আফ্রিকান মাগুরের পোনা উৎপাদন করায় এক বছরের সাজা
নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম
যশোরে আফ্রিকান মাগুর মাছের পোনা সংরক্ষণের অপরাধে মফিজুর রহমান নামে এক মাছের পোনা উৎপাদন ও বিক্রয়কারীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা ও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় প্রায় দুই মণ আফ্রিকান মাগুর মাছের পোনা জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) শহরের চাচড়া পূর্বপাড়া এলাকায় র্যাব ৬ যশোর ও উপজেলা মৎস্য অফিসারের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনুপ দাস।
তিনি বলেন, ২০১৪ সাল থেকে আফ্রিকান মাগুরের আমদানি, উৎপাদন, বিপণনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কারণ, এই মাছ চাষের ফলে দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। কোনো ভাবে যদি পুকুর বা অবরুদ্ধ জলাশয় থেকে এই মাছ নদীতে বা মুক্ত জলাশয়ে চলে আসে তাহলে বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের জন্য মহা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
তিনি জানান, পোনা উৎপাদন ও বিক্রয়কারী মফিজুর রহমানের হ্যাচারিতে এই আফ্রিকান মাগুর মাছের পোনা সংরক্ষণ করা হচ্ছিলো। এই অপরাধে তাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা ও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অভিযানের বিষয়ে র্যাব ৬ যশোরের কোম্পানি কমান্ডার এম নাজিউর রহমান জানান, শহরের চাচড়া এলাকায় মফিজুর রহমান বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা উৎপাদনের আড়ালে আফ্রিকান মাগুর মাছের পোনা উৎপাদন করছিলেন। ভ্রামাম্যণ আদালতের মাধ্যমে তার হ্যাচারি থেকে উদ্ধারকৃত প্রায় দুইমণ আফ্রিকান মাগুর মাছের পোনা ধ্বংস করা হয়েছে। মফিজুর রহমানকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সদর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা সাইদুর রহমান রেজা জানান, ছোট আকারের আফ্রিকান মাগুর মাছ, দেশি মাগুর মাছের মতো দেখতে হওয়ায় অনেক অসাধু ব্যবসায়ী এর পোনা উৎপাদন ও বিক্রয় করা আসছে। দামে কম হওয়ায় সেইসঙ্গে অন্য মাছের নামে বিক্রি করায় প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। মূলত এই মাছ খেলে কোন স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই তবে পরিবেশগত ঝুঁকি রয়েছে অনেক।
রিটন/টিপু