ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে এক হাজার কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ
গাজীপুর (পূর্ব) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
কেটে ফেলা কলাগাছ
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় রাতের আঁধারে এক কৃষকের এক হাজার কলাগাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এতে সাড়ে তিন লাখ টাকার ক্ষতি হওয়ার কথা জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষক।
শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে চারজনের নাম উল্লেখসহ আরো ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করে কাপাসিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ক্ষতিগ্রস্ত রুস্তম আলী। তিনি উপজেলার টোক ইউনিয়নের টোকনগর গ্রামের মৃত শহর আলীর ছেলে।
অভিযোগে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- টোক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও টোকনগর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে শফিকুল ইসলাম কবির (৫০), একই গ্রামের সোহেল (৩৫), ইসলামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ চৌধুরীর ছেলে ইকবাল চৌধুরী (৫৫) এবং কাশেঁরা গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে বাদল মিয়া (৫৫)।
কৃষক রুস্তম আলীর ভাষ্য, প্রায় ১০ বছর আগে তিনি ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম কবিরের কাছ থেকে দেড় বিঘা জমি কেনেন। কয়েক বছর ধরে অভিযুক্তরা কম দামে জমি ফেরত দিতে তাকে নানা রকমের চাপ ও হুমকি দিতে শুরু করে।
তিনি বলেন, “আমি তাদের বলেছিলাম-জমির সঠিক মূল্য দিলে জমি ফেরত দিতে পারি। তারা রাজি হয়নি। ইউপি সদস্য কবির প্রকাশ্যে বলে বেড়াতেন, যেকোনো সময় জমি দখল করে নেবেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আমি কলাবাগান দেখে বাড়ি ফিরি, শনিবার সকালে গিয়ে দেখি সব গাছ কাটা।”
রুস্তম আলী জানান, তিনি প্রায় তিন লাখ টাকা ব্যয়ে ওই জমিতে কলাবাগান করেছিলেন। এক হাজার কলাগাছের মধ্যে প্রায় ৭০০ গাছে ইতোমধ্যে কলা পাকতে শুরু করেছিল। এক সপ্তাহ পরই তিনি বাজারে কলা বিক্রি শুরু করতেন। এখন সুদের টাকা আর দোকানের বকেয়া মেটাতে হিমশিম খেতে হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম কবিরকে একাধিকবার কল করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রব বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কৃষকের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ থাকতে পারে, তবে কারো ফসল কেটে দেওয়ার অধিকার কারো নেই। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/রফিক/মাসুদ