ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘চারুকুটির’ হবে অনেকের কর্মসংস্থান: মেঘলা 

সাজেদুর আবেদীন শান্ত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০২, ২২ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৪:১৩, ২২ নভেম্বর ২০২০
‘চারুকুটির’ হবে অনেকের কর্মসংস্থান: মেঘলা 

মেঘলা ভৌমিক, থাকেন ধানমন্ডির জিগাতলায়। বর্তমানে তিনি এমবিএ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পাশাপাশি একটা আইটি কোম্পানিতে বিজনেস অ্যানালিস্ট হিসেবে চাকরি করছেন। বাবা-মা ও দুই বোন নিয়ে মেঘলার পরিবার।

ছোটবেলা থেকেই আঁকাআঁকির প্রতি প্রবল ঝোঁক ছিল মেঘলার। তিনি সেই সময়ে দুই বছর একটা স্কুলে ড্রইং শিখেছিলেন। তারপর থেকেই নিজের ইচ্ছায় ছবি আঁকা অব্যাহত রাখেন তিনি। রঙ-তুলির সঙ্গে একটা অন্যরকম গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে মেঘলার। কারণ তার কাছে রঙিন সব কিছুই অনেক ভালো লাগে। তাই নিজের ঘর থেকে শুরু করে আসবাবপত্র সবকিছুই অনেক রঙ্গিন রাখতে চান তিনি।

মেঘলা ১০ বছর ধরে ছবি আঁকছেন। ২০১৬ সাল থেকে তার আঁকা ছবিগুলো অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি শুরু করেন। এছাড়াও মেঘলার কিছু নির্দিষ্ট কাস্টমার আছেন, যারা তার কাছ থেকে নিয়মিত আঁকা ছবিগুলো কিনে নেন।

মেঘলা বলেন, ‘করোনা মহামারিতে চাকরি নিয়ে একটু আতঙ্কে ছিলাম। যেকোনো কারণে যদি চাকরি চলে যায়, তখন আমি কী করব। কখনো হ্যান্ড পেইন্টিং নিয়ে কাজ শুরু করব এটা ভাবিনি। এইটার ভাবনা মূলত করোনার এই লকডাউনে মাথায় আসে। তখন মনে হলো, এটাকে আমি এখন আমার কাজে লাগাতে পারি। এসব কিছুর পেছনে আমার বড় বোনের অনুপ্রেরণা অনেক বেশি। বড় বোন আমাকে অনেক উৎসাহ দিয়েছেন ও এখনো দিচ্ছেন।’

ফেসবুক ভিত্তিক ই-কমার্স গ্রুপ (উই)-তে মেঘলা যুক্ত হন তার ভার্সিটির এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে। তিনি মূলত তাকে যুক্ত করেন উই গ্রুপে।

মেঘলা আরও বলেন, ‘প্রথমে আমি ১৫ হাজার টাকা দিয়ে, কাপড় কিনে তাতে হ্যান্ড পেইন্ট করে বিক্রি শুরু করি। বর্তমানে আমার হ্যান্ড পেইন্ট পণ্য বিক্রি হয় মোট এক লাখ ছিয়াত্তর হাজার একশ নব্বই টাকা। ভালো সাড়া পাচ্ছি, তাই চালিয়ে যাচ্ছি।’

ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এটাকে অনেক দূর নিয়ে যাওয়া ও চারুকুটির নামে একটা শো-রুম দেওয়া। আমি চাই আমার পণ্য যেন দেশে-বিদেশে সুনাম অর্জন করে। মানুষ যেন ভবিষ্যতে এখান থেকে এসে নিজে দেখে ঘুরে জিনিস কিনে নিয়ে যেতে পারেন। এছাড়াও চারুকুটিরের মাধ্যমে যেন আরো ১০ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।’

লেখক: শিক্ষার্থী, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ। 

ঢাকা/মাহি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়