ঢাকা     সোমবার   ১৭ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ৩ ১৪৩১

বান্দরবানে অভিযান

গুলিবিদ্ধ দুই লাশের পরিচয় মিলেছে, এই নিয়ে কেএনএফ’র নিহত ৯ 

বান্দরবান প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৫, ২৪ মে ২০২৪   আপডেট: ১০:০২, ২৪ মে ২০২৪
গুলিবিদ্ধ দুই লাশের পরিচয় মিলেছে, এই নিয়ে কেএনএফ’র নিহত ৯ 

বান্দরবান সদর উপজেলা সুয়ালক ইউনিয়নের শ্যারন পাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা গুলিবিদ্ধ এক কিশোরসহ দুই লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের নাম থাং পুই বম (১৫) ও লাল নু বম (২২)। পুলিশ বলছে, দুইজনই কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্য। 

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকাল সাড়ে ৫টায় বান্দরবান সদর থানার পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

শ্যারন পাড়ার কারবারি (পাড়া প্রধান) ত্লোয়াং থন বম নিহতদের নাম ঠিকানা জানিয়েছেন, নিহতরা হলেন শ্যারন পাড়ার পেন খুপ বমের ছেলে লাল নু বম ও বেথানী পাড়ার জার থাং বমের ছেলে থাং পুই বম। থাং পুই বম পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। 

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বান্দরবান সদর ফারুক পাড়া, গেৎশীমানি পাড়া ও শ্যারন পাড়ার আশেপাশে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের আনাগোনা দেখা গেছে। পরে গুলির শব্দ শোনা যায়। বিকালে শ্যারন পাড়া এলাকা থেকে দুইজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ।  

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক জুয়েল ত্রিপুরা বলেন, সদর থানা পুলিশ দুটি লাশ মর্গে নিয়ে এসেছে। লাশ দুটির ময়নাতদন্ত করা হবে। 

বান্দরবান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোছাইন মো. রায়হান কাজেমী জানান, শ্যারন পাড়া এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত দু’জন কেএনএফ সদস্যের লাশ উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবারের কাছে মরদেহ দু’টি হস্তান্তর করা হবে। 

এর আগে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৯ মে রুমা-রোয়াংছড়ি সীমান্তবর্তী ডেবাছড়া এলাকায় ৩ জন, ৭ মে রুমা উপজেলার দুর্গম দার্জিলিং পাড়ায় একজন, ২৮ এপ্রিল রুমা উপজেলার রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নে ২ জন, ২২ এপ্রিল রুমা উপজেলার দুর্গম মুনলাই পাড়ায় একজন কেএনএফ সশস্ত্র সদস্য মারা যায়। ঘটনাস্থল থেকে কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত অস্ত্র-গোলাবারুদ ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২ ও ৩ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় কেএনএফ সদস্যরা ব্যাংক ডাকাতি করে। একই সঙ্গে ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র, ৪১৫টি গুলি লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর অস্ত্র উদ্ধার ও কেএনএফ সদস্যদের গ্রেপ্তারে সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানে এ পর্যন্ত ৯ জন কেএনএফ সদস্য নিহত ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২৫ জন নারীসহ ৮৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

চাই মং/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়