল তখনি বিজিবির একটি নৌকা এসে মাঝিকে কি একটা ইঙ্গিত করলে মাঝি দ্রুত বেগে ট্রলার ঘুড়িয়ে নিয়ে গেলো শিমুল বাগানের দিকে। আর বলল যে বারিক্কা টিলায় যাওয়া যাবে না। এত কষ্ট করে এসে আমরা একটা স্পট মিস করবো কথাটি ভেবে খুব খারাপ লাগল। সবার মুখখানি তৎক্ষণাৎ মলিন হয়ে গেলো। বিশেষ করে শাহীন ভাইয়ের খুব আফসোস হচ্ছিল। কিন্তু কিছুই করার নেই।

আফসোস নিয়েই সবাই মিলে দেখতে গেলাম শিমুল বাগান। বাগান ঘুরে এসে সবাই নেমে পড়লাম যাদুকাটা নদীতে। যাদুকাটার হিমশীতল পানিতে ডুব দেওয়ার সাথে সাথেই শরীরের লোম দাঁড়িয়ে গেলো। পানিতে সবাই অনেক মজা করলাম, কিন্তু বেশিক্ষণ থাকতে পারলাম না।

সেখানে সকালের নাস্তা করে আমরা রওনা হলাম রাজশাহীর উদ্দেশ্যে। ট্রলার এগিয়ে চলেছে আর আমরা সবাই তখন তাকিয়ে আছি অপার্থিব সৌন্দর্যের পাহাড়গুলোর দিকে। আর মনে মনে ভাবছি কত বিচিত্র এ ধরা! এসব ভাবতে ভাবতে নিজের অজান্তেই চোখের কোণে একবিন্দু অশ্রু এসে জমা হলো। কিছুই ভালো লাগছিল না তখন। একা একা বসে আছি। তখন খোরশেদ এসে বলল, ‘কী হয়েছে বন্ধু? মনমরা হয়ে বসে আছিস কেন?’ আমি শুধু বললাম, ‘কিছু না’।


লেখক: শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

/মাহি/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়