ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ইইউবিতে ‘পর্যটন শিল্প-হসপিটালিটি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল বৈঠক

ক্যাম্পাস ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৭, ১২ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৭:৪৩, ১২ নভেম্বর ২০২০
ইইউবিতে ‘পর্যটন শিল্প-হসপিটালিটি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল বৈঠক

ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর ফ্যাকাল্টি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের উদ্যোগে ‘করোনা পরবর্তী পর্যটন শিল্প-হসপিটালিটি খাতে আমাদের সম্ভাবনা এবং করণীয়’ বিষয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১১টায় এ আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর আয়োজন করে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ।

এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. ফারজানা আলম, ঢাকা রিসোর্ট লিমিটেডের কর্ণধার মো. সাজিবুল আল রাজীব, আপডেট কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের লেকচারার অ্যান্ড কোর্স কো-অর্ডিনেটর আসিফা আজাদ এবং একই বিভাগের লেকচারার বিপাশা সুকরানা।

সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কোভিড পরবর্তী পর্যটন শিল্প বলতে গেলে স্থবির হয়ে পড়েছে। এর কারণ হচ্ছে মানুষকে যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে না। পৃথিবীতে ৫৮ শতাংশ ভ্রমণ হয় আকাশপথে ও ৩৭ শতাংশ হয় সড়কপথে। আকাশপথে যাতায়াত চার-পাঁচ মাস পুরোপুরি বন্ধ ছিল। বলা যায়, কোভিডের আগে পর্যটন শিল্প যে অবস্থায় ছিল সেখানে ফেরা সম্ভব হবে না। কারণ এ শিল্পে অনেক নতুনত্ব যোগ হবে।’

লকডাউনে পর্যটন খাতে প্রভাব পড়লেও দেশের স্থানীয় পর্যটন খাতে পুনরায় ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বিষয়টি উল্লেখ করে বিপাশা সুকরানা বলেন, ‘২০২০ সালকে পর্যটন শিল্পের জন্য অনেক ইতিবাচক একটি বছর মনে করা হয়েছিল। কোভিডের ফলে পর্যটন শিল্পে আয় কমেছে ৯৬ শতাংশ। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে ৪৭০ মিলিয়ন ইউএস ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৪০ লাখ মানুষ যুক্ত রয়েছে। তবে লকডাউন পরবর্তী সময়ে আমাদের স্থানীয় পর্যটন শিল্পে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।’

লকডাউনের সময়ে দেশের পর্যটন খাতে মোটা অঙ্কের অথনৈতিক লোকসান হয়েছে বলে জানান মো. সাজিবুল আল রাজীব। তিনি বলেন, ‘থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ লকডাউনের সময়ে পর্যটন পুরোপুরি স্থবির ছিল। তবে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। বাংলাদেশে গত পাঁচ বছরে বাইরের পর্যটক অনেক বেশি এসেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট ও যেসব ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে সেগুলো দেখার জন্যও বাইরের অনেক পর্যটক এসেছে। করোনার প্রভাবে সে পরিস্থিতি বদলে গেছে। এ শিল্পে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।’

বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের অর্থনৈতিক অবদান প্রায় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। এ খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড রিকভারি করার পরিকল্পনা প্রণয়ণ করেছে, যা বাস্তবায়ন হলে পর্যটন শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন আসিফা আজাদ নিটোল।

করোনা পরিস্থিতিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন ড. ফারজানা আলম। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘সমস্যা যা নিয়ে যায়, তার চেয়ে অনেক বেশি দিয়ে যায়। আমি এ পরিস্থিতিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখতে চাই। একটা ভ্যাকসিন আসলেই পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়ে যাবে। করোনা আমাদের অনেক অভ্যাস পরিববর্তন করে দিয়েছে। একটি বিষয়ে আমার আশঙ্কা জাগে যে, আমরা কি ইকো-ট্যুরিজমের ব্যাপারে মনোযোগী? খুব বেশি ব্যবসায়ীক আচরণ করে ফেললে, যে ক্ষতি হবে ওই ক্ষতির প্রভাব গ্রহণ করতে পারব না। আমরা যে কারণে প্রকৃতির কাছে যেতে চাই, সেখানে যদি প্রকৃতিই ক্ষতির মুখে পড়ে, তাহলে আমরা বাজার হারাব।’

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের পাবলিক রিলেশন অফিসার রাশিদা স্বরলিপি। টেকনিক্যাল সাপোর্টে ছিলেন ইমরান নাজির।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়