শীতে মুখরোচক খাবার গ্রিল চিকেন
মো. মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ || রাইজিংবিডি.কম
গ্রিল চিকেন ভালোবাসেন না এমন মানুষ এখন খুঁজে পাওয়ায় দায়। তাই অন্য সময়তো বটেই, এ শীতেও জুড়ি নেই সুস্বাদু গ্রিল চিকেনের। ছোট-বড় সবার মুখরোচক খাবার এটি।
বিকেল হলেই হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহরের স্টেশন রোডের বাতাসে ভেসে বেড়ায় মুরগির কাবাবের সুবাস। কাঁচঘেরা উনুনে গ্রিল চিকেনগুলো রসনাতৃপ্তির জন্য আগুনের ওপর সমানতালে ঘুরে চলেছে।
কাবাব হতে থাকা মুরগিগুলো দেখলে লোভ সামলানো দায়। আদিকাল থেকে বাঙালির খাবার প্রীতি একটু বেশিই। বলা চলে, খাবারের ব্যাপারে অনেকটা সৌখিনও।
নিত্য-নতুন স্বাদ আর পদের অনেক খাবারকেও ভিন্নমাত্রা দিয়ে নিজেদের সংস্কৃতির সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেসব খাবারের নাম তাই বলেও শেষ করা যাবে না। তবে শীতে খাবারের তালিকায় এখন শীর্ষে রয়েছে ‘গ্রিল চিকেন’। লোকজন স্টেশন রোডের ধান সিঁড়ি রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাবারের তালিকা থেকে প্রথমে অর্ডার করেন সুস্বাদু মুখরোচক এই খাবারটি। গ্রিল চিকেন এক সময় মধ্যপ্রাচ্যে বেশি প্রচলিত ছিল। কয়েক বছর থেকে দেশীয় খাবারের তালিকায় চলে এসেছে এটি।
প্রসেস করা আস্ত মুরগি বিশেষ মেশিনের মাধ্যমে অধিক সময় ধরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঝলসানো হয়। গ্রিল চিকেন তৈরি করার পুরো প্রক্রিয়া চলে ক্রেতাদের চোখের সামনে। মূলত খাবারের প্রতি ক্রেতাদের আকর্ষণ তৈরি করায়ই এর লক্ষ্য। এ ছাড়া এই প্রক্রিয়ায় খাবারটি নিয়ে ক্রেতাদের মনেও সন্দেহ বা আশঙ্কা কম থাকে। তাই শীতে অন্য আইটেমের চেয়ে গ্রিল চিকেন বেশি চলে। ফুল, হাফ বা কোয়াটার গ্রিল পরিমাপে এটি বিক্রি হয়। গরুর মাংসের প্রতি স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের ঝোঁক কমায় বেড়েছে মুরগির মাংসের এই খাবারের কদর।
কিনতে আসা রুবেল মিয়া নামের এক ক্রেতা বলেন, প্রচণ্ড শীত। এ শীতে স্বাদের ভিন্নতা দিতে এই গ্রিল চিকেন কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বাড়ির সদস্যদের পছন্দের খাবার এটি।
ধানসিঁড়ি রেস্তোরাঁর স্বত্বাধিকারী জুবায়ের আহমেদ বলেন, এই খাবারটি বড় থেকে ছোট প্রায় সব বয়সীদের পছন্দের। ফুল গ্রিল চিকেনের দাম রাখা হচ্ছে ৩৪০ টাকা। হাফ ১৭০ টাকা। আর কোয়াটার চিকেন বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। সঙ্গে বিশেষ ধরনের সস দেওয়া হচ্ছে। শীতে প্রিয় হয়ে উঠেছে এ খাবারটি।
/বকুল/