ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

রাজবাড়ীতে ‘বীর নিবাস’ পাচ্ছেন ৬৪ বীর মুক্তিযোদ্ধা 

রাজবাড়ী সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩২, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২  
রাজবাড়ীতে ‘বীর নিবাস’ পাচ্ছেন ৬৪ বীর মুক্তিযোদ্ধা 

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্মিত একটি বীর নিবাস।

রাজবাড়ীতে ৬৪ বীর মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন ‘বীর নিবাস।’ আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এসব বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণকৃত  বাড়িগুলো ডিসেম্বরর মাসে যে কোনো দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি হস্তান্তর করবেন বলে প্রকল্প পরিচালক স্বাক্ষরিত এক পত্রে জানানো হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধায়নে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় বীর নিবাসগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে।

ফরিদপুর অঞ্চলের ঢাকা বিভাগীয় উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জসিম মোল্লা বলেন, ‘রাজবাড়ীর পাঁচ উপজেলার ৬৪টি বাড়ি নির্মাণকাজ শেষ। প্রথম পর্যায় পাংশা উপজেলায় ১০টি, বালিয়াকান্দি উপজেলায় ৩০টি, রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ৭টি, গোয়ালন্দ উপজেলায় ১০টি ও কালুখালি উপজেলায় ৭টি বাড়ি নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।’

তিনি আরোও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে একেকটি পাকা বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে জেলার ৬৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সরকারি এসব বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। ২২ ফুট প্রস্থ আর ২৫ ফুট দৈর্ঘ্যের এই বাড়িগুলোতে দুটি বেডরুম, একটি ড্রইং রুম, একটি ডাইনিং রুম, একটি কিচেন রুম ও দুটি বাথরুমসহ থাকছে সুপেয় পানির ব্যবস্থা।’

বাড়িগুলো নির্মণ কাজের ঠিকাদাররা জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এসব বাড়ি নির্মাণ করতে গিয়ে তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। তবু জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তারা বাড়িগুলোর নির্মাণকাজ শেষ করছেন।

গোয়ালন্দ উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আ. সামাদ মোল্লা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই সারা দেশে এতদিন ধরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অবহেলিত মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়িত করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধে বেশিরভাগ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। সরকার যে বাড়িগুলো দিচ্ছে তা অবশ্যই ভালো কাজ। এতে করে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবেন এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন।’

গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ মন্ডল বলেন, ‘উপজেলায় ১০টি বীর নিবাসের কাজ শেষ হয়েছে। ডিজাইন মোতাবেক জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নিদের্শনায় অত্যস্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের এই বীর নিবাসগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ে বাড়ির নির্মাণকাজ শেষ। এখন বাড়িগুলো উদ্বোধনের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে।’

সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসএম মনোয়ার মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে সরকার সারা দেশে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। জেলায় বীর নিবাসের কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাদের নির্দেশনায় স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে।’

শামীম/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়