ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

১০ লাখে মিলবে ২০ মণের ‘বাঘা’

শরীয়তপুর প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৬, ১২ জুন ২০২৪  
১০ লাখে মিলবে ২০ মণের ‘বাঘা’

অচেনা মানুষ দেখলেই হয়ে উঠে ক্ষিপ্ত। করে বাঘের গোঙানির মতো আওয়াজ। তাইতো বাঘের সঙ্গে মিলিয়ে নাম রাখা হয়েছে ‘বাঘা’। তবে মালিকের সামনে ভীষণ শান্ত। গত দেড়বছর ধরে নিজের সন্তানের মতো পরম যত্ন আর ভালবাসায় ‘বাঘা’ নামের এই ষাঁড়টিকে কোরবানিতে বিক্রির উপযোগী করে তুলেছেন শরীয়তপুরের বিলকিস ও ফারুক দম্পতি। ২০ মনের এই বাঘার দাম হাঁকানো হচ্ছে ১০ লাখ টাকা।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শরীয়তপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ধানুকা এলাকার গাছকাটার শ্রমিক ফারুক ঢালীর বাড়িতে বাঘা নামের এই ষাঁড়টি লালনপালন করা হচ্ছে। তার স্ত্রী বিলকিস বেগম দেড় বছর আগে ননদ আসমা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে এই ষাঁড়টিকে দেখতে পায়। তখন এর বয়স ছিলো মাত্র দেড় বছর। ষাঁড়টি তার মনে ধরায় লালনপালন করার কথা জানায় স্বামী ফারুক ঢালীকে। পরে ফারুক ঢালী দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে  ষাঁড়টিকে কিনে বাড়ি নিয়ে আসেন। এরপর পরিবারের সবাই মিলে পরম যত্ন আর ভালবাসা দিয়ে ষাঁড়টিকে বড় করা শুরু করেন। আকার আকৃতি ও স্বভাব বিবেচনায় এর নাম ঠিক করা হয় ‘বাঘা’। গরুটির খাবারের মেনুতে প্রতিদিন রাখা হয়েছে ৫ কেজি গমের ভুসি, ১ বোঝা কাচা ঘাস, ৭ কেজি খড় ও ৪ হালি দেশী কলা। সম্পূর্ণ মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি ছাড়াই বর্তমানে বাঘার উচ্চতা ৭ ফুট। এছাড়াও লম্বায় কমপক্ষে ৮ ফুট ও ওজন অন্তত ২০ মন। বিশালদেহী এই বাঘাকে দেখতে প্রতিনিয়ত ফারুক ঢালীর বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন আশেপাশের লোকজন। 

ফারুক ঢালীর স্ত্রী বিলকিস বেগম বলেন, নিজের সন্তানের মতো বাঘাকে লালনপালন করি। কারেন্ট চলে গেলেই ও বুঝতে পারে আর আমাকে ডাকে। আমিও ওরে সাথে সাথে গোসল করাই, গা মুছাই দেই। অন্য মানুষ দেখলেই লাফালাফি করে, কিন্তু আমি গেলে একদম শান্ত হয়ে দাঁড়াই থাকে। আল্লাহ যদি তৌফিকে রাখে তাহলে বাঘাকে বিক্রি করে আমার সন্তানের ইচ্ছা পূরণ করবো। কারো ইচ্ছে হলে দামদর করে বাঘাকে কিনে নিয়ে যেতে পারে। 

জামাল ঢালী নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, গরুটিকে যখন বাহিরে আনা হয়, কমপক্ষে ৬ জন লোক আর মোটা ৪টা দড়ির দরকার পড়ে। গরুটি অনেক বড়, তাই ওকে বাহিরে আনা মাত্র আশেপাশের লোকজন দেখতে ভিড় জমায়। 

গরুটিকে দেখতে আসা বুলবুল আহম্মেদ নামের এক যুবক বলেন, ছোট বেলা থেকে অনেক গরু দেখতে দেখতে বড় হয়েছি। তবে ফারুক কাকার বাঘা নামের এই গরুটির মতো এতো বড় গরু এর আগে দেখার সুযোগ হয়নি। আমার মনে হয় জেলায় এটাই সবচেয়ে বড় গরু। 

গরুটির মালিক ফারুক ঢালী বলেন, ‘বাঘা’ আমার পরিবারের একজন। ওকে ঘাস আর খড়কুটা ছাড়া বাহিরের খাবার খাওয়াই না। গতবছর বাঘাকে বিক্রি করার কথা ভেবেছিলাম। তখন দাম বলেছিলো ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ বছর ভারতীয় গরু না আসায় মনে হচ্ছে বাঘার ন্যায্য দাম পাবো।

সাইফুল/ইমন 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়