ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ইবিতে ৬০ শতাংশ আসন ফাঁকা, প্রশ্ন উঠছে গুচ্ছ নিয়ে

মুনজুরুল ইসলাম নাহিদ, ইবি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১০, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২   আপডেট: ১৪:৫৭, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২
ইবিতে ৬০ শতাংশ আসন ফাঁকা, প্রশ্ন উঠছে গুচ্ছ নিয়ে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকের ভর্তি কার্যক্রম চলছে আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে। এই সময়ে তিন দফায় মেধা তালিকা প্রকাশ করে ভর্তি নেওয়া হলেও এখনো শূন্য আসনের বৃহৎ অংশ। সর্বশেষ তৃতীয় মেধা তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ভতি শেষে তিন ইউনিটে মোট ২ হাজার ৯৫টি আসনের বিপরীতে ভর্তি হয়েছেন ৮২৫ জন। ফলে এখনো ১ হাজার ২৭০টি আসন শূন্য রয়েছে। যা মোট আসনের ৬০.৬২ শতাংশ। 

এদিকে দফায় দফায় মেধা তালিকা প্রকাশ করেও আশানুরূপ শিক্ষার্থী না পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ও গুচ্ছ পদ্ধতির সফলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় মেধা তালিকার ভর্তি শেষে এ পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটে ৫৫০টি আসনের মধ্যে ২৭৪টি, ‘বি’ ইউনিটে ১০৯৫টি আসনের মধ্যে ৭৪৬টি ও ‘সি’ ইউনিটে ৪৫০টি আসনের মধ্যে ২৫০টি আসন শূন্য রয়েছে। 

জানা যায়, গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর গত বছরের ২৩ নভেম্বর ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু করে ইবি। বাকি আসনগুলো পূরণ হতে আরও কত সময় লাগবে এরও সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই কর্তৃপক্ষের কাছে। এতে বিপাকে রয়েছেন ভর্তিচ্ছুরাও।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‌‘আমরা আশা করেছিলাম গুচ্ছ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধা হবে কিন্তু এটিতে সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই বেশি হয়েছে। ফেব্রুয়ারি শেষ মাস চললেও এখনো অর্ধেক শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পন্ন হয়নি। বাকিটা কবে হবে, তা-ও অনিশ্চিত। তাই আমরা শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিংয়ে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা উপাচার্যকে এই সিদ্ধান্ত জানাবো।’ 

এদিকে গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ার নির্দেশনা অনুযায়ী তিন দফায় ভর্তি সম্পন্ন করার পরেও আসনের বড় অংশ খালি থাকায় এবার বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব প্রক্রিয়ায় নতুন পদ্ধতিতে ভর্তি নেবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহসান-উল-আম্বিয়া বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক আমরা তৃতীয় মেধাতালিকার ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। এরপরও আসন খালি থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা নিতে পারবে। খালি আসনগুলো কিভাবে পূরণ করা যায়, সে বিষয়ে প্রশাসন থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মানের সংকটে নেই। ভর্তি কার্যক্রমে নতুন সিস্টেম আনা হবে। পুরো ডাটা নিয়ে কাজ চলছে। কয়েক দিনের মধ্যে ওয়েবসাইটে নতুন করে মেধা তালিকা প্রকাশিত হবে। আশা করি তখন সব আসন পূরণ হবে।’

/মাহি/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়