বৃত্তি পাবেন জবি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) স্নাতক প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের মেধা ও অবৈতনিক এই দুই ক্যাটাগরিতে বৃত্তি দেওয়ার লক্ষ্যে অনলাইনে আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

শনিবার (১৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ ব্যাপারে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

রেজিস্ট্রার বলেন, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান)/সমমান প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের এক শিক্ষাবর্ষের জন্য মেধা বৃত্তি ও অবৈতনিক অধ্যয়ন প্রদানের নিমিত্তে অনলাইনে আবেদন আহবান করা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে student.erp.jnu.ac.bd অর্থাৎ student login প্যানেলে login করার পর ডান দিকে “Apply for scholarship” লিঙ্কে ক্লিক করে আবেদন করা যাবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের ১৪/০৪/২০২১ থেকে ১২/০৫/২০২১ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নির্ভুল তথ্যাদি পূরণ করে আবেদন সাবমিট করতে হবে।

অতঃপর সংশ্লিষ্ট বিভাগ নির্ধারিত Link- এ প্রবেশ করে ছাত্রছাত্রীদের আবেদনপত্র Download করবেন এবং বিধি মোতাবেক দ্বিতীয় অংশে সুপারিশসহ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে আগামী ২৪ মে-এর মধ্যে পাঠাবেন। আবেদনপত্রের তৃতীয় অংশ সঠিকভাবে যাচাই করে মন্তব্যসহ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে আগামী ৩ জুনের মধ্যে রেজিস্ট্রার দপ্তরে পাঠাবেন।

তিনি আরও বলেন, “বৃত্তি নীতিমালা-২০১৩” অনুযায়ী শুধু ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান)/সমমান প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের এক শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রতি বিভাগে ৩ (তিন) জনকে প্রতি মাসে ৪০০ টাকা হারে মেধা বৃত্তি এবং এক শিক্ষাবর্ষের জন্য বিনা বেতনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ দেওয়া হবে। মেধা বৃত্তি ছাড়াও প্রতি বিভাগে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের ১০ শতাংশ অসচ্ছল মেধাবী ছাত্রছাত্রীকে বিনা বেতনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ দেওয়া হয়। বিভাগে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত থাকলে তাদের আবেদন করার জন্য উৎসাহিত করতে বলা হয়েছে। একজন শিক্ষার্থী যে কোনো একটি ক্যাটাগরিতেই আবেদন করতে পারবে। নির্ধারিত সময়ের পর আবেদন গ্রহণ করা হবে না।

উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে এক হাজার ১১৬ জন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মেধা ও অবৈতনিক বৃত্তি দেওয়া হয়। এদের মধ্যে স্নাতক পর্যায়ে ৩০৭ জনকে মেধাবৃত্তি ও ৭১০ জনকে অবৈতনিক বৃত্তি এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৪০ জনকে মেধাবৃত্তি ও ৫৯ জনকে অবৈতনিক বৃত্তি দেওয়া হয়েছিল।