ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

দেশে ফিরতে পারছেন না অস্ট্রেলিয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা

আবু সালেহ শামীম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৫, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৭:২৩, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০
দেশে ফিরতে পারছেন না অস্ট্রেলিয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা

বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীরা পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে প্রতিবছর ডিসেম্বরের শেষের দিকে নিজ নিজ দেশে ফিরে যায়। করোনায় সীমান্ত পারাপারে প্রতিবন্ধকতা থাকায় পূর্বের ন্যায় এবার সে সুযোগ থাকছে না। তাই অস্ট্রেলিয়ায় পড়ুয়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এবার সেই দেশেই ছুটি কাটাবেন। 

সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত চীনের শিক্ষার্থী দেচেং সানের (২৫) সেমিস্টার পরীক্ষা শেষ হয়েছে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে ছুটি পেয়েছেন। তিনি এত দিনে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতেন। দেশে গিয়ে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন ও লুনার নিউ ইয়ার তার পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করতেন। তিনি পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে বনভোজনে বের হতেন ও ফায়ার ক্যাম্পের আয়জোন করে তার ছুটির সময়টি আনন্দে কাটাতেন। কিন্তু এতসব পরিকল্পনা এই বছরে বাস্তবায়ন করা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। 

যখন অস্ট্রেলিয়ার অনেক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী তাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে ছুটি কাটানোর কথা চিন্তা করছিলেন। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সেই দেশের সরকারের আরোপিত সীমান্ত পারাপারের বিধিনিষেধ-সানের মতো অনেককেই এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে। যদি কেউ নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়, তবে অস্ট্রেলিয়ায় খুব দ্রুত ফিরে আসা তাদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে যাবে। কারণ অস্ট্রেলিয়ার সরকার করোনাকালীন দেশের স্থায়ী নাগরিক ও প্রবাসীদের নিজ দেশেই থাকার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছে ও সীমান্ত পারাপারের কঠোর নিয়ম জারি করেছে।  

এখন সানের জন্য বিকল্প হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ায় থেকে বন্ধুদের সঙ্গে লুনার নিউ ইয়ারের ছুটি কাটানো। কিন্ত তার চাইনিজ বন্ধুরাও বছরের শুরুতে দেশে ফিরে গেছেন ও সীমান্ত পারাপার বিধিনিষেধের কারণে আর ফিরে আসতে পারেননি। সুতরাং সানের ছুটির দিনগুলো এবার সাধারণ দিনের মতোই কাটাতে হবে। তিনি কৌতুক করে নিউইউর্ক টাইমসকে বলেন, ‘সম্ভবত, আমি এবার ছুটির দিনগুলো আমার পোষ্য কুকুরটির সঙ্গেই কাটাবো।’ 

তিনি এটাকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে স্বীকার করেছেন। তবে তিনি এ ব্যাপারে খুব বেশি আবেগপ্রবণ নন। তিনি বলেন, ‘বিপর্যস্ত এই পরিস্থিতিতে এমন হওয়া খুব স্বাভাবিক। এর ভুক্তভোগী শুধু আমি একা নই, অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থীই এর ভুক্তভোগী।’

ঢাকা/মাহি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়