অমোচনীয় কালি নিয়ে অভিযোগ
চাকসু ভোটে অনিয়মের সুযোগ নেই, দাবি সিইসির
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ও চবি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে বুধবার দুপুরে কথা বলেন চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভোট দাতাদের আঙ্গুলে লাগানো অমোচনীয় কালি মুছে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল- শিবির ও বাম প্যানেলের ভিপি প্রার্থীরা।
তাদের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেছেন, “কালি মুছে গেলেও জাল ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ভোটের স্বচ্ছতা বা নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই।”
বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে চাকসু ভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, “ভোটারদের আঙুলে দেওয়া কালি মুছে যাচ্ছে। ফলে তারা পুনরায় ভোট দিতে যাওয়ার একটা শঙ্কা আছে। আমি নিজেও এখন ভোট দিয়ে এসেছি, আমার আঙুলের কালিও মুছে গেছে। বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানাব।”
ছাত্রশিবির প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছিল, এমন কালি ব্যবহার করা হবে যা কয়েক দিনেও মুছে ফেলা যাবে না। দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষার্থীদের আঙুলের কালি কিছুক্ষণের মধ্যেই অটোমেটিক উঠে যাচ্ছে। এটি শঙ্কার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
বামপন্থি দ্রোহ পর্ষদ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী রিজু লক্ষী অবরোধ ও জিএস ইফাজ উদ্দিন আহমেদ ইমু এবং বৈচিত্র্যের ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ধ্রুব বড়ুয়াও এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। তাদের অভিযোগ, তারা যে কয়টি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন, কোনো কেন্দ্রে অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে দেখেনি। ফলে জাল ভোট দেয়ার সুযোগ থেকে যাচ্ছে।
কালি মুছে যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, “আমরা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তারা জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য সাধারণত জার্মানি থেকে অমোচনীয় কালি আনা হয় এবং নির্বাচন শেষে তা ধ্বংস করে ফেলা হয়। ফলে এবার অমোচনীয় কালি পাওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। এখন যে কালি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো কিছু সময় পর উঠে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা দেশের মধ্যে থাকা যেটি সেরা সেই অমোচনীয় কালি ব্যবহার করছি।”
চাকসু সিইসি বলেন, “অমোচনীয় কালি ছাড়াও ভোটারদের পরিচয় যাচাইয়ের জন্য কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করা হচ্ছে। ভোটারদের আইডি কার্ড নম্বর, ভোটার নম্বর, ভোটার তালিকার ছবি যাছাই করেই ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। ফলে জাল ভোট বা পুনরায় ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
আইটি অনুষদে ১২টি স্বাক্ষরবিহীন ব্যালট পাওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, “এটি ভুলবশত হয়েছে। ওই ১২টি ব্যালট আমরা আলাদা করে রেখেছি এবং একটি রেজুলেশন করা হয়েছে। কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা সেগুলোতে স্বাক্ষর করবেন।”
ঢাকা/রেজাউল, মিজানুর/মাসুদ